somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ যুদ্ধের পর

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

{আর কয়েকদিন পর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। মুক্তিযুদ্ধের সময় যে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখেছিলাম, আজ তা' অনেকটাই ম্রিয়মান। ধর্মীয় কুসংস্কার, গোঁড়ামি ও ধর্মান্ধতার নাগপাশে জড়িয়ে পড়ছে এই দেশ, এই জাতি। শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মুক্তমনা মানুষের সংখ্যা কমে আসছে দিনের পর দিন। নতুন প্রজন্মের সামনে নেই কোন আদর্শ। এসব দিক বিবেচনায় নিয়ে আমার পূর্বে প্রকাশিত সত্য ঘটনা ভিত্তিক একটি গল্প আজ পুনরায় পোস্ট দিলাম। শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে গল্পটি আজ উৎসর্গ করলাম এ দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ্যে। সবাইকে ধন্যবাদ।}

দু’হাত ভর্তি গাঁদা ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি মায়ের সামনে। মায়ের হাতে রুটি বেলার কাঠের বেলনা। সেটা দিয়ে তিনি দুটো বাড়ি দিলেন আমার পিঠে।
‘এই ফুল কোত্থেকে চুরি করেছিস, বল।’
‘চুরি করিনি। স্বপ্নাদি দিয়েছে।’
এটা স্বপ্নাদিদির গল্প। আজ থেকে প্রায় পঁয়তাল্লিশ বছর আগের কথা। আমার বয়স তখন দশ এগারোর বেশি নয়। ক্লাস ফাইভ বা সিক্সে পড়ি। ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধের পরের সময় সেটা। মফস্বল শহরের আর পাঁচটা মহল্লার মতো আমাদের মহল্লাটাও ছিল হিন্দুপ্রধান। চারপাশে প্রায় সবই হিন্দু বাড়ি। মাঝখানে আমরাই একঘর মুসলমান। তবে যুদ্ধের পর থেকে মুসলমানদের সংখ্যা বাড়তে লাগলো। আর হিন্দুদের সংখ্যা কমতে শুরু করলো। যেন তেন দামে বাড়িঘর, জমিজমা বেঁচে বা বিনিময় করে হিন্দুরা পাড়ি জমাতে শুরু করলো ভারতে। তাদের স্থান দখল করতে শুরু করলো ভারত থেকে আসা মোহাজিররা।
আব্বা ছিলেন এক হিন্দু উকিলের জুনিয়র। তাঁর পাঁচ কন্যার বড়টির নাম ছিল স্বপ্না। আমার চেয়ে চার পাঁচ বছরের বড় ছিলেন তিনি। পড়তেন আমার বড় বোনের সঙ্গে ক্লাস টেনে। কিন্তু বয়সের ব্যবধান স্বত্বেও তার সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠতা ছিল বেশি। তাকে আমি স্বপ্নাদি বলে ডাকতাম আর তিনি আমাকে ডাকতেন পটলা বলে। তার দৃষ্টিতে আমি ছিলাম পটলের মতো পেট মোটা। তাই আসল নাম ছাপিয়ে আমাকে ওই নামে ডাকা। যদিও নামটা আমার একদম পছন্দ ছিলনা, কিন্তু স্বপ্নাদির মুখের ওপর কিছু বলা? ওরে বাবা! অসম্ভব। স্বপ্নাদি ছিলেন ভীষণ মেজাজী। তার ইচ্ছার বাইরে কিছু বলা বা করা অন্তত আমার সাহসে কুলাতো না।
মহল্লায় আমার খেলাধুলা ছিল মেয়েদের সঙ্গে। আর সেসব খেলার মধ্যমণি ছিলেন স্বপ্নাদি। লুকোচুরি, গোল্লাছুট, এক্কাদোক্কা আর বাঘ-বকরি। স্বপ্নাদি একাই একশো। সব খেলাতেই আমি স্বপ্নাদির দলে। তিনি নিজে কখনো হারতেন না, আমাকেও হারতে দিতেন না। বাঘ-বকরি খেলায় অন্যদের শত প্রতিবাদের মধ্যেও আমাকে চাল দিতে সাহায্য করতেন। অন্যরা স্বপ্নাদির মেজাজের ভয়ে মুখ বুজে সহ্য করতো। আবার মাঝে মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি করে খেলা ভেঙে দিয়ে চলে যেতো। তখন স্বপ্নাদি বলতেন, ‘চল্ পটলা, তুই আর আমি খেলবো। ওদের সাথে কে খেলে রে?’
তারপর আমরা দু’জন লুকোচুরি আর কানামাছি খেলতাম। মজার ব্যাপার হল স্বপ্নাদি তখন ইচ্ছে করেই আমার কাছে হেরে যেতেন। ছোট হলেও সেটা আমি বেশ বুঝতে পারতাম।
স্বপ্নাদির কিছু কিছু ব্যাপার আমার একদম ভাল লাগতো না। যেমন, তার সাথে ফলসা গাছে চড়ে পাশাপাশি ডালে পা ঝুলিয়ে বসে ফলসা খেতে হবে। তাদের বাড়ির ছাদে বসে নুন মরিচের গুঁড়ো মাখিয়ে কাঁচা তেঁতুল বা কুল খেতে হবে। অথবা স্বপ্নাদির হাতে তার মতো করে চোখে কাজল পরতে হবে। এসবে আপত্তি করলে স্বপ্নাদি ভীষণ ক্ষেপে যেতেন। বলতেন, ‘যা ভাগ ছোঁড়া, আর কখনো আসবি না আমার কাছে।’
আমি মন খারাপ করে চলে যেতাম। একটু পরেই স্বপ্নাদি আমাকে খুঁজে বের করে হাত টেনে ধরে বলতেন, ‘পটলা,আয়।’ আমি কাঁদো কাঁদো স্বরে বলতাম, ‘তাড়িয়ে দিয়ে আবার ডাকতে আসো কেন?’
স্বপ্নাদি মুচকি হেসে বলতেন, ‘তুই যে আমার বর। তোকে কি আমি তাড়িয়ে দিতে পারি?’
‘আমি তোমার বর হবো না।’
‘এ ছোঁড়া বলে কি? আমার চেয়ে সুন্দর বউ কোথায় পাবি তুই?’
আমি মাথা নিচু করে বলতাম, ‘বীণা দিদি তোমার চেয়ে বেশি সুন্দর।’
‘কি বললি!’ আঁতকে ওঠেন স্বপ্নাদি। আমার গাল টিপে ধরে বলেন, ‘তুই বীণার সাথে মিশিস নাকি? আর সে আমার চেয়ে সুন্দর? থাম্,দেখাচ্ছি মজা।’
গালমন্দ করে আমাকে আবার তাড়িয়ে দেন স্বপ্নাদি। বীণাদিদির সাথে আমাকে দেখতে পেলে দু’জনেরই ঠ্যাং ভেঙে দেবেন বলে শাসিয়ে দেন। কিন্তু এসব শাসন গর্জন বড়জোর একদিন। পরদিনই দুপুর বেলা আমার প্রিয় আতা ফল নিয়ে হাজির হন স্বপ্নাদি। বলেন, ‘পটলা, চল্ আমাদের বাগানে বসে খাই।’ আর আমিও সুড় সুড় করে তার পিছে পিছে চলে যাই।
দিদিদের বাগানটি ছিল তাদের বাড়ির পেছনে। আম, কাঁঠাল, নারকেল, বাতাবি লেবু এসব ফলের গাছ ছাড়াও বাগানের এক অংশে ছিল বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘেরা গোলাপ, গাঁদা, ডালিয়া আর দোপাটি ফুলের গাছ। হলদে রঙের তরতাজা গাঁদা ফুলগুলো দেখলে ছেঁড়ার লোভ হতো। আমার চোখের দিকে তাকিয়ে মনের ভাব বুঝে ফেলতেন স্বপ্নাদি। বলতেন, ‘শোন পটলা, বাগানের একটা ফুল যদি তুই ছিঁড়েছিস তো বাবা তোর হাত কেটে ফেলবে। খবরদার, এই কাজ করিস না।’
‘তোমার বাবা জানবে কিভাবে? এত ফুলের মধ্যে একটা নিলে কি হয়? একটা গাঁদা ফুল দাও না দিদি। ওই যে ওইটা।’
স্বপ্নাদি ভয়ে ভয়ে এদিক ওদিক দেখে নিয়ে চট্ করে একটা গাঁদা ফুল ছিঁড়ে আমার হাফপ্যান্টের পকেটে ঢুকিয়ে দেন। বলেন, ‘যা পালা, পালা। এই শেষ। আর কোনদিন চাইবি না।’
আমি আনন্দে তিড়িং বিড়িং করে লাফাতে লাফাতে বেরিয়ে আসি বাগান থেকে। স্বপ্নাদি যে মিটি মিটি হাসছেন তা দেখার মতো আমার তখন সময় নাই।
পূজোর সময় স্বপ্নাদি আমার হাত ধরে মণ্ডপ দেখতে বেরতেন। তখন তিনি শাড়ি পরে সাজগোজ করে প্রজাপতির মতো উড়ে বেড়াতেন। তাকে তখন অনেক বড় দেখাতো। আমার তখন খুব লজ্জা লজ্জা করতো। তারপরও দশভুজা দুর্গা প্রতিমা আর বর্শাবিদ্ধ ভয়ংকর অসুরের মূর্তি দেখার লোভ সামলাতে পারতাম না। উপরি পাওনা ছিল পূজা মণ্ডপের প্রসাদ আর স্বপ্নাদির কিনে দেয়া হাতি-ঘোড়া বিস্কুট, বাঁশি আর রঙ্গিন বেলুন। এত ছোট বয়সে ঠিক বুঝে উঠতে পারতাম না যে স্বপ্নাদি তার ছোট বোনদের বা স্বজাতির কাউকে না নিয়ে আমাকে নিয়ে কেন পূজোয় আনন্দ করে বেড়াতেন?
দু’একজন কুলীন হিন্দু, যারা আমাদের দুজনকেই চিনতেন, তারা স্বপ্নাদিকে ধমকের সুরে বলতেন, ‘স্বপ্না, তুই যে কি করিস না!’ স্বপ্নাদি আমাকে বলতেন, ‘পটলা, আমার মতো তুই যেন আবার ঠাকুরকে প্রণাম করে বসিস না। তোর মা জানতে পারলে আমায় ছেঁচে দেবে।’
সে কথা ঠিক। স্বপ্নাদির সঙ্গে ঘুরে বেড়ানোতে মায়ের কোন আপত্তি ছিলনা। কিন্তু হিন্দুয়ানি কোন কিছুর মধ্যে গেলে মায়ের হাতে মার অনিবার্য। তাই এতটুকু বয়সে দু’দিক সামলে চলতে হতো আমাকে। এ রকম এক দুর্গা পূজার মধ্যে ঘটলো এক ঘটনা। মায়ের নির্দেশ ছিল যেখানেই যাই না কেন সন্ধ্যার আগে বাসায় ফিরতে হবে। স্বপ্নাদিও সেটা জানতেন। তবুও মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরে বাড়ি ফিরতে ফিরতে সেদিন সন্ধ্যা পার হয়ে গেল। স্বপ্নাদির বাড়ি পার হয়ে একটা পুকুরের অপর পাড়ে আমাদের বাড়ি। মায়ের হাতে মার খাওয়ার ভয়ে স্বপ্নাদির কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পুকুরের পাড় ঘেঁষে আমি হন হন করে হাঁটছিলাম। হঠাৎ মনে হল স্বপ্নাদি একটা চিৎকার দিয়ে থেমে গেলেন। আমি পেছন ফিরে দৌড় দিলাম স্বপ্নাদির বাড়ির দিকে। আবছায়া আলো আঁধারের মধ্যে একটা লোককে দেখলাম এক হাতে স্বপ্নাদির মুখ চেপে ধরে আরেক হাতে তাকে জাপটে ধরে বাগানের পেছন দিকে নিয়ে আসার জন্য ধ্বস্তাধস্তি করছে। আশেপাশে কেউ নেই। আমার মাথায় খুন চেপে গেল।
আমি প্রচণ্ড বেগে ছুটে গিয়ে এক লাফে লোকটার পিঠে উঠে সর্বশক্তি দিয়ে তার ঘাড়ে কামড় বসালাম। স্বপ্নাদিকে ছেড়ে দিয়ে লোকটা চিৎকার করে উঠলো। চন্দন কাকার গলার আওয়াজ। স্বপ্নাদির দূর সম্পর্কীয় কাকা। একই পাড়ায় থাকে। হাচড়ে পাচড়ে কোনো মতে আমাকে তার পিঠ থেকে ছিটকে ফেলে পালিয়ে গেল চন্দন কাকা। ওই দিন দেরি করে বাড়ি ফেরার জন্য মায়ের হাতে মার খেলাম খুব। কিন্তু কেন দেরি হল তা’ কিছুতেই বললাম না।
পরদিন শুনলাম স্বপ্নাদির জ্বর হয়েছে। দু’দিন তিনি বাড়ি থেকে বেরুলেন না। তৃতীয় দিন একখানা চাদর মুড়ি দিয়ে আমার স্কুলের পথে দাঁড়িয়ে থেকে আমাকে পাকড়াও করলেন। বললেন, ‘তুই তো সাংঘাতিক স্বার্থপর,পটলা। আমার এত জ্বর। আর তুই একবার দেখতে পর্যন্ত গেলি না!’
আমাকে প্রায় বগলদাবা করে নিয়ে যাওয়ার মতো করে নিয়ে গেলেন তাদের বাড়ির পেছন দিকে একটা প্রায় পরিত্যক্ত মাটির ঘরের খড় বিছানো বারান্দায়। সেখানে পাশাপাশি বসে আমার একটা হাত তুলে তার নিজের কপালে ঠেকিয়ে বললেন, ‘দেখ্ আমার কতো জ্বর। আমি কি মিথ্যা বলছি?’
হাঁ, সত্যিই খুব জ্বর। স্বপ্নাদি মিথ্যা বলেন নি। আমি মাথা নিচু করে চুপচাপ বসে রইলাম। কিন্তু বেশি জ্বরের জন্যই হোক বা অন্য যে কারণেই হোক স্বপ্নাদিকে কথায় পেয়ে বসেছে।
‘এই দেখ্ পটলা, আমার চিবুকের এ তিলটা জ্বরের জন্য কত বড় হয়ে গেছে। হাত দে। হাত দিয়ে দেখ্।’
দেখলাম, কিন্তু বিশেষ কিছু বুঝলাম না।
‘তিলটা খুব সুন্দর, তাই না? এই ছোঁড়া বল্ না, তিলটা সুন্দর না?’
‘হুঁ।’ ফর্সা মুখে কালো রঙের একটা তিল সুন্দর হয় কিভাবে বুঝলাম না। তবু স্বপ্নাদিকে খুশি করার জন্য মাথা নেড়ে সায় দিলাম। স্বপ্নাদি আনন্দে গদ গদ হয়ে বললেন, ‘আমাকে সুচিত্রা সেনের মতো দেখাচ্ছে, তাই না পটলা?’
‘হুঁ।’
এই সুচিত্রা সেনটা যে কে, তা’ কে জানে? কিন্তু স্বপ্নাদিকে খুশি করতে হবে। তাই আবার মাথা নেড়ে সায় দিলাম। স্বপ্নাদি খড়ের গাদার ভেতর থেকে অনেক গাঁদা, গোলাপ আর ডালিয়া ফুল বের করে আমার সামনে রাখলেন। বললেন, ‘নে, এগুলো সব তোর।’
আমি ঘাড় ফিরিয়ে বাগানের দিকে তাকিয়ে দেখি সেখানে দোপাটি ছাড়া অন্য কোন ফুল নেই। স্বপ্নাদি সব তুলে এনেছেন। সর্বনাশ!
বললাম, ‘তোমার বাবা যদি জানতে পারে, তখন?’
তিনি হাসলেন। বললেন, ‘বাবা জানে।’
তবু আমার ভয় দূর হল না। শুধু গোটা কয়েক গাঁদা ফুল তুলে নিয়ে পালিয়ে এলাম স্বপ্নাদির বাড়ি থেকে।

মা বললেন, ‘তুই মিথ্যা কথা বলছিস। এই ফুল তুই নিশ্চয় চুরি করেছিস। স্বপ্না তোকে এত ফুল দেবে কেন?’
‘না মা, বিশ্বাস করো, স্বপ্নাদি দিয়েছে।’
‘ঠিক আছে, এই ফুল তুই চুরি করেছিস, না স্বপ্না তোকে দিয়েছে সেই ফয়সালা হবে বিয়ে থেকে আসার পর। এখন সময় নাই বলে তুই বেঁচে গেলি।’
ছোট খালার বিয়ে ঠিক হয়েছে গ্রামের নানাবাড়িতে। বাড়িসুদ্ধ আমরা সবাই যাবো বিয়েতে। বাবা দুটো ঘোড়ার গাড়ি ঠিক করেছেন। মালপত্র ওঠানো হচ্ছে তাতে। আমরা ভাইবোনরা সবাই খাওয়া দাওয়া সেরে উঠে বসলাম গাড়িতে। বহুদিন পর নানাবাড়ি যাচ্ছি। সবাই খুব আনন্দে, কিন্তু কেন জানি আমার কোন আনন্দ হচ্ছে না।
এক সপ্তাহ পর গ্রাম থেকে ফিরে জানা গেল, সুরেশ চন্দ্র এ্যাডভোকেট একজন মোহাজিরের সঙ্গে বাড়ি বিনিময় করে সপরিবারে পাড়ি জমিয়েছেন ভারতে। স্বপ্নাদিদিদের বাড়িতে এখন সব অচেনা লোকজন। বাড়ির কাছে গেলে কেমন যেন কটমট করে তাকায়। আমি সারাদিন স্বপ্নাদিদির বাড়ির চার পাশে ঘুর ঘুর করে সন্ধ্যায় ঘরে ফিরে এলাম। ঘরে খাটের নিচে পানি ভর্তি মাটির সরায় গাঁদা ফুলগুলো রেখে গিয়েছিলাম। সরা থেকে আধ মরা বিবর্ণ ফুলগুলো তুলে হাতে নিতেই শুকনো পাপড়ি গুলো ঝুর ঝুর করে ঝরে পড়লো আমার হাত থেকে। সেই সাথে হাতের আঙ্গুল গলে ক’ফোঁটা পানি ঝরে পড়লো অশ্রুর মতো।
******************************
এই লেখাটি মাসিক মৌচাকে ঢিল পত্রিকার অক্টোবর ২০১০ ফুল সংখ্যায় প্রকাশিত। ব্লগার বন্ধুরা যারা এটি পড়েন নি, তাদের জন্য ব্লগে প্রকাশ করলাম।

১৮টি মন্তব্য ১৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্মপোলব্ধি......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৫১

আত্মপোলব্ধি......

একটা বয়স পর্যন্ত অনিশ্চয়তার পর মানুষ তার জীবন সম্পর্কে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায়। এই বয়সটা হল পঁয়ত্রিশ এর আশেপাশে। মানব জন্মের সবকিছু যে অর্থহীন এবং সস্তা সেটা বোঝার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি !

লিখেছেন হাসানুর, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩২



হঠাৎ ইলিশ মাছ খেতে ইচ্ছে হল । সাথে সাথে জিভে ..জল... চলে এল । তার জন্য একটু সময়ের প্রয়োজন, এই ফাঁকে আমার জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প ক্ষমতায় আসছে এটা ১০০% নিশ্চিত। আমেরিকায় ইতিহাসে মহিলা প্রেসিডেন্ট হয়নি আর হবেও না।

লিখেছেন তানভির জুমার, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৩৩

আর এস এস সহ উগ্র হিন্দুদের লিখে দেওয়া কথা টুইট করেছে ট্রাম্প। হিন্দুদের ভোট-আর ইন্ডিয়ান লবিংএর জন্য ট্রাম্পের এই টুইট। যার সাথে সত্যতার কোন মিল নেই। ট্রাম্প আগেরবার ক্ষমতায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প জিতলে কঠোর মূল্য দিতে হবে ইউসুফ সরকারকে?

লিখেছেন রাজীব, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪২

ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক মন্তব্যে বাংলাদেশের মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। ৫ তারিখের নির্বাচনে ট্রাম্প জিতলে আরেকবার বাংলাদেশের মিষ্টির দোকান খালি হবে।

আমি এর পক্ষে বিপক্ষে কিছু না বললেও ডায়বেটিসের রুগী হিসেবে আমি সবসময়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×