সুপ্রাচীন কাল থেকে যারা এই সমাজের মন্দগুলোকে তাড়িয়ে সমাজকে বিশুদ্ধ করেছে, সমাজকে বদলেছে তারা কেউই সমাজের প্রতিনিধি ছিল না। তাদের বেশিরভাগই ছিল সমাজ বিদ্রোহী। যারা সমাজের প্রচলিত সংস্কারগুলোকে চ্যালেঞ্জ করেছে বারংবার। তখন সমাজপতিরা তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে নির্মমভাবে সমাজদ্রোহীদের কতল করেছে বারংবার।.... অনেক রক্তক্ষয়ের পর হয়ত এসেছে বিজয়।
কুসঙ্কার যারা লালন করে তারা, আর সমাজপতিরা সবসময় এক হয়ে সমাজের আবর্জনাগুলোকে টিকিয়ে রাখে। কেউ অন্ধবিশ্বাস, আর কেউবা নিজের ঘৃন্য স্বার্থ উদ্ধার করতে। আর এর শিকার হয় যারা ভিন্ন চিন্তা করে, প্রচলিত ধারার বাইরে গিয়ে সমাজকে বদলে দিতে চায়। আর তাদের থেমে যাওয়ার মাধ্যমে বঞ্চিত হয় সাধারন জনগন। যারা এতসব মারপ্যাচ বোঝে না, তাদেরকে যা বোঝানো হয় তাই বোঝে। কিন্তু সবচে ক্ষতিগ্রস্থ হয় তারাই। কারন সমাজপতিরা তাদেরকে ভুল বুঝিয়ে সহজেই তাদের স্বার্থ উদ্ধার করতে পারবে। তাদের প্রতিবাদ করার কেউ থাকবে না।
তাই অভিজিৎ হত্যাকান্ডকে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবে শাসকগোষ্ঠী। আর আমরা সেটা ভেবেই বসে থাকব। ভাববো, দেশের এত সমস্যার ভেতরে এটা বড় কিছু নয়। কিন্তু আমরা ভাববো না, দেশের এত সমস্যা সমাধানের জন্য যারা সমস্যার মূল উৎঘাটন করে মূল উৎপাটন করতে জীবন বাজি রাখছে তাদের জীবনের মূল্য কতটুকু।
তাই এক রাজীব, এক অভিজিত খুন হওয়া শুধু একটি, দুটি জীবন নয়। একটি সমাজের পরাজয়, আমাদের পরাজয়। আমরা আমাদের মুক্তির ত্রাতাদের খুন করেছি। সরকার নির্লিপ্ত! কারন তাদের পুজি টিকিয়ে রাখতে হবে। সব বুঝে আমরা নির্লিপ্ত থাকছি এরপরও। এভাবে আর কতকাল??? গতকাল রাজীব, আজ অভিজিৎ, কাল আমি....... কিন্তু আপনিও যে এই মৃত্যমিছিলে যোগ দেবেন না সেটা কে বলতে পারে???