somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্বীকারোক্তি: গল্পটা মনে হয় ১৮+দের জন্য...

৩১ শে জুলাই, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শাহ্জালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আর ভর্তি পরীক্ষা দেওয়া হলো না। শেষ পর্যন্ত মুরীর চাঁদ বা এম. সি. কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হলো। এমন হবে কল্পনাও করতে পারেনি। ছোট কাকা যে হঠাৎ করে মত পরিবর্তন করবে, জানলে বাড়ীর বাইরে বের হতাম। এত ঢাকঢোল পিটিয়ে সবাইকে জানালো, ভাইপোর পড়া লেখার সব খরচা আমিই বহন করবো। ও যেখানে খুশি সেখানে ভর্তি হয়ে পড়ালেখা করুক আমার খরচা দিতে কোনো আপত্তি নেই। আর সেই লোক এমন বেঁকে বসলো, তারও নিশ্চয় কারণ আছে। মেডিকেল বা বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার নম্বর থাকা সত্বেও পরীক্ষা দেয়া হলো না। শেষ পর্যন্ত কপালে ছিল এই সিলেট এম. সি. কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়। শুধু পড়ালেখা করলে চলবে না, কাজও করতে হবে। নিজের জীবন নিজেকেই এগিয়ে নিতে হবে। এখন থেকে `স্টুডেন্ট কাম সার্ভিসম্যান' এই আমার পরিচয়। আচ্ছা এমন কোনো দপ্তর আছে, যেখান থেকে এ ধরনের একটা পরিচয় পত্র নেয়া যায়।

কপাল যে একেবারে খারাপ তা নয়। কাকা তার সাহায্যের হাত বন্ধ করলেও ফুফু এগিয়ে এসছে সাহায্য করার জন্য। তার দয়াতেই এখনো এই শহরে টিকে আছি। টিউশানি জোগাড় করে দিয়েছে গোটাদুয়েক। দিব্যি খাচ্ছি-দাচ্ছি, কলেজে যাচ্ছি ক্যাম্পাসে আড্ডা দিচ্ছি। একটা বাসায় তিন বোনকে এক সাথে, অন্য বাসায় ভাই-বোনকে এক সাথে পড়াই। মোট চারটি ছাত্রীকে সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। মেয়েগুলো এত ফাজিল বোঝা মুশকিল। যাই হোক বাড়তি খরচের টাকা ওদের বইয়ের ভিতর থেকেই আসে। আর কলেজ পড়ুয়া ফুপাতো বোনের সাথেও মোটামুটি একটা বোঝাপড়া হয়ে গেছে আগেই। তার আর আমার এই পাঠ আরো বছর খানেক আগের। ভাববেন না যে উড়ে এসে, জুড়ে বসে আছি।

অনেক স্বীকারোক্তিইতো করলাম, জানিয়ে দিলাম মনের গোপন কথাও। কিন্তু আপনাদের সাথে তো আমার পরিচয়ই হয়নি। লেখক আমার নাম দিয়েছেন অনিন্দ্য রায়হান। আমি বর্তমানে একটি মার্কেটিং কোম্পানীতে সেলস রিপ্রেজেন্টটিভ হিসেবে কাজ করছি। বেতন যা পাই তা দিয়ে মোটামুটি চলে যাচ্ছে। লেখালেখির বাতিক আছে। সেই সুবাদে লেখক মহলে ও মিডিয়াতে অনেক বন্ধু-বান্ধব জুটে গেছে। চাকুরী, লেখালেখির মাঝে লেখাপড়াটা অপশনাল হয়ে গেছে। তারপরও জোড়াতালি দিয়ে চালানোর চেষ্টা করছি। আসলে এভাবে হয় না, পারি না বা আমি পারছি না। জীবন যেনো কেমন করে ছন্নছাড়া হয়ে গেল। বাধাঁধরা নিয়ম কানুন আমার ভালোলাগে না। অনিয়মই আমার কাছে নিয়ম মনে হয়।

প্রতিদিন বিকেল বেলা জনবহুল স্থানে ও শপিং পয়েন্ট গুলোতে ঘুরে বেড়াই কারণে-অকারণে। দু'চার জন যা পরিচিত হয়েছেন জানতে চায় কেনো এই ঘোরাঘুরি। আসলে সত্যি কথা বলতে কী ? শপিং মলে আসা আর রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো হাল ফ্যাশনের যুবতীদের আর নতুন বিয়ে হয়ে যাওয়া মেয়েদের দেখতে আমার ভালোলাগে। সদ্য বিয়ে হয়ে যাওয়া মেয়ে গুলোর দুধে-আলতা শরীর যেনো, কামনায় ভরা। এজন্যই আমার অবিবাহীত মেয়েদের চেয়ে বিবাহীত মেয়েদের বেশী পছন্দ হয়।

সকালে শত কাজ থাকলেও আমি ছুটে যাই, মহিলা কলেজ গেটে বা বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে। ভালোলাগে উচ্ছল যৌবনাবতীদের দেখতে। ওরা ওদের যৌবন সোয়া পাঁচ ইঞ্চি ভাঁজের কাপড়ে যতই ঢেকে রাখতে চায়, ততই ফুলেফেঁপে বেড়িয়ে আসে। আমি যুবতীদের যৌবনের প্লাবন দেখি। কখনো আড়চোখে, কখনো সামনা-সামনি। বাজারে আসা নতুন ওড়না গুলোর দয়ার শরীর। ওড়া কিছুই গোপন রাখে না। ওড়নারইবা দোষ কোথায়, রাখনেওলারা যদি পুরুষদের গামছা রাখার মতো করে রাখে ?

লেখক গল্পের প্লট হিসেবে আমার কাছে, আমার জীবনের কিছু অধ্যায়ের স্বীকারোক্তি চাইলো আমি অকপটে দিয়ে দিলাম। আপনারা আমাকে কী ভাববেন ? যাই ভাবুন, অন্তত: নোংরা মনের মানুষ ভাববেন না। আমার আরো অনেক স্বীকারোক্তি আছে, আজ আর নয়। অন্য কোনোদিন শোনাবো সে সব...।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জুলাই, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:০৮
১১টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×