কপাল যে একেবারে খারাপ তা নয়। কাকা তার সাহায্যের হাত বন্ধ করলেও ফুফু এগিয়ে এসছে সাহায্য করার জন্য। তার দয়াতেই এখনো এই শহরে টিকে আছি। টিউশানি জোগাড় করে দিয়েছে গোটাদুয়েক। দিব্যি খাচ্ছি-দাচ্ছি, কলেজে যাচ্ছি ক্যাম্পাসে আড্ডা দিচ্ছি। একটা বাসায় তিন বোনকে এক সাথে, অন্য বাসায় ভাই-বোনকে এক সাথে পড়াই। মোট চারটি ছাত্রীকে সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। মেয়েগুলো এত ফাজিল বোঝা মুশকিল। যাই হোক বাড়তি খরচের টাকা ওদের বইয়ের ভিতর থেকেই আসে। আর কলেজ পড়ুয়া ফুপাতো বোনের সাথেও মোটামুটি একটা বোঝাপড়া হয়ে গেছে আগেই। তার আর আমার এই পাঠ আরো বছর খানেক আগের। ভাববেন না যে উড়ে এসে, জুড়ে বসে আছি।
অনেক স্বীকারোক্তিইতো করলাম, জানিয়ে দিলাম মনের গোপন কথাও। কিন্তু আপনাদের সাথে তো আমার পরিচয়ই হয়নি। লেখক আমার নাম দিয়েছেন অনিন্দ্য রায়হান। আমি বর্তমানে একটি মার্কেটিং কোম্পানীতে সেলস রিপ্রেজেন্টটিভ হিসেবে কাজ করছি। বেতন যা পাই তা দিয়ে মোটামুটি চলে যাচ্ছে। লেখালেখির বাতিক আছে। সেই সুবাদে লেখক মহলে ও মিডিয়াতে অনেক বন্ধু-বান্ধব জুটে গেছে। চাকুরী, লেখালেখির মাঝে লেখাপড়াটা অপশনাল হয়ে গেছে। তারপরও জোড়াতালি দিয়ে চালানোর চেষ্টা করছি। আসলে এভাবে হয় না, পারি না বা আমি পারছি না। জীবন যেনো কেমন করে ছন্নছাড়া হয়ে গেল। বাধাঁধরা নিয়ম কানুন আমার ভালোলাগে না। অনিয়মই আমার কাছে নিয়ম মনে হয়।
প্রতিদিন বিকেল বেলা জনবহুল স্থানে ও শপিং পয়েন্ট গুলোতে ঘুরে বেড়াই কারণে-অকারণে। দু'চার জন যা পরিচিত হয়েছেন জানতে চায় কেনো এই ঘোরাঘুরি। আসলে সত্যি কথা বলতে কী ? শপিং মলে আসা আর রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো হাল ফ্যাশনের যুবতীদের আর নতুন বিয়ে হয়ে যাওয়া মেয়েদের দেখতে আমার ভালোলাগে। সদ্য বিয়ে হয়ে যাওয়া মেয়ে গুলোর দুধে-আলতা শরীর যেনো, কামনায় ভরা। এজন্যই আমার অবিবাহীত মেয়েদের চেয়ে বিবাহীত মেয়েদের বেশী পছন্দ হয়।
সকালে শত কাজ থাকলেও আমি ছুটে যাই, মহিলা কলেজ গেটে বা বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে। ভালোলাগে উচ্ছল যৌবনাবতীদের দেখতে। ওরা ওদের যৌবন সোয়া পাঁচ ইঞ্চি ভাঁজের কাপড়ে যতই ঢেকে রাখতে চায়, ততই ফুলেফেঁপে বেড়িয়ে আসে। আমি যুবতীদের যৌবনের প্লাবন দেখি। কখনো আড়চোখে, কখনো সামনা-সামনি। বাজারে আসা নতুন ওড়না গুলোর দয়ার শরীর। ওড়া কিছুই গোপন রাখে না। ওড়নারইবা দোষ কোথায়, রাখনেওলারা যদি পুরুষদের গামছা রাখার মতো করে রাখে ?
লেখক গল্পের প্লট হিসেবে আমার কাছে, আমার জীবনের কিছু অধ্যায়ের স্বীকারোক্তি চাইলো আমি অকপটে দিয়ে দিলাম। আপনারা আমাকে কী ভাববেন ? যাই ভাবুন, অন্তত: নোংরা মনের মানুষ ভাববেন না। আমার আরো অনেক স্বীকারোক্তি আছে, আজ আর নয়। অন্য কোনোদিন শোনাবো সে সব...।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জুলাই, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:০৮