তসলিমা নাসরিন পুরুষদের সম্বোধন করে সম্মুখ লেজ বিশিষ্ট প্রাণী । প্রাণী বলাতে আপত্তি নেই । কিন্তু তসলিমা যে বিকৃত নারীবাদী দৃষ্টিতে পুরুষকে দেখে তা সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি নয় । সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে শ্রম নির্ভর সমাজে বলশালী পুরুষদের সামাজিক ও পারিবারিক দায়িত্ব-কর্তব্য । সমাজ যখন পুরোপুরি প্রকৃতি ও শ্রম নির্ভর ছিল তখন শক্তিশালী কাজগুলো পুরুষদের কাধে এসে পরে । নারী যেহেতু সারাবছর একটার পর একটা বংশ বৃদ্ধির দায়িত্ব পালন করেছে ফলে সন্তান লালন পালনটাই নারীর প্রধান করনীয় হয়ে দারিয়েছে । এই বংশ বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে নান্দনিক রুপ দেয়ার জন্য প্রেম ও বিবাহ প্রথা তৈরি হয়েছে । এতে সমাজ সুন্দর ও শৃঙ্খলিত হয়েছে । তসলিমা এই সুন্দর ও শৃঙ্খলকে অস্বীকার করে জরায়ুর স্বাধীনতা দাবী করে । জরায়ুর স্বাধীনতাতো ছিল আদিম সমাজ ব্যবস্থায় । এখন সমাজ আদিম ব্যবস্থায় নেই । আধুনিক এই সমাজে বিজ্ঞানের অগ্রগতি নারী পুরুষের শ্রম বৈষম্য কমিয়ে দিয়েছে । কিনতু মানব সমাজের বংশ বৃদ্ধির বিবাহ নামক নান্দনিক প্রক্রিয়া মানুষ ধরে রাখবে ততদিন , যতদিন রাষ্ট্র নিজ থেকে নবজাতকের দায়িত্ব না নেয় । তারপরও সন্তান লালন পালন এর দায়িত্ব পিতা মাতা উভয়েই পালন করে । মানুষও করে , প্রাণীজগতের অন্যন্য প্রাণীরাও করে । রাষ্ট্র শুধু সন্তান ভরণ পোষণের দায়িত্ব নিতে পারবে । এতে জারায়ুর স্বাধীনতা চলে আসবে না । তসলিমা নাসরিনের নারীর জরায়ুর স্বাধীনতা নিয়ে কথা না বলে বরং রাষ্ট্র ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলা উচিত । আসলে সে সমাজ ও রাষ্ট্রের উত্থান বিষয়ক জ্ঞান কতটা ধারন করে সে বিষয়ে কোন লেখা এখনও পাইনি ।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:০২