নির্বাচিত কলাম
তসলিমা নাসরিন।
৭/৮ দিন সময় নিয়ে পড়েছি। বইয়ের আকারও মোটামুটি বড়।
লেখকের সব কথাই যে ভাল লেগেছে এমনটা নয়। তবে অনেক কিছুই লেগেছে।
দু’এক জায়গা থেকে কোট করছি:
“...............পতিতালয় তুলে দিলে সমাজে ধর্ষনের সংখ্যা বেড়ে যাবে এই বাক্য আউড়ে সমাজের বুদ্ধিমানেরা আসলে দুটো মজা নিতে চায়। পতিতালয় এবং অপতিতা ভোগ।
দেশে পতিতালয়ের সংখ্যা কম নয় এবং ধর্ষনের সংখ্যাও কম নয়। ব্যাবহুত এবং অব্যাবহৃত দুই শরীরই ভোগ করবার আলাদা একটা অানন্দ আছে। তাই রাষ্ট্রের কোনো নীতি যেমন পতিতালয়ের বিপক্ষে যায় না, তেমন অবাধ ধর্ষনের বিপক্ষেও নয়। “ পৃ: ৯৭ (জ্ঞানকোষ প্রকাশনী)
বইয়ের উৎসর্গ পাতায় লেখিকা লিখেছেনঃ
“ তবে কি এই-ই সত্য যে নারীর না মরে মুক্তি নেই।”
আমার ধারণা এই বইটার নাম যত মানুষ জানে তাদের তিন ভাগের একভাগ লোকও বইটা পড়েনি।
যে দুইভাগ লোক পড়েনি তারা কিন্তু মনে মনে একটা হিসেব করে করে রেখেছে বইটা সম্পর্কে।
বইয়ের এক জায়গায় লেখক বলেছেনঃ
“ মানুষের নিয়মই বোধহয় এই যে মানুষ ‘অসংখ্যের’ অনুগত হয়, ‘বিশাল’ এর বাধ্য হয়। ” পৃ:১৩০
এ প্রসঙ্গে কায়কোবাদের একটা কথা মনে পড়ছে: যদ্দুর মনে পড়ে ’মহাশশ্বান’ এর ভুমিকায় তিনি বলেছেন- আমার এই বইয়ের অংশবিশেষ পড়ে কেউ আমাকে ভৎসনা করলে আমি কষ্ট পাব, কিন্তু পুরোটা পড়ার পড়ে আমায় গালি দিলে মাথা পেতে নেব।”
যে কোনো বই পড়ার ব্যাপারে আমার মনে হয় যে পূর্বধারণকৃত যাবতীয় চিন্তা মুক্ত হওয়া এবং পুরো বইটি অধ্যায়ন করাই বাস্তবসম্মত।
যাই হোক এত কথা বলে আমি নিদৃষ্ট কোনো ইংগিত দিতে চাচ্ছিনা ।
নির্বাচিত কলাম’র প্রশংষাস্তুতি বা নিন্দা বর্ষণও আমার উদ্দেশ্য নয়।
শুধু এটা ছাড়া যে, চিলে কান নিয়েছে কিনা তা বোঝার জন্য
চিলের পিছনে দৌড়ানোর আগে আমরা নিজের কান ছুঁয়ে দেখি না কেন?
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৫০