→রান্তার পাশের দোকানটায় বসে আছে অপূর্ব। সুন্দর, হ্যান্ডসাম ছেলে। যেকোনো মেয়েরই পছন্দ হওয়ার মতো পাত্র। বাপের একমাত্র ছেলে। লেখাপড়া ছেড়ে দিছে। বাপের অনেক টাকা। এগুলো উরাচ্ছে।
.
→রাস্তা দিয়ে খুব সুন্দর একটি মেয়ে যাচ্ছে। অপূর্ব সুন্দরী। কাধে কলেজ ব্যাগ। ইন্টার ১ম বর্ষের ছাত্রী। থ্রি পিজের উপর কলেজ ড্রেস পরে আছে।
.
→মেয়েটিকে অপূর্বর চোখে পরতেই ভালো লেগে গেলো। পিছু পিছু ছুটলো মেয়েটির। তার সাথে তার এক বন্ধুও ছিলো। পিছু যেতে যেতে কলেজ পর্যন্ত চলে গেছে। অবশেষে মেয়েটি কলেজের ভিতর ঢুকে গেছে। আর অপূর্ব ব্যার্থ মনে ফিরে এসেছে।
.
→পরেরদিন একই ঘটনা। মেয়েটির পিছু নিয়েছে। মেয়েটিও কিছুটা বুঝতে পারে। কিন্তু কিছু বলেনা। এভাবে ৪-৫ দিন যাওয়ার পর অপূর্ব মেয়েটিকে দাড় করিয়ে প্রপোজ করে ফেলে। মেয়েটির নাম অর্নি। অর্নি প্রথমে দ্বিধা করলেও পরে রাজি হয়ে যায়। রাজি হবেই না ববা কেনো? এরকম হ্যান্ডসাম একটা ছেলে পাওয়া অনেক কষ্টের ব্যাপার। অতঃপর ফোন নাম্বার আদান প্রদান।
.
→তারপর ফোনে চলতে থাকে তাদের আবেগেভরা ভালোবাসার আলাপ। প্রথমে কয়েক মিনিট হলেও পরবর্তীতে তাদের ফোনে কথা বলা কয়েক ঘন্টায় রূপান্তরিত হয়। এভাবে বেশ কয়েকদিন কেটে যায়।
.
→এরই মধ্যে ১২ জুলাই অপূর্বর জন্মদিন চলে এলো। জন্মদিনের আগে অপূর্ব অর্নিকে বলে "জন্মদিনের রাতে তুমি আমাদের বাসায় থাকবে"। কিন্তু এতে অর্নি কোনোভাবেই রাজি হচ্ছেনা। পরে অপূর্ব রাগ করে। অপূর্বর রাগ করাতে অর্নির একদম ভালো লাগছেনা। অবশেষে অর্নি রাজি হয়ে যায়। প্লেন করে বান্ধবীর বাসায় থাকবে বলে বাসা থেকে বেরোবে। অর্নির ফ্যামিলি তাকে অনেক বিশ্বাস করে, তাই তেমন আপত্তি করেনি।
.
→১২ জুলাই। রাত ১২ টা। অপূর্বর এক বন্ধুর বাসায় অর্নি। এখানে অপূর্ব সহ আরো কিছু ফ্রেন্ড আছে। বার্থডে সেলেব্রেশন করবে। বাসায় তারা ছাড়া আর কেউ নেই।
.
→অর্নি একটি কালো শাড়ি পরে আছে। খুব সুন্দর লাগছে ওকে। অবশেষে কেক কাটা হলো একে অপরকে খাইয়ে দিলো,তারপর অর্নি অপূর্বকে বললো "গিফট হিসেবে কি চাও তুমি,? " অপূর্ব অর্নিকে ডেট করার প্রস্তাব দিলো। কিন্তু অর্নি কোনোভাবেই রাজি হচ্ছেনা। অনেক বুঝাচ্ছে অপূর্ব,কিন্তু অর্নি একদম রাজি নয়। অবশেষে অনেক জোড়াজোড়ির পর রাজি হলো অর্নি। অতঃপর তাদের যা হবার তাই হল।
.
→এখানেই শেষ নয়। যেই রুমে অপূর্ব অর্নি মিলন কর ছিলো, সেই রুমে অপূর্ব আগে থেকেই ক্যামেরা লাগিয়ে রেখেছিলো। অর্নিং সতীত্ব এখন একটি ছোট্ট মেমুরীতে আবদ্ব। যেটা যেকোনো সময় লাখো মানুষের কাছে পৌছে যেতে পারে।
.
→অপূর্ব এখন অর্নিকে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা আদায় করছে। শুধু টাকা নয়,যেকোনো সময় অর্নিকে নিয়ে খেলছে। অর্নি বাধ্য মেয়ের মতো সবকিছু সয়ে যাচ্ছে। এছাড়া যে আর কিছু করার নেই। অর্নিযে এখন একটি খেলনা পুতুল। কয়েকবছর পর যখন অর্নির বিবাহ ঠিক হবে,তখন হয়তো অপূর্ব ওকে মুক্তি দেবে নয়তো নিজেকে মুক্ত করতে বিষের বোতল বেছে নেবে।
.
.
→গল্প হলেও সত্যি। এরকমটাই হচ্ছে এখন আমাদের দেশে। শত মেয়ে তাদের সতীত্ব হারাচ্ছে বিয়ের আগে। কেউ বয়ফ্রেন্ডকে খুশি করাতে, আবার কেউ নিজের উত্তেজনার প্রভাবে।
.
→মেয়েদের উদ্দেশ্যেঃ সাবধান হন এই গল্প থেকে। নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারবেননা। ফুলের মতো জীবনটাকে অন্ধকারে ঠেলে দেবেননা। পরিত্যাগ করুন এসব বয়ফ্রেন্ড।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:০২