কুমিল্লার কলেজ ছাত্রী সোহাগী জাহান তনুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি।
সিআইডি কুমিল্লার বিশেষ পুলিশ সুপার ড. নাজমুল করিম খান মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
নাজমুল করিম খান বলেন, এখন পর্যন্ত তদন্তে তাদের মনে হচ্ছে তনুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তাদের ধারণা তনুর মৃতদেহ যেখানে পাওয়া গিয়েছিলো সেখানে তাকে হত্যা করা হয়নি। অন্য জায়গায় হত্যা করে মৃতদেহ সেখানে ফেলা যাওয়া হয়।
সিআইডি ঐ কর্মকর্তা বলেন, তনুর প্রথম ময়না তদন্তের রিপোর্টে তারা সুনির্দিষ্ট কোনো দিক নির্দেশনা পাননি। দ্বিতীয় রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছেন তারা।
তদন্ত সহায়ক দলের প্রধান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আবদুল কাহার আকন্দ ও কুমিল্লা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার ড. নাজমুল করিম খানের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের দল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে কুমিল্লা সেনানিবাসে যায়। সেখানে তারা তনুর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন।
তদন্ত দলের প্রধান এবং সিআইডির সিনিয়র কর্মকর্তা আব্দুল কাহার আকন্দ বলেন, ঘটনাটিকে ঘিরে যে সব বক্তব্য বা অভিযোগ এসেছে তার সব তারা খতিয়ে দেখছেন। তবে তদন্ত কোন পর্যায়ে রয়েছে, অগ্রগতিই বা কতটা হচ্ছে- এসব প্রশ্নের জবাবে তিনি কিছু বলতে চাননি।
সোহাগী জাহান তনুর মৃতদেহের প্রথম ময়নাতদন্তের রিপোর্টে তার শরীরে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। ওই রিপোর্টে মৃত্যুর কারণও জানা যায়নি। এরপর আদালতের অনুমতি নিয়ে কবর থেকে তনুর মৃতদেহ তুলে দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত করা হয়।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান কামদা প্রসাদ সাহা বলেছেন, দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট চূড়ান্ত হতে আরও সময় প্রয়োজন।
গত ২০শে মার্চ কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকা থেকে তনুর মৃতদেহ পাওয়ার পর সারাদেশে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়।
তনুকে হত্যায় এখনও কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ বলেছে, সুনির্দিষ্টভাবে কাউকে চিহ্নিত করার পরই আটকের প্রশ্ন আসবে।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:২৩