রঙ্গে ভরা বঙ্গদেশের নীতি এখন চকচকা,
শোষণ-ত্রাসন নিপাত গেছে, দেশ যে এখন ফকফকা!
হচ্ছে দেশের অগ্রগতি, বলবে কি কেউ হয়না তা?
আমিও তা করব স্বীকার, ধড়ে আমার কয় মাথা?
এখন দেশে সাম্য দেখে আমার ভীষণ সুখ লাগে—
মানুষ-কুকুর দুইজনাতেই আস্তাকুঁড়ে ভিখ মাগে;
আস্তাকুঁড়েয়, রাস্তাজুড়েই —চলছে সুখের বর্ষণ এ।
সেঞ্চুরি রোজ হচ্ছে খেলায়, হচ্ছে আবার ধর্ষণে।
দেশের-দশের উন্নয়নে এখন আমার ভাল্লাগে
তিলের ঘুষে হয়না তো কাজ, এখন পুরো তাল লাগে।
তেলা-মাথা হচ্ছে তেলা আরও তেলের সয়লাবে;
উন্নয়নে যাচ্ছি ভেসে, আমজনতার জয়লাভ এ।
বুকে সুখের পুলক লাগে, তাইতো আমি ভাব মারি—
ঘুষের টাকাই শুল্ক এখন, ঘুষই এখন আবগারি।
অর্থনীতি বদলে গেছে, বদলে গেছে গাছতলা;
মাইনে থেকে উপরি বেশি—খুপরি এখন পাঁচতলা।
এখন আমার বুকের ভেতর নতুন করে জোশ জাগে—
ক্রস ফায়ারে ফায়ার্ড হতে এখন কি আর দোষ লাগে?
এখন শুধু চতুর্দিকে চতুর লোকের হল্লা রে!
ভালোই বাঁচি, ভালোই আছি আর্তনাদের মল্লারে।
বুকে আমার তাপ লাগে—
স্বদেশপ্রেমিক হতে এখন গালে ফ্ল্যাগের ছাপ লাগে।
হিন্দি বুলির গুলির গুঁতোয় বাংলা ফিকে আজ, তবে
স্বদেশপ্রেমের চেতন নিয়ে বেশতো আছি বাস্তবে।
সবার এখন ভাল্লাগে—
যুবার কাছে সব মেয়েকেই এখন নাকি “মাল” লাগে।
লাগুক না মাল, লাগুক না ঝাল—বেশতো আছে দেশখানা,
বিয়ের আগেই বাচ্চা প্রসব—ওসব তো আর কেচ্ছা না।
সব সমানের এদেশখানায় এখন আমার বেশ লাগে—
হে দয়াময়, পৌঁছেছি কি অন্ধকারের শেষভাগে?
—ভাল্লাগে
আহমদ মুসা,
২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮।