বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার মঙ্গলবাড়ী বাজারের এক কিলোমিটর দক্ষিনে এই শিলাস্তম্ভটি (গরুড়স্তম্ভ-লিপি) হাজার বছর ধরে টিকে আছে। স্তম্ভটির নিকটেই একটি উচুঁ টিলার উপর হরগৌরীর মন্দির রয়েছে। এই মন্দিরে (?) যজ্ঞ (প্রার্থণা) হতো এবং সেই যজ্ঞের পুরহিতদের শান্তিপানি মাথায় নেবার জন্য গৌড়েশ্বরগণ এখানে আসতেন। এই শান্তিবারি গ্রহণ করে গৌড়েশ্বরগণ উত্তরে হিমালয় হতে দক্ষিনে সাগর পর্যন্ত বিজয় লাভ করে ছিলেন।
বাংলায় কম্পানী শাসন আমলে বাদাল (বর্তমান বাদাল আশেকীয়া) নীল কুঠির সাহেব স্যার চালর্স উইলকিন্স স্তম্ভটি ১৭৮০ সালের কোন এক শীতের সকালে আবিষ্কার করেন। সেই সময় মালদহ কঠির সাহেব জর্জ উড়নী ও গুয়মালতী কুঠির সাহেব মিঃ ক্রেটন এই বাদাল স্তম্ভ পরিদর্শণ করেন। এই দু ’জন সাহেব অজ্ঞতা বসতঃ শিলালীপির উপরের অংশে নিজেদের নাম ও পরিদর্শন সাল লিখে যান।
যাহোক এই স্তম্ভে ২৮ লাইনের যে শিলালীপি আছে তাহতে ভট্টগুরবমিশ্র নামক এক মহামন্ত্রীর পূর্বপুষের নাম পাওয়া যায়। এবং হাজার বছর আগে বাংলার ইতিহাসের অনেক মাল-মসলা রয়েছে। এক্ষুনে বাদাল স্তম্ভের শিলালীপির বাংলা অনুবাদক অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় মহাশয়ের অনুবাদ অনুসারে সর্বশেষ মহামন্ত্রী (মহাসান্ধিবিগ্রাহিক) এর বংশকুল উল্লেখ করা হলো।
শ্রী ভট্টগুরবমিশ্র পিতা কেদারমিশ্র
কেদারমিশ্র পিতা সোমেস্বর
সোমেস্বর পিতা গর্ভপানি
উল্লেখিত ব্যাক্তিগণ বংশানুক্রমে সবায় গৌড়েশ্বরের মহামন্ত্রী (সান্ধিবিগ্রহ) ছিলেন।
প্রায় হাজার বছর আগে মহামন্ত্রী ভট্টগুরবমিশ্র মঙ্গলবারিব শিলাস্তম্ভ স্থাপন করেন। তথ্যসুত্রঃ গৌড়লেখমাল, লেখক অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়। ১০৫ বছর পূর্বে বাদল শিলাস্তম্ভ (ভীমের পান্টি) র শিলা লিপীর পাঠোদ্ধার করেন তিনি। সম্পূর্ণ শিলালিপীর সংস্কৃত, ইংরেজী ও বাংলা আনুবাদ আমি সংগ্রহ করেছি। এখন রামপালের রাজধানী রামাবতী বা রামৌতি যে ধামইরহাট উপজেলায় তা নির্নয় সম্ভব। ইতোমধ্যেই জগদ্দল মহাবিহার যে রামাবতীর নিকটের সেই জগদ্দল মহাবিহার তা প্রমান হয়েছে।মঙ্গলবারি ভীমের পান্টি (বাদাল শিলাস্তম্ভ)
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:১৮