"অসম্ভবকে সম্ভব করাই অনন্তের কাজ"
অনন্ত অভিনীত গ্রামীণফোন বিজ্ঞাপনের কল্যাণে এ উক্তির সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত। চলুন দেখি তিনি সত্যি সত্যি কি কি অসম্ভব কে সম্ভব করেছেন>>
১/ সময়োপযোগী প্রযুক্তি, গল্প, গান আর নির্মাণ দিয়ে মধ্যবিত্ত দর্শককে আবার প্রেক্ষাগৃহে ফিরিয়েছেন তিনি। এর জন্য তার অর্থ ব্যয় আর আন্তরিকতার ঘাটতি নেই।
২/ দর্শক যখন প্রেক্ষাগৃহবিমুখ, কোনো নির্মাতা যখন সাহস করে অবস্থার উত্তরণে এগিয়ে আসছে না, তখন দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে দেশীয় চলচ্চিত্রের পুনরুজ্জীবনে বিশাল বাজেটে নির্মিত আন্তর্জাতিক মানের চলচ্চিত্র নিয়ে যাত্রা শুরু করলেন এবং সফল হলেন এম এ জলিল অনন্ত। তার চলচ্চিত্র শুধু দেশে নয়, বিদেশের মাটিতেও সমানভাবে প্রশংসিত হচ্ছে। অশ্লীলতার ভয়াল থাবায় নব্বই দশকের শেষভাগ থেকে ঢাকার চলচ্চিত্র বিধ্বস্ত। দর্শক প্রেক্ষাগৃহবিমুখ, একের পর এক প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ এবং ভারতীয় চলচ্চিত্র আমদানির অপতৎপরতায় যখন ঢালিউড নিকষ কালো অন্ধকারে নিমজ্জিত ঠিক তখনই ২০১০ সালে 'খোঁজ দ্য সার্চ' নিয়ে চলচ্চিত্রের পুনরুজ্জীবনে অনন্তর যুদ্ধ ঘোষণা।
৩/ গত ১০ মার্চ অনন্তর 'মোস্ট ওয়েলকাম' চলচ্চিত্রটির ইন্টারন্যাশনাল প্রিমিয়ার হয় লন্ডনের এলফোর্ড সিনেওয়ার্ল্ডে। এর মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো সরকারিভাবে দেশীয় চলচ্চিত্র রপ্তানি হলো। প্রিমিয়ারে সিএনএন, বিবিসি, আল জাজিরাসহ বিশ্বের প্রথম সারির সংবাদ মাধ্যমগুলো অংশ নিয়ে গুরুত্বের সঙ্গে সংবাদ পরিবেশন করে। প্রিমিয়ারের পর লন্ডনের সিনেওয়ার্ল্ড বার্মিংহাম, ব্রেডফোর্ড, এনফিল্ড, উডগ্রিন ওয়ার্ল্ডস ওয়ার্থ, এলফোর্ড, লিউটন ও গুলভার হেম্পটন- এই আটটি প্রেক্ষাগৃহে 'মোস্টওয়েলকাম' মুক্তি পায় এবং বিপুল দর্শকপ্রিয়তা নিয়ে প্রদর্শিত হয়। পরবর্তীতে চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, কাতার ও দুবাইসহ বেশকটি দেশে।
৪/ অনন্তের অন্যতম বড় অর্জন তার চলচ্চিত্র 'নিঃস্বার্থ ভালোবাসা'র আইএমডিবি (IMDb) রেটিংয়ে শক্ত অবস্থান তৈরি করে নেওয়া। বহুল আলোচিত এই রেটিংয়ে বাংলাদেশি কোনো চলচ্চিত্র প্রথমবারের মতো এতো দর্শক ভোট পেল। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলেন অনন্ত।
এতকিছু সত্ত্বেও চলচ্চিত্র জগতে অনন্তর পথচলা মসৃণ নয়। ঈর্ষাকাতরদের ষড়যন্ত্রে পদে পদে তীরবিদ্ধ হতে হচ্ছে তাকে। তারপরেও এ সবকে তুচ্ছ করে দেশমাতৃকার উন্নয়নে বীরদর্পে এগিয়ে চলেছেন ঢালিউডের প্রাণপুরুষ এম এ জলিল অনন্ত।