somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুভি রিভিউঃ " The Lives of Others (Original Title: Das Leben der Anderen) (2006) "

২৯ শে নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হ্যালো ব্লগার বন্ধুরা... আজকে আপনাদের সাথে চরম একটি থ্রিলার মুভির কথা শেয়ার করবো। হয়ত অনেকেই দেখে ফেলেছেন তবে যারা দেখেননি তাদের জন্য ১৩৭ মিনিটের টানটান উত্তেজনায় ভরা মুভি রিমান্ড অপেক্ষা করছে... কি বুঝতে পারছেন না... তবে চলুন মুভির কথায় ফিরে যাই...

(বি.দ্রঃ রিভিউটি আগে আমরা ɯoʌıǝ পাগল™ বোইন qɹoʇɥǝɹ পেইজে শেয়ার করেছিলাম)




আপনি কখন কি করছেন, কোথায় যাচ্ছেন, কার সাথে কথা বলছেন, কি কথা বলছেন এরকম করে আপনার জীবনের প্রতিটি খুঁটিনাটি মুহূর্ত এমনকি চরম ব্যক্তিগত ব্যাপার গুলোও যদি কেউ বসে বসে পর্যবেক্ষণ করতে থাকে তবে ব্যাপারটা কেমন হবে????? কিংবা আপনি যদি খুব লম্বা সময়ের জন্য অন্য কারো জীবন খুব গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে থাকেন তখনি বা কি হবে????



১৯৫০ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত তৎকালীন পূর্ব জার্মানির(GDR) কুখ্যাত ও ধূর্ত গুপ্ত পুলিশ বাহিনী "Stasi" ক্ষমতায় ছিল। তাদের প্রধান কাজ ছিল দেশের সকল মানুষকে পুরোপুরি ভাবে পর্যবেক্ষণ করা এবং তাদের মাঝ হতে ভিন্ন রাজনৈতিক আদর্শের লোকদের খুজে বের করা এবং তাদেরকে শাস্তি দেয়া সহ আরও নানারকম অত্যাচার করা। এবং এতটাই কঠিন ছিল সেই শাস্তি যে অনেকেই ওখান থেকে মুক্তির পর আত্মহত্যা করেছিল। ১৭ মিলিয়ন জনগনের দেশের জন্য তাদের ছিল প্রায় ৯০০০০ অফিসার ১০০০০০ এরও বেশি গুপ্তচর।



"The Lives of Others" ২০০৬ সালে জার্মান পরিচালক Florian Henckel von Donnersmarck এর পরিচালিত প্রথম মুভি। এটি রাজনৈতিক থ্রিলার ধাঁচের মুভি। ২০০৬ সালের শ্রেষ্ঠ বিদেশী ভাষার চলচ্চিত্র ক্যাটাগরিতে অস্কার জয়ী মুভি এটি। মুভির রেটিং-
Imdb-8.5/10, Rotten Tomatoes- 93% fresh, 95% liked it, average rating-4.4/5



মুভির কাহিনী গড়ে উঠেছে মূলত পূর্ব বার্লিনে ১৯৮৪ সালে GDR এর পতনের ৫ বছর আগে যখন GDR নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য চরম শোষণমুলক পন্থা হিসেবে "stasi" পুলিশ বাহিনীর সহায়তায় দেশের সকল নাগরিকদের কে কড়া পর্যবেক্ষণের মাঝে রেখে তদারকি শুরু করে। এবং কারো একটু পান থেকে চুন খসলেই তাকে ধরে নিয়ে কঠিন সব শাস্তি দিত।





ঠিক সেইরকম সময় "stasi" পুলিশের দুর্ধর্ষ এজেন্ট ক্যাপ্টেন উইস্লারের উপর পূর্ব জার্মানীর বিখ্যাত লেখক জর্জ ড্রিম্যান ও তার প্রেমিকা মঞ্চের নায়িকা ক্রিসটা মারিয়া সিল্যান্ডের নজরদারি করার দায়িত্ব পড়ে।



ক্যাপ্টেন উইস্লার বেশ কঠিন এক চরিত্র। সে সমাজতান্ত্রিক আদর্শের অন্ধ অনুসরণকারী। সে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে নিলে যত দেরিই হোক কথা বের করার আগে পর্যন্ত সন্দেহভাজনকারির মুক্তি নেই।



অন্যদিকে ড্রিম্যান সাদাসিদা একজন লেখক যে কিনা সমাজতন্ত্রের প্রতি অনুগত। তবে নিজস্ব বোধ-জ্ঞান সম্পন্ন একজন সুনাগরিকও।



আরও আছে ড্রিম্যানের প্রেমিকা সুন্দরি ক্রিসটা মারিয়া সিল্যান্ড ও ক্রিসটার প্রতি দুর্বল এক দুর্নীতিগ্রস্ত মন্ত্রী।



উইস্লার ২৪ ঘণ্টা ড্রিম্যানের উপর নজদারি শুরু করে। ড্রিম্যানের এপার্টমেন্টের সব জায়গায় এমনকি বাথরুমে পর্যন্ত বাগ ও ক্যামেরা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করতে থাকে।







এভাবে করে নজর রাখতে রাখতে উইস্লারও ড্রিম্যানের জীবনে ঢুকে পড়ে। আর অন্যদিকে ক্রিসটা ও সেই মন্ত্রিও তো আছেই। তারপর... তারপরই তো মজার শুরু... জানতে হলে দেখে ফেলুন।

পরিচালক Florian Henckel von Donnersmarck তার প্রথম মুভিতেই চমৎকার কাজ করেছেন। তৎকালীন পূর্ব জার্মানি ও "stasi" বাহিনীর সব অমানবিক কার্যকলাপ এবং এসব ঘটনার মধ্যে দিয়ে যাওয়া মানুষের অবস্থা অত্যন্ত সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। পুরো মুভিটিতে তিনি অসাধারণ ভাবে সেই সময়কার সকল ঘটনা গুলোকে ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন।

শেষ কথা এটি এমন একটি মুভি যা মিস করা উচিত হবে না।

"An innocent prisoner will become more angry by the hour due to the injustice suffered. He will shout and rage. A guilty prisoner becomes more calm and quiet. Or he cries. He knows he's there for a reason. The best way to establish guilt or innocence is non-stop interrogation."


মুভির নামঃ The Lives of Others (2006)
রেফারেন্স সমূহঃ
http://www.imdb.com/title/tt0405094/
Click This Link
Click This Link

টরেন্ট ডাউনলোড লিঙ্কঃ
The.Lives.Of.Others.2006.720p.Bluray.x264.anoXmous 796MB

(ধন্যবাদ :) )
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৩২
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বেফাঁস মন্তব্য করায় সমালোচনার মুখে সমন্বয়ক হাসিবুল ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৩ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩২



"মেট্রোরেলে আগুন না দিলে, পুলিশ না মারলে বিপ্লব সফল হতো না "- সাম্প্রতিক সময়ে ডিবিসি নিউজে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করে সমালোচনার শিকার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিবুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমিত্ব বিসর্জন

লিখেছেন আজব লিংকন, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৪৮



আমি- আমি- আমি
আমিত্ব বিসর্জন দিতে চাই।
আমি বলতে তুমি; তুমি বলতে আমি।
তবুও, "আমরা" অথবা "আমাদের"
সমঅধিকার- ভালোবাসার জন্ম দেয়।

"সারভাইভাল অব দ্য ফিটেস্ট"
যেখানে লাখ লাখ শুক্রাণুকে পরাজিত করে
আমরা জীবনের দৌড়ে জন্ম... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ হঠাৎ মেহজাবীনের পিছে লাগছে কেন ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৪১


স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ এইবার অভিনেত্রী মেহজাবীনের পিছনে লাগছে। ৫ ই আগস্ট মেহজাবীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘স্বাধীন’। সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট যুক্ত করে অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ তার অফিসিয়াল ফেইসবুকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×