টেস্ট ক্রিকেটের টু টায়ার সিস্টেমে ভারতের তেমন লাভ ছিলো না। তাদের মূল লক্ষ্য ছিলো বিশ্ব ক্রিকেটের অর্থনৈতিক কর্তৃত্ব। বিগ থ্রি বাস্তবায়ন। তারা নিজেরাও জানতো টু টায়ার বা টেস্ট বিভক্তিকরন কেউ মেনে নেবে না। তবু তারা এই নাটক ইচ্ছাকৃত ভাবে করলো এবং শেষে প্রস্তাব ভোটেই উঠালো না। যাতে এটা থেকে সরে আসার বিনিময়ে অন্যান্য দেশ তাদের অর্থনৈতিক স্ট্রাকচারের প্রস্তাবগুলোতে বিনাবাক্যে সমর্থন দেয়।
ভারত সফল। লজ্জা পাচ্ছি। কারন বিসিবিও আজ তাদের সমর্থন দিয়ে দিয়েছে। [সূত্রঃক্রিকইনফো]
ক্রিকেটে বিগ থ্রি প্রভুত্ব কায়েমে ভারতের আর মাত্র একটা দেশের ভোট দরকার। বলা যায় ICC এবার আসলেই Indian Cricket Control Board হয়ে যাচ্ছে। অফিসিয়ালি।
গত ২৭ তারিখে বিগ থ্রি ছাড়া সব দেশের কাছে একটা মেইল করা হয়েছিলো। আইসিসির প্রাক্তন দুইজন প্রেসিডেন্ট এহসান মানি ও ম্যালকম গ্রে, চীফ এক্সিকিউটিভ ম্যালকম স্পীড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন ক্যাপ্টেন ক্লাইভ লয়েডের পক্ষ থেকে সম্মিলিত ভাবে।
মেইলে বলা হয়,
''if the proposal is to get passed, BCB will actually get half of the amount of revenue they are supposed to get under the existing system. According to Mani's analysis, the BCB, under the proposed arrangement, would get only 58 per cent of what they are currently supposed to receive between 2015 to 2023. India on the other hand will receive 483 per cent of what their current amount. ''
[সূত্র-ডেইলি স্টার ২৭ জানুয়ারী]
মেইলটিতে দেখানো হয়েছে ভারতের প্রস্তাবগুলো মানলে সিস্টেমের ফলে ২০১৫ থেকে ২০২৩ সালে বাংলাদেশের আয় ৫৮% 'কমে' যাবে। আর ভারতের আয় বাড়বে বর্তমানের ৪৮৩ গুন বেশি।
বিনিময়ে অনুদান দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোকে।
এখন আইসিসির আয়ের একটা নির্দিষ্ট অংশ ১০ দেশের মধ্যে সমান ভাগ হয়। পজিশন পেপারের প্রস্তাবে ছিল,তিন মোড়লের জন্য সিংহভাগ আয়ের বরাদ্দ রেখে ছয়টি বোর্ডের জন্য টেস্ট ক্রিকেট ফান্ড গঠন করা হবে। বাদ পড়েছিল কেবল দক্ষিণ আফ্রিকা। সংশোধনী এনে সেই তালিকায় দক্ষিণ আফ্রিকাকেও যুক্ত করা হয়েছে। এই ফান্ডের ফলে সাত টেস্ট খেলুড়ে দেশের আয় আগের তুলনায় বাড়বে সত্যি কিন্তু তুলনামূলকভাবে বেশিগুণ আয় বাড়বে তিন মোড়লের। আরও স্পষ্ট করে বললে ভারতের।
বিশ্ব ক্রিকেটে মোট আয় হিসেব করলে বাংলাদেশের পার্সেন্টেজ সেখানে অনেক কম। তাই আগের মতো সমবন্টন না হয়ে এই নতুন নিয়ম অনুযায়ী বন্টন হলে বাংলাদেশের তাতে ক্ষতিই হবে। সেজন্যেই বলা হয়েছিলো বাংলাদেশের আয় ৫০% কমে যাবে। আর এই কারনেই এই নিয়মে সমর্থন দেওয়া মানে নিজেদের ক্ষতি মেনে নেওয়া।
ভারতের এখনো একটা ভোট লাগবে। সব কিছু নির্ভর করছে এখন লংকা,আফ্রিকা আর পাকিস্তানের উপর। দেখা যাক ওরা কি করে। কিন্তু কষ্টটা এখানেই- পাপন সাহেব এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে আমাদের এখন পাকিদের দিকেও তাকিয়ে থাকা লাগছে!
ব্যাপারটা অনেকটা এমন দাঁড়িয়েছে যে,
অনুদানের আশায় নিজের প্রাপ্যটা ছেড়ে দিলাম আমরা।