ছেলেটা যখন এসব সুবিধা প্রথম প্রথম পাওয়া শুরু করে তখন তার বন্ধু আর সিনিয়র মহলে দেখা যায় তীব্র হতাশা আশেপাশের সকল ছেলে তাদের ঢলঢল প্রেমবৈঠকের দিকে আড়চোখে তাকিয়ে থাকে। সকলের সম্মিলিত দীর্ঘশ্বাসে গোতা ক্যাম্পাসের আকাশ বাতাস ভারী হয়ে ওঠে ! সবার দৃষ্টিতে একটাই প্রশ্ন- ঐ ছেলের কি আছে যা আমার নাই?
ছেলেটা বুক ফুলিয়ে যেনো গর্বের সাথে বলতে চায়- ভাইয়ারা শুনেন,আমার পার্সোনালিটি বিসর্জনের ক্ষমতা আছে। এত বড় স্যাক্রিফাইস আপনি করতে পারবেন না সো আফসোস করা বাদ্দেন
ধীরে ধীরে তাদের সম্পর্কটা আরো ঘনীভূত হয়। প্রতি বিকেলে সার্কিটের অংক বোঝানোর সুবাদে ছেলেটা কন্যার পাশে একই রিক্সায় বসে ক্যাম্পাসে হিংসা বিদ্বেষ ছড়ানোর সুযোগ পায় তবে এই পর্যায়ে ছেলেটার নিজেরও লস হতে থাকে কন্যার জন্য প্রতি বিকেলে নিদেনপক্ষে একটা চিকেনের ঠ্যাং ইনভেস্ট করা লাগে তার। আর উঠতে বসতে ফ্রেন্ডসদেরতো পার্টি দেয়া লাগেই! এইসব কিছুই একটি সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য ইনভেস্ট হিসেবে ধরে নেয় ছেলেটা
এরপর একদিন ক্যাম্পাস থেকে বিদায় নেয় এই ছেলে। এই সময় শুরু হয় ট্রাজেডি পরনির্ভরশীল মিস বেস্ট লুক সার্কিটের অংক বোঝানোর জন্য খুঁজে নেয় আরেকজনকে। মিস বেস্ট লুকের নতুন শিকারও পূর্বেরজনের মতো ইনভেস্ট করা শুরু করে ! তবে এই ইনভেস্টও সিংহভাগ সময় লস প্রজেক্ট হয়ে দেখা দেয় কারন ততদিনে মেয়ের বিয়ের বয়স হয়ে গেছে মা বাবার প্রতিটা বাক্য ও শব্দ অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলায় মেয়ের পক্ষে পরিবারের ঠিক করা এস্ট্যাবলিশড পাত্রকে ফেরানো সম্ভব হয় না
অতঃপর ক্যাম্পাস লাইফ শেষ হওয়ার দুইদিনের মাথায় কন্যার ফেসবুক কাভারে জামাইয়ের সাথে হাস্যোজ্জ্বল ছবি ওঠে! আরেকবার গোটা ক্যাম্পাস হাহাকার করে ওঠে! তবে ততদিনে ক্যাম্পাসে নতুন মিস বেস্ট লুকেরও আগমন ঘটে। আবারও ফটোস্ট্যাটের দোকানে পার্সোনালিটি বিসর্জনকারীদের ভিড় শুরু হয়ে যায় ! চক্রটা চলতেই থাকে