আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ইকোনমিস্ট এর পর দৈনিক আমার দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে গঠিত ট্রাইব্যুনাল নিয়ে দুই বিচারপতির স্কাইপির সংলাপ প্রকাশ হওয়ার আগুন ঠান্ডা হতে না হতেই নতুন করে শুরু হলো দেলেওয়ার হোসেন সাঈদীর সাথে তার স্ত্রীসহ বেশ কয়েকজনের নারীর সাথে কথোপকথনের অডিও নিয়ে সমালোচনা। ইউটিউবে বাংলা লিক্স ইউজার আইডিতেই সর্বপ্রথম এই ভিডিওটি আপলোড করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে গত ১৪ ডিসেম্বর আমেরিকা থেকেই এই ভিডিওগুলো আপলোড করা হয়েছে। এসব কথপোকথন শুধুমাত্র পূর্ণবয়স্কদের জন্য।
দেলওয়ার হোসেন সাঈদীকে দাদু হিসেবে সম্বোধনকারী নারীর সাথে সাঈদীর কথপোকথন
নারীকণ্ঠ : হ্যলো। স্লামুলাইকুম।
সাঈদী : ওয়ালাইকুম সালাম, খাওয়া দাওয়া হইছে।
নারীকণ্ঠ :না, খাই নাই।
সাঈদী : এখনো খাও নাও।
নারীকণ্ঠ : আপনি আসবেন বলছেন যে।
সাঈদী : ওহ, কি রান্না করছো।
নারীকণ্ঠ : হুম
সাঈদী : কি রান্না করছো।
নারীকণ্ঠ : লইট্টা ফিশ।
সাঈদী : কি
নারীকণ্ঠ : লইট্টা ফিশ।
সাঈদী : লইট্টা ফিশ, খুব ভালা।
নারীকণ্ঠ : দাদু।
সাঈদী : হুম, বলো।
নারীকণ্ঠ : কাজ শেষ করছেন।
সাঈদী : হুম করছি। তবে কেউ আসলে আমি হঠাত করেই বন্ধ করে দিব।
নারীকণ্ঠ : কেন?
সাঈদী : কেউ আসলে। এখন আমি একা আছি বলো।
নারীকণ্ঠ : তাই
সাঈদী : নামাজ পড়ছো এশা, এশা পড়ছো।
নারীকণ্ঠ : না পড়ি নাই।
সাঈদী : এরে আল্লাহ, এখনো এশার পড় নাই। কাপড় নষ্ট হয়ে যাবে তো।
নারীকণ্ঠ : হুম
সাঈদী : এখনো এশার পড়ো নাই তো, কাপড় নষ্ট হয়ে যাবে।
নারীকণ্ঠ : এতোক্ষন এশার নামাজ না পড়ে থাকে
সাঈদী : হ্যাঁ, তাই বলো।
নারীকণ্ঠ : এখানে যদি নামাজের সময় নামাজটা না পড়ি, এখন আর কোন কাজ হবে।
সাঈদী : তা তো ঠিকই।
নারীকণ্ঠ :হ্যালো
সাঈদী : হ্যালো।
নারীকণ্ঠ : দাদু
সাঈদী : শুনতাছি
নারীকণ্ঠ : শুনতাছেন।
সাঈদী : শুনতেছ তো
নারীকণ্ঠ : বারবার একই জবাব দিচ্ছেন। একেকবার একেক রকম দিতে পারেন না।
সাঈদী : সোনা পাখি,
নারীকণ্ঠ : জি
সাঈদী : ময়না টিয়া পাখি। কি করতাছো এখন।
নারীকণ্ঠ : কি করতাছি মানে, আজকে আমার নানুর বাসায় গেছি।
নারীকণ্ঠ : আমার নানুর বাসায় একটা পেপারে আপনার ছবি আছে।
সাঈদী : আচ্ছা।
নারীকণ্ঠ : ঐ ছবিটা আনতে গেছি।
সাঈদী : কি রকম ছবি ঐটা
নারীকণ্ঠ : আপনার হাফ ছবি।
সাঈদী : আচ্ছা, কবের কথা
নারীকণ্ঠ : ২০০৬, তারিখটা তো দেখি নাই। কালকে দেখে আনবে।
সাঈদী : এটা কি পত্রিকা।
নারীকণ্ঠ : তাও দেখি নাই। পেপারটা দেওয়ালে দিছে তো ঐখানে। ঐখান থেকে ছিড়ে নিয়ে আসছি।
নারীকণ্ঠ : দাদু।
সাঈদী : ময়না পাখি
নারীকণ্ঠ : জ্বি।
সাঈদী : সোনা পাখি, ডানা কাটা পরী।
নারীকণ্ঠ : আজকে আপনার ছবি পেয়ে গেছি। জি
সাঈদী : সোনার হরিণ
নারীকণ্ঠ : জি
সাঈদী : উড়ে আয়, উড়ে আসবি।
নারীকণ্ঠ : হুম
সাঈদী : উড়ে আয়
নারীকণ্ঠ : আপনি তো আমাকে…..যাচ্ছি না তো। ঐখানে ভাগাভাগিতো
সাঈদী : আলাদা রুমে নিয়ে নিব।
নারীকণ্ঠ : আলাদা রুমে তো নিবেন। তা আপনি যদি আমার কাছে আসেন, আরেকদিন আরেকজনের কাছে যেতে হবে।
সাঈদী : এখন কোথায় কি করতাছো তুমি।
নারীকণ্ঠ : আমি বাইরে দাড়িয়ে দাড়িয়ে আপনার সাথে কথা বলতাছি।
সাঈদী : ওহ, ঘরে টেবিল আছে না।
নারীকণ্ঠ : হ্যাঁ, আছে তো।
সাঈদী : ঘরের দরজা বন্ধ করে টেবিলের উপর শুয়ে পড়ো।
নারীকণ্ঠ : টেবিলের উপর কেন?
সাঈদী : টেবিলের উপর পা ঝুলায় দিয়ে তার পরে শুয়ে পড়ো। ………আরেক স্টাইল।
নারীকণ্ঠ : আরেক স্টাইল, তারপর আচ্ছা।
সাঈদী : টেবিলের উপর শুয়ে পা দুইটা ঝুলিয়ে রাইখা।
নারীকণ্ঠ : তারপর,
সাঈদী : তারপর, দুই পার মাঝখানো দাড়ানো।
নারীকণ্ঠ : দুই পায়ের মাঝখানে আপনি দাড়াবেন।
সাঈদী : দাড়িয়ে মেশিন চলবে।
নারীকণ্ঠ : মেশিন চলবে। হুম, ও তাই।
নারীকণ্ঠ : আপনি যে আমাকে বেশিক্ষন সময় দেন না।
সাঈদী : হাত দুটো থাকবে বুকের উপরে। আর পা দুটো ফাক করা থাকবে টেবিলের শোয়া।
নারীকণ্ঠ : আপনি দাড়িয়ে দাড়িয়ে
সাঈদী : হুম।
নারীকণ্ঠ : কোমর ওতো লম্বা, লম্বা হবে কোমর।
সাঈদী : হুম চলবে।
নারীকণ্ঠ : মনে হয় প্র্যাকটিক্যালি।
সাঈদী : হুম, আমি তো ছয় ফিট লম্বা।
নারীকণ্ঠ : তাই।
সাঈদী : হুম
নারীকণ্ঠ : আপনি যখন লম্ব আপনার জিনিসটাও লম্বা হবে।তাই না,
সাঈদী : ঐটা লম্বা আছে, সাড়ে সাত ইঞ্চি।
নারীকণ্ঠ : তাহলে তো কম না।
সাঈদী : আর মোটা আছে ওয়ান এন্ড হাফ।
নারীকণ্ঠ : তাই, ওহ এজন্য তো আমার দাদা বেশি সন্তুষ্ট করতে পারে।
সাঈদী : একটু পান খেয়ে নিই। আপনার সাথে পড়ে কথা বলি হ্যা।
নারীকণ্ঠ : কেন? পান খেতে চান?
অপর আরেক ব্যাক্তির সাথে সাঈদীর কথোপকথন।
সাঈদী : হ্যালো
আসাসলাইমুলাইকুম স্যার, ভালো আছেন।
সাঈদী : ওয়ালুকুম সালাম
পুরুষকণ্ঠ : হুজুর আমি আমি অবসর সেনাসদস্য মোহাম্মদ তওহীদ হোসেন, বাড়ি নওগাঁ।
সাঈদী : জি বলুন।
পুরুষকণ্ঠ : কালকের পেপারে দেখলাম একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের তালিকায় আপনারও নাম আছে । দেখে চিন্তিত হয়ে গেছি হুজুর, চিন্তা করতাছি এবং দোয়া করতাছি আপনার জন্য।
সাঈদী : জ্বি, দোয়া করতে থাকো
পুরুষকণ্ঠ : বাবা, মা সবাই দেয়া করতাছে আপনার জন্য
আপনার মন মানসিকতা কি রকম হুজুর এখন একটু জানতে চাই।
সাঈদী : আমার এই ব্যাপারে কোন দুশ্চিন্তা নাই। কোন দুর্বলতা নেই। দেশে যদি আইন থাকে, বিচার থাকে কিছুই হবে না ইনশাল্লাহা।
সাঈদী : আলহামদুল্লিহ
আর অন্যান্যদের আমাদের ইসলামী আন্দোলনের অন্যান্য নেতাকর্মীদের কি অবস্থা?
সাঈদী : আমার বক্তব্য হলো যারা যুদ্ধই করে নাই, তারা যুদ্ধাপরাধী হয় কি করে। দেখা যাক কি হয়, দোয়া করতে থাকুন। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।
অডিও লিংক- Click This Link