বিশ্বজিতের পোস্টমর্টেম নিয়ে রিপোর্ট লিখার পূর্বে দৈনিক ইত্তেফাকের সাংবাদিক নিশ্চিৎ তীব্র হতাশা কিংবা অলীক কল্পনার জগতে সাঁতার কাটছিলো। নইলে এভাবে মনগড়া রিপোর্ট কোন সাংবাদিকের পক্ষে লিখা সম্ভব নয়। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের শিক্ষক যে ডা. মাকসুদ স্যারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে ইত্তেফাকের সেই রিপোর্টে, সেখানে ডা. মাকসুদ জানামতে কোন সাংবাদিকের সাথে এমন কোন কথাই বলেননি। তথাপি চতুর্থ বর্ষের ক্লাসে দেখানো পোস্টমর্টেম রিপোর্টটাতে পরিষ্কারভাবে লেখা আছে,বুকের বাম পাশে ৩ সেন্টিমিটার গভীরতার একটা ইনজুরি আছে,এই ইনজুরিতে axillary artery ছিঁড়ে যায়, ফলে প্রচুর ব্লিডিং হয় এবং circulatory failure এ মারা যায় বিশ্বজিত। রিপোর্টে এই ইনজুরিটির কথা উল্লেখ থাকলেও সেটিকে ফিচার না করে ডা. মাকসুদের নামে খাপছাড়া সকল অপবাদ দিয়ে চিকিৎসক সমাজের গুষ্ঠি উদ্ধারের উস্কানি দেবার চেষ্ঠা করা হয়েছে। এছাড়া ডা. মাকসুদ যেখানে স্পষ্টভাবে লিখে দিয়েছেন এটি HOMICIDE (হত্যাকান্ড), এমনকি রিপোর্টে বিশ্বজিতের বাবা,মা,ভা
ইয়ের স্বাক্ষর দেওয়া আছে তারপরও ডা. মাকসুদের নামে কুৎসামূলক তথ্য লিখে একটি জাতীয় দৈনিকের রিপোর্টার কি সমগ্র জাতিকে দ্বিধায় ফেলার অপপ্রয়াস করেনি?
এবার দৈনিক সমকালের রিপোর্টিতে বলা হয়েছে, "বিশ্বজিতের ময়নাতদন্ত রিপোর্টে দেখা গেছে তার দেহে ২৩টি আঘাতের চিহ্ন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই তার মৃত্যু হয়।"
হলুদ সাংবাদিকতার এই নিকৃষ্ট উদাহরন সুস্পষ্টভাবে বৈধতার সীমা অতিক্রম করেছে বলে আমি মনে করছি।
ঘটনাস্থল থেকে সলিমুল্লাহ মেডিকেলের দূরত্বের হিসাবে যে পরিমাণ রক্তক্ষরণ হয়েছে তাতে বিশ্বজিতের মৃত্যু হয়েছে জানা যায়, হয়ত আরও দ্রুত চিকিৎসার ব্যাবস্থা নিলে বিশ্বজিৎকে বাচানো যেত। বিশ্বজিৎকে কেন ঘটনাস্থলের নিকটবর্তী ন্যাশনাল মেডিকেলে নেয়া হয়নি সেটা নিয়ে না লিখে সরাসরি বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবি মিজান সাহেব চিকিৎসকদের আরেকবার পিন্ডি চটকালেন। তথাপি পোস্টমর্টেম রিপোর্ট নিয়ে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে উক্ত সাংবাদিক সমাজে বুক ফোলালেন, তাতে পিষ্ট হলো পাষন্ড চিকিৎসক সমাজ। বিশ্বজিৎ, ভাই তুমি মরে গিয়ে বেচে গেছো। আমাদের অসহায়ত্বের আপাত সমাধানের নিকট আবেগ পরাজিত। ভালো থেকো বিশ্বজিৎ!
কৃতজ্ঞতা ~ Ishtiak Chayan