দিনাজপুরে খানসামা উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আতাউর রহমানের ছেলে মুজহিদুল ইসলামের বয়স ১৭।
১৭ বছরে আমার মরার বয়স হয় নাই।
১৭ বছরে আমার জেহাদ বুঝার বয়স ছিল না।
১৭ বছরে আমি আমার প্রথম প্রেমটাও কইরা উঠতে পারি নাই।
১৭ বছর বয়সে আমি বন্ধুদের সাথে কক্সবাজারে যাই নাই।
১৭ বছর বয়সে আমি শেভ করি নাই।
১৭ বছর বয়সে আমি মিছিলে যাই নাই।
১৭ বছর বয়সে আমার বাপে আমারে কয় নাই আমি তোরে আল্লাহর রাহে কোরবানি দিলাম।
আতাউর রহমান কইছে। সে তার পোলারে ১৭ বছর বয়সে জামায়াতের রাজনীতির জন্য কোরবানি দিছে। আল্লাহর পথে না।
সে তার পুত্র মুজহিদুলরে মুজাহিদ বানাইতে চাইছে। নামেই তাই প্রমাণ হয়। জিহাদ করে যে সেই মুজাহিদ। বাংলাদেশে জামাত কি জিহাদ করে?
তাইলে সে জিহাদ কার বিরুদ্ধে?
তার জিহাদে কে তারে আশ্রয় দেয়? প্রশ্রয় দেয়?
আমাদের প্রচলিত রাজনীতির চেয়ে বড় আশ্রয়দাতা আর কে আছে জামায়াতের? সরকার কঠোর হলে এই দেশে জামায়াত পতাকা উড়ায়া গাড়ি চালাইতো না। তাদের আশ্রয়দাতা সরকারে যারা আছে তারা সবাই- আওয়ামিলীগ, বিএনপি, জাপা, সামরিক, অসামরিক সবাই।
মুজাহিদেরা তো শুয়োর কুত্তা বিলাই না, আমার কাঁদামাটির বাংলার মানুষ। তাদের যারা মুজাহিদ বানাইতেছে বানাইতে সাহায্য করতেছে, তাদের আমরা কিছু বলিনা। তারা স্বাধীনতার সপক্ষের-বিপক্ষের দল। আর কেউবা-স্বাধীনতার ঘোষকদের দলের মালিক।
আমরা গালি দেই ১৭ বছরের মুজাহিদরে।
১৭ বছর বয়সে মুজাহিদুল মইরা বাঁচছে।
আরো কত এই রকম ব্রেনওয়াশড মুজাহিদ জীবন্মৃত?
মৃত্যুপথযাত্রী?
মৃত?