হাইকোর্ট কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত এলাকা থেকে স্থায়ী-অস্থায়ী সব স্থাপনা উচ্ছেদ করার নির্দেশ দিয়েছেন। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে এ নির্দেশ দিয়ে এই বিষয়ে আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতেও বলা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালত সমুদ্র সৈকত এলাকার সীমানা নির্ধারণে একটি বিশেষ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। দখল রোধে নজরদারির ব্যবস্থা করতে পুলিশ সুপারকে বলা হয়েছে।
গতকাল বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি শেখ মোঃ জাকির হোসেন সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকত এলাকায় স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে ও নির্মিত স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশনা চেয়ে জনস্বার্থে রিটটি করা হয়। মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে চারজন আইনজীবী রিটটি করেন।
আদালত দীর্ঘতম এ সমুদ্রসৈকত এলাকা দখলমুক্ত করে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, জানতে চেয়ে সরকারের প্রতি রুল জারি করেছেন। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে পরিকল্পনা সচিব, অর্থসচিব, বনসচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, ৫ জানুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত এলাকায় স্থাপনা নির্মাণ করে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্ট করা হচ্ছে- এমন একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনটি যুক্ত করে জনস্বার্থে রিট করা হয়।
আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন মনজিল মোরসেদ। আর সরকার পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আলতাফ হোসেন।