“যে দেশে গুনীর কদর নেই, সেদেশে গুনী জন্মায় না”
আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ তার মেধাবী সন্তানদের ধরে রাখতে পারে না, তাদের থেকে ফায়দা নিতেও পারছে না। অন্যদিকে, এই ছেলেগুলি-ই ইউরোপ, আমেরিকা, চীন, জাপান, অষ্ট্রেলিয়া যেয়ে তাদের মেধা বিকাশের উপযুক্ত জায়গা খুজে পায়। তারা তাদের যোগ্যতা দিয়ে ওসব দেশের উন্নতিতে গুরুত্ত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। তারা তাদের মেধার মূল্যায়ন ও মূল্য পাচ্ছে।
আমাদের প্রিয় বাংলাদেশের প্রতি কি তাদের দেশপ্রেম, দেশবোধ নেই? দায়িত্ত্ব নেই?
চরম ও তিক্ত বাস্তবতা হল, দেশপ্রেম থেকে যারাই এদেশে এসে ভাল কিছু করতে চেয়েছে, তারাই কিছু অশুভ শক্তি ও কালহাতের বাধার সম্মুখীন হয়েছে। তাদের অনেকেরই বক্তব্য, এদেশে দেশের জন্য ভাল কিছু করা খুবই কঠিন।
বাস্তবতা এই যে, বিভিন্ন রাজনৈতিক সুবিধাবাজ ও ফন্দিবাজ, ঘাটে ঘাটে পারসেন্টেজ (চাদা)ভোগীদের উৎপাত, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ও সরকারি মহলে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, লাল-ফিতার দৌরাত্ম, দুর্নীতী, ঘুষ, ও বিভিন্ন Competitor পেশীশক্তির প্রাদুর্ভাব এতই বেশি যে, ভাল বহু প্রচেষ্টা অকালেই মারা যায়।
অধিকন্তু, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, সৎ ও কর্মঠ অফিসার ও কর্মকর্তাদের বিভিন্নভাবে হয়রানী করা হয়। ভাবখানা এমন যে, “টাকা খাবেন, টাকা দিবেন। আপনি খাবেন না, তো উপরে খাওয়াবেন কিভাবে”?
অন্যদিকে, লেজুরবৃত্তিকারী, মোসাহেবী ও দুর্নীতীবাজ কর্মকর্তাদের অধিক সুবিধাজনক অবস্থানে দেখা যায়।
সম্প্রতি, আড়ং-এর জরিমানা ও দুধের এন্টিবায়োটিকের গবেষনার ঘটনা এগুলি সবাইকে পরিষ্কার করে দিয়েছে।
এভাবেই একটা প্রতিষ্ঠান ঘুনে ধরা কাঠের মত খেয়ে যায় ও ধ্বংস হয়ে যায়।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:১৫