------------------------------------------
ইসাবাত অর্থ : সঠিক পথের অনুসরণ।
ইতা‘আত অর্থ : কারো আনুগত্য করা।
ইতা‘আতের জন্য ইসাবাত শর্ত। তাই যখন উলূল আমর বা আমীর সাহেব ইসাবাতকে অবলম্বন করেন, কেবল তখনই তার ইতা‘আত করা আবশ্যক হবে। কিন্তু কখনো ইসাবাতকে উপেক্ষা করে ইতা‘আত করা জায়িয হবে না।
সুতরাং যখন কারো দ্বীনের পথ প্রশ্নবিদ্ধ হয়, তখন তার ইতা‘আত বা আনুগত্য করা কোনক্রমেই জায়িয নয়। এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন--
لا طاعة لمخلوق في معصية الخالق
“আল্লাহ-খালিকের নাফরমানীতে কোন মাখলূক-মানুষের কোনরূপ ইতা‘আত নেই।”
(আল-জামিউস সগীর, হাদীস নং ৯৯০৩/ সহীহুল জামি‘, হাদীস নং ৭৫২০/ দারাকুতনী-তারীখে বাগদাদ, ৩য় খণ্ড, ৩৬২ পৃষ্ঠা/ ই‘লামুল মু‘আক্কিয়ীন, ১ম খণ্ড, ৫৮ পৃষ্ঠা প্রভৃতি)
সুতরাং বর্তমান ফিতনাময় অবস্থায় “ইতা‘আত” নয়, বরং “ইসাবাত”-ই দ্বীন ও ঈমানের দাবী।
ভুলে কারো অনুসরন করে খতিগ্রস্ত হলে দায় নিজেকেই নিতে হবে।
وَقَالُوا رَبَّنَا إِنَّا أَطَعْنَا سَادَتَنَا وَكُبَرَاءنَا فَأَضَلُّونَا السَّبِيلَا
তারা আরও বলবে, হে আমাদের পালনকর্তা, আমরা আমাদের নেতা ও বড়দের কথা মেনেছিলাম, অতঃপর তারা আমাদের পথভ্রষ্ট করেছিল। [ সুরা আহযাব ৩৩:৬৭ ]
رَبَّنَا آتِهِمْ ضِعْفَيْنِ مِنَ الْعَذَابِ وَالْعَنْهُمْ لَعْنًا كَبِيرًا
হে আমাদের পালনকর্তা! তাদেরকে দ্বিগুণ শাস্তি দিন এবং তাদেরকে মহা অভিসম্পাত করুন। [ সুরা আহযাব ৩৩:৬৮ ]
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:২৯