নারী শিক্ষা আর সহশিক্ষা এক নয়
নারীশিক্ষা জরুরীঃ হাদিস অনুযায়ী পুরুষ ও নারী উভয়ের জন্য জ্ঞান (এলেম) অর্জন ফরয। ইসলামের ইতিহাসে অন্যতম সেরা মুহাদ্দিস ছিলেন আম্মাজান আয়েশা রাঃ।
ইসলামী বিষয়ে নারী শিক্ষার ব্যাপক প্রসার হচ্ছে। অনেক মহিলা ক্বাওমী মাদ্রাসা হয়েছে। সেখানে নারীরা হাফেয, আলেম ও মুফতি হচ্ছে। এ তথ্য কি নারীবাদিদের জানা নেই?
তেমনি টেকনিক্যাল বিষয়ে, সাহিত্যে অনেক মুসলিম নারী বিশেষজ্ঞ অতীতেও হয়েছে, এখনো হচ্ছে।
প্রশ্ন নারীশিক্ষা নিয়ে নয়, প্রশ্ন হোল নারীদের শিক্ষার পরিবেশ নিয়ে। বর্তমানে শিক্ষাঙ্গনে নারীরা তথাকথিত বন্ধু, সহ-শীক্ষার্থী এমনকি শিক্ষক কর্তৃক ব্যাপকহারে যৌন নিগৃহীত হচ্ছে। এর জন্য অবাধ মেলামেশার পরিবেশ ও সহশিক্ষা অনেকটা দ্বায়ী।
সহশিক্ষা পরিত্যাজ্যঃ পর্দাহীন পরিবেশ ইসলামের শরীয়তে অনুমোদন নেই। এটা সত্য কথা। মুসলিম হিসেবে এতটুকু মানতে কষ্ট হবার কথা নয়। শুধু তাই নয়, উপযুক্ত পরিবেশের সুফল ধর্ম-বর্ন নির্বিশেষ সবাই ভোগ করে। আর কু-পরিবেশের কুফল ও সবাই ভোগ করে। ইসলাম পরিবেশ রক্ষার দিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ত্বারোপ করে।
শিক্ষা অর্জন করুন, পরিবেশ-ও নিশ্চিত করুন।
নারীশিক্ষা জরুরী, সহশিক্ষা পরিত্যাজ্য।
নারীদের জন্যা আলাদা পরিবহন (বাসের) ব্যবস্থার প্রয়োজন যেকারনে, আলাদা শিক্ষাঙ্গন প্রয়োজন একই কারনে।
ইসলাম শুধু নারীশিক্ষার নয়, নারী-নিরাপত্তার ব্যাপারেও যত্নবান।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৮