জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসির দন্ডাদেশ পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) করা যাবে কি না এই প্রশ্নে শুনানি শেষে তা খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ। আজ সকাল ৯টা ২০ মিনিটে শুরু হয়ে এক দফা বিরতি দিয়ে শুনানি শেষ হয়। শুনানিতে কাদের মোল্লার আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন। সরকার পক্ষে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃতে গঠিত আপিল বিভাগের ৫ সদস্যের বেঞ্চ রিভিউ আবেদন খারিজের আদেশ দেন।
শুনানি ঘিরে সকাল থেকেই সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় নেয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা। আদালতে প্রবেশের প্রতিটি ফটকেই পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা সতর্ক অবস্থান নিয়েছেন। এদিকে আজকের পর থেকে শীতকালীন অবকাশ হবে আপিল বিভাগে। শীতকালীন অবকাশের আগে আজই শেষ কর্যদিবস। এর মধ্যেই বিষয়টি নিস্পত্তি না হলে রায় কার্যকরের বিষয়টি আগামী বছর পর্যন্ত ঝুলে যেতে পারে বলে আদালতের কাছে আশঙ্কা প্রকাশ করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। উল্লেখ্য, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয় গত ফেব্রুয়ারি মাসে। পরে আইন সংশোধনের মাধ্যমে তার সাজা বৃদ্ধির জন্য আপিল আবেদনের সুযোগ পায় রাষ্ট্রপক্ষ। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ কাদের মোল্লার মৃত্যুদন্ড দেয়। আপিল বিভাগের ওই রায়ের বিভিউ হবে কি না তা নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়। এরই মধ্যে গত মঙ্গলবার রাতে রায় কার্যকরের উদ্যোগ নেয় সরকার। সরকারের দুই মন্ত্রী এ ব্যাপারে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন। ওই রাতেই আসামী পক্ষের আইনজীবীরা চেম্বার জজের কাছে মৃত্যুদন্ড কার্যকরে স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করেন। মৃত্যুদন্ড কার্যকরের ঘোষিত সময়ের দেড় ঘণ্টা আগে চেম্বার জজ বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন মৃত্যুদন্ড কার্যকরের বিষয়ে স্থগিতাদেশ দেন।