কুষ্টিয়ায় একাধিক ছাত্রীসহ কয়েকজন নারীর সঙ্গে মেলামেশা ও ভিডিওচিত্র ধারণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে স্কুলশিক্ষক হেলাল উদ্দিন ওরফে পান্নাকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ডিবির সহকারী কমিশনার রায়হানুল ইসলাম দাবি করেন, তাঁর নেতৃত্বে একটি দল গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে হেলালকে গ্রেপ্তার করে।
এ বিষয়ে আজ রোববার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম দাবি করেন, কুষ্টিয়া ডিবি পুলিশের অনুরোধে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ গতকাল সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুর থেকে হেলালকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর কাছ থেকে বেশ কিছু আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেছেন, দেড় শতাধিক মেয়ের সঙ্গে তাঁর অবৈধ সম্পর্ক ছিল। জিজ্ঞাসাবাদে কয়েকজন সহযোগীর নাম বলেছেন তিনি।
হেলাল কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি কুষ্টিয়া আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক ছিলেন। একাধিক ছাত্রীর ওপর যৌন নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁকে বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
হেলাল উদ্দিন বেশ কিছু দিন ধরেই ছাত্রীসহ কয়েকজন নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে মেলামেশার ভিডিওচিত্র ধারণ করেন। সম্প্রতি ওই ভিডিওচিত্র শহরে ছড়িয়ে পড়লে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ ৭ জুলাই চারজনকে আসামি করে মামলা করে। বাংলাদেশ পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২-এর ৮(১) ( ৬) ও (৭) ধারায় করা মামলায় হেলাল ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন প্রকৌশলী আলিমুজ্জামান ওরফে টুটুল, প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম ওরফে সজল ও প্রকৌশলী হাসানুজ্জামান হাসান। তাঁদের বাড়ি কুষ্টিয়ার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামে। তাঁদের মধ্যে হাসানুজ্জামানকে ৭ জুলাই কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। আলিমুজ্জামান ও শরিফুল পলাতক।
অন্যদিকে একই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার মনিরুল ইসলাম ওরফে মনো নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় কুষ্টিয়া গোয়েন্দা পুলিশ।
মামলাটি কুষ্টিয়া গোয়েন্দা শাখায় স্থানান্তর করা হলে গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ তা তদন্ত করছেন।