আমরা যে কত আবাল আর হুজুগে জাতিতে পরিনত হচ্ছি,তার একটি প্রমান উপরের ছবিগুলো। নারায়ণগঞ্জের কল্যান্দি এলাকার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করে শ্রেণীকক্ষে মন্তব্য করেছেন,এই অভিযোগে স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের নির্দেশনায় কান ধরে উঠ-বস করানো হয়েছে।আর এই প্রতিবাদে কিছু আবাল ও হুজুগে পাবলিক নিজের কান ধরে এর প্রতিবাদ করে ফেসবুকে ছবি আপলোড করছে।
এর আসলে কোনো মানেই খুজে পাওয়া যায় না।যদি তাদের গাটস থাকতো তাহলে তাদের উচিত ছিলো,সেলিম ওসমানের বাড়ী বা কার্যালয় শান্তিপুর্নভাবে ঘেরাও করে,তাকে নিজের কান ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা।
আপনি নিচের ছবি দেখুন,উনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ।ওনার ওপর হামলা করে শার্ট ছিড়ে ফেলেছে সন্ত্রাসীরা।এর প্রতিবাদে কেউ কি নিজের শার্ট ছিড়ে ফেসবুকে ছবি আপলোড করছে?
কিংবা নিচের লিংক দেখুন, ময়মনসিংহ মুমিনুন্নিসা সরকারী মহিলা কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপককে প্রকাশ্যে দিগম্বর করা হয়েছিলো।এর প্রতিবাদে কেউ কি দিগম্বর হয়ে প্রতিবাদ করেছিলো?
শিক্ষককে দিগম্বর করলো সাবেক প্রতিমন্ত্রীর ক্যাডাররা
কিংবা নিচের ছবিতে ছাত্রলীগ নেতাদের একজন অধক্ষ্যকে মারতে দেখা যাচ্ছে।কেউ কি এর প্রতিবাদে নিজে নিজে নিজেকে মেরে ফেসবুকে ছবি আপলোড করছে?
সবশেষে নিচের ছবিটি দেখুন।অতি পরিচিত এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে হেফাজতের সমাবেশে আসা আলেম-ছাত্রদের এক সাথে কানে ধরিয়ে বসিয়ে রাখা হয়েছে।আশ্চর্যের বিষয় হলো,এর প্রতিবাদ না করে, ৫ ই মে হেফাজতের কান ধরা দিবস হিসাবে কিছু লোক উপহাস করেছে।অথচ এখানে ছাত্রও যেমন ছিলো,শিক্ষকরাও ছিলো এবং সবচেয়ে লজ্জাজনক হলো ছাত্র ও শিক্ষকদের এক সাথে কানে ধরানো হয়েছে।যা দুনিয়ার ইতিহাসে সম্ভবত এরকম লজ্জাজনক ঘটনা একটিই।
সুতরাং কথা হলো,আপনি নিজে কান না ধরে,যখন সেলিম ওসমানদের কান টানতে পারবেন,সেদিনই হবে আসল প্রতিবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৯