আয়নাবাজির মাতামাতি পরিচালকের চালাকি, দর্শক না বুঝে হল গুলতে ভীর জমাচ্ছে। শোনা যাচ্ছে টিকিটের লাইন লোক দেখানো, সবই সুপারহিট প্রমানে।
অনেকে বলার চেষ্টা করছে, ভাই দেখেন কোন “ত ত” ছবির নকল নয় তো। আর ইউটিউব তো আছেই।
প্রথম আলো নিচের খবরটা ছাপিয়েছে।
আসছে ১০ নভেম্বর জার্মানিতে শুরু হচ্ছে ৬৫তম মানহায়েম-হাইডেব্যার্গ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। আট শতাধিক ছবি থেকে বাছাই করে প্রদর্শনীর জন্য নির্বাচন করা হয়েছে আয়নাবাজি। উৎসবের ‘ইন্টারন্যাশনাল ডিসকভারি’ বিভাগে দেখানো হবে এটি। এত বড় উৎসবে নিজের প্রথম ছবি প্রদর্শনীর সুযোগ পেয়ে ভীষণ আনন্দিত পরিচালক অমিতাভ রেজা। তিনি বলেছেন, ‘সারা পৃথিবীই নতুন নির্মাতাদের অনেক গুরুত্ব দেয়।
এতকাল শুনছি পুরস্কার পাওয়া সিনেমা মরা টাইপের হয়, মানে সিনেমা হলে চালানোর মত সাহস মালিকরা করতে পারে না।
কি আর করা দাও টিভি চ্যানেল এ চালায়ে। এসব কারনেই টেলিফিল্ম বানানোর হিরিক।
আমাদের প্রথম এবং অনলি সাপোর্ট বাংলাদেশ কবে হবে। ৫/৭ বছর আগেও অনেক কথা শুনতে হতো, বাংলাদেশ ক্রিকেট সাপোর্ট করতে গিয়ে।
হবেনা !!
এদের দিয়া হবেনা শুনতে শুনতে আমরা এখন সব দলের কাছেই দুশ্চিন্তার কারন। বিশেষ করে যারা আমাদের সাথে হারলে নিজ দেশের মানুষের তোপের মুখে পরে।
আজ সবাই মনে করতে শুরু করছে খেলাটা দেশপ্রেমের অংশ, খারাপ খেলা হলেও আমরা তাদের সাথে থাকতে চাই। আমরা বিশ্বাস করি, ওরা আমাদের একদিন বিশ্বকাপ এনে দেবে।
উন্নত দেশ হতে হলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধই একমাত্র উপাদান নয়। তাহলে আরব দেশগুলকে উন্নত দেশ বলা হত।
শিক্ষা, সংস্কৃতি, খেলাধুলা, জ্ঞান বিজ্ঞান, চিকিৎসা আরও অনেক উপাদানের সূচক বলে দেয় দেশ কতটা উন্নত। খারাপ সংস্কৃতি সুনাগরিক গঠনের অন্তরায়।
সিরিয়াল আর “ত ত” সিনেমা যখন আমাদের বুঁদ করে রেখেছে, ইয়াবা-ফ্রেন্সিডিল তখন কিশোর-যুবদের ট্রেন্ড। আমরা কিছু করতে পারি না, যারা চেষ্টা করে যাচ্ছে তাদের সাপোর্ট করতে পারব তো।
কে জানে তারাই হয়ত একদিন আমাদের বিশ্ব জয়ীর আসনে বসাবে।
বিঃ দ্রঃ আমি গতকাল টিকেট কাটছি ৪র্থ দিনের, সুবিধামতো সময় না পাওয়ায়। আমার পছন্দ ছিল ১৯,২০,২১ তারিখও। কিন্তু সুবিধামতো সময় না পাওয়ায় ২২ তারিখ। আর লাইন থেকে আগের দুদিন ফেরত আসার কারন বিকল্প ২ দিন পর্যন্ত ধরছিলাম। অবশ্য কাল সে ভুল করিনাই, পুরা ৫ দিনের বিকল্প প্ল্যান ছিল।
Vat + M.Tax প্রায় ২৮ টাকা টিকেট প্রতি। এটাকি স্বাভাবিক? সিনেমা নির্মাতা আর হল গুলো বাচাতে সাময়িক ছাড় দেয়া জরুরী, নয়তো বিনোদনও আমদনি নির্ভর হয়ে যাবে।
টেলিভিশন দেখতে শেষ সিনেমা হলে গিয়াছিলাম। ইউ টিউব ঘ্যাঁটে মেগাবাইট নষ্ট করা থেকে বিরত থাকুন, কারন নেট কিনতেও পেমেন্ট করতে হয়।
ভাই ফ্রি ফ্রি এর দিন ফুরাল নাকি?
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:২৭