সিজার ছাড়া কোন সন্তান জন্মেছে শুনলে অস্বাভাবিক লাগে। কারন সিজার ছাড়া সন্তান জন্মে এই কথাটা সবাই ভুলতে বসেছে। সারা দুনিয়াতে চিকিৎসা বিজ্ঞান নতুন নতুন সব উদ্ভাবন মানুষের জীবনকে সহজ করে তুলছে। বাংলাদেশে সিজার হওয়া মা নেই এমন পরিবার আস্তে আস্তে খুজে পাওয়া দায়। কিন্তু আমরা এমন কি মেডিকেল সায়েন্স রপ্ত করে ফেললাম যে সন্তান সম্মভা মা আসা মাত্রই সিজার এর প্যাকেজ এসে জায় সামনে। অতি সাধারন চিকিৎসা নেবার প্রয়োজন পরলেও আশপাশের দেশে মেডিকেল ভিসা লাগানো লোকের সংখ্যা বাড়ছে। সেখানে সন্তান জন্ম দেয়ার বিষয়ে এতো এক্সপার্ট মেডিকেল ক্লিনিক গুলো কিকরে হল। ৮০/৯০ ভাগ বেসরকারি ক্লিনিক গুলোয় গড়ে উঠেছে সিজার কেন্দ্রিক বিজনেস দিয়া। সিজার করলে একটা রুম দিয়া ৩/৪ দিন এর বিজনেস হয়ে যায়, কিন্ত নরমাল সন্তান হলে ক্লিনিক গুলার রুম খালি পরে থাকে। আপনি সন্তান চান, প্লিজ ৩০/৪০ হাজার টাকা রেডি থাকে যেন। এত কিছুর পর ও যদি ভাল কিছু হতো। শুনেছি সন্তান জন্মের সময় সিজারে আনেস্থেসিয়া দেয়া হয়, আসুন এর পার্শ্বপ্রতিকিয়া জানি,
আনেস্থেসিয়া
চেতনানাশক পদার্থ ব্যবহার দ্বারা ব্যথা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একটি উপায়. এটা আপনার শ্বাস-প্রশ্বাস , উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে প্রবাহিত এবং হৃদস্পন্দন এবং তাল নিয়ন্ত্রণ সাহায্য করে।
** বমি বমি ভাব এবং বমি
** গলা ব্যথা
** বিশৃঙ্খলা
** পেশী বেদনা
** নিশ্পিশ
** চিল এবং কাঁপুনি
** মাথা ব্যাথা
** মাইনর ব্যাক পেইন
** নার্ভ এর ক্ষতি
মাদক কে বন্ধ করতে এর যোগান বন্ধ করা জরুরী। মাদক বিজনেস এর লাভ এর ভাগ যে পকেট গুলাতে যায়, তারা কখনই চায় না এটা বন্ধ হোক। তারা মাদকাসক্তের ক্ষতির দিকটা কি ভাববে। আমদের এতো ক্লিনিক কোন কাজে আসে, এর বিকল্প কিছু সত্যি কি নাই?
মা হওয়া প্রতিটা মেয়েরই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। কিন্তু মাতৃত্ব হোক নিরাপদ।
আনেস্থেসিয়া
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:১৯