ঋণ
আমার অনেক ঋণ- পল্লীমা তোমার
আঁচলে আগলে রেখে- সোনালী শৈশব
ভরেছো জীবন দিয়ে- সুধা বেশুমার
দু'হাতে দিয়েছো ঢেলে- ঐশ্বর্য্য বৈভব
সবুজ দুর্বার পরে- হাটতে দিয়েছো
রাখাল বালক সেজে- মাঠের কিনারে
গরুর পালের সাথে- খেলতে নিয়েছো
বিমূর্ত সেসব জাগে- স্মৃতির মিনারে।
শীতের কুয়াশা এনে- চাদর করেছো
বোশেখের ঝিম ধরা- অলস দুপুর
ঝিঁঝিদের ঝিঁঝিঁ ডাক- আপন করেছো
ফসলের মাঠ যেন- সোনার নুপুর
খাল ভরা সেই মাছ- সেই পানি কই?
ফিরবে না সেসময়- তবু চেয়ে রই!
ঋণ নেই
কারও কাছে আমার কোনো দায় নেই-
শুধু মায়ের কবরটি ঐখানে বলে আমি বাধা
কারও কাছে আমার কোনো ঋণ নেই-
শুধু দক্ষিন ধারে আব্বা শুয়ে বলে আমি বাধা
কারও কাছে আমার কোনো দায় নেই-
আমি চলে যেতাম সেই কবে কোন্ সে অজানায়
শুধু দাদীর পানে চেয়ে হারিয়ে ফেলি খেই-
দাদীটাও যে ঘুমিয়ে আছে নারকেল গাছ তলায়!
কারও কাছে আমার নেই কোনো ঋণ-
কেউ আমাকে আটকে রাখে, সাধ্যি কারও নেই
এই সোঁদা গন্ধ মাটির, বুকে ব্যথা চিনচিন-
মাটির কাছে হেরে গিয়ে আছি আটকে নিজেই!
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২০