ভূঞাপুরের যমুনা নদীতে পিতাকে বেঁধে রেখে ২ মেয়েকে ধর্ষণের এক লোমহর্ষক ঘটনা ঘটেছে। আর এ ঘটনায় ওই দুই মেয়ের পিতা ময়চাঁন আলী বাদী হয়ে রোববার রাতে নৌকার মাঝি সুজালকে প্রধান আসামি করে আসাদুল, নজরুল, রহমান, সাইদুলের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও তিন জনের বিরুদ্ধে ভূঞাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। এদিকে সোমবার দুপুরে উত্তেজিত এলাকাবাসী ধর্ষকদের বাড়ি ও নৌকা পুড়িয়ে দিয়েছে।
মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের বেলটিয়াপাড়া গ্রামের কৃষক ময়চাঁন আলীর দুই মেয়ে গাজীপুরের একটি গার্মেন্টে চাকরি করতো। গত ১৩ই এপ্রিল সন্ধ্যায় তারা ছুটি নিয়ে গাজীপুর থেকে বাড়ির উদ্দ্যেশে রওনা দেয়। বাড়ি ফিরতে রাত হবে মনে করে বাবাকে মোবাইল ফোনে নৌকা নিয়ে গোবিন্দাসী ঘাট পর্যন্ত এগিয়ে আসতে বলে। মেয়েদের কথামতো বাবা ময়চাঁন আলী সুজালের (২৮) নৌকা ভাড়া করে গোবিন্দাসী ঘাটে আসে। দুই বোন গোবিন্দাসী ঘাটে এসে পৌঁছালে ওই নৌকাযোগে বাবার সঙ্গে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। তাদের বহনকারী নৌকাটি যমুনা নদীর রামপুর নামক স্থানে পৌছলে নৌকা চালক সুজালের যোগসাজসে আসাদুলের নেতৃত্বে নজরুল, রহমান, সাইদুলসহ পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা আরও কয়েকজন নৌকাটির গতিরোধ করে হামলা করে। এসময় তারা মেয়েদয়ের সঙ্গে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নেয়। পরে তারা পিতার হাত-পা বেঁধে নৌকাতে ফেলে রেখে তার ২ মেয়েকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে তারা হুমকি দেয় এ ঘটনা জানাজানি করলে ধর্ষিতা ২ মেয়ে ও তার বাবাসহ পরিবারের সবাইকে মেরে ফেলা হবে। এ কারণে পরিবারটি প্রাণভয়ে কিছুদিন ঘটনাটি আড়াল করে রাখে
এদিকে উত্তেজিত এলাকাবাসী সোমবার দুপুরে ঘটনার সঙ্গে জড়িত নৌকার মাঝি সুজাল, আসাদুল, শাহাদুল ও নজরুলের বাড়িসহ বেশ কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এছাড়াও তারা মাঝি সুজালের দু’টি নৌকা পুঁড়িয়ে দেয়। ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. ফজলুল কবির বলেন, ঘটনাটি ঘৃণিত ও ন্যাক্কারজনক। আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
সুত্র :