ছয়-সাত মাস বা তারও আগে বাংলাদেশে ভারতীয় কলকাতা ছবি আমদানির ব্যাপারে এক দল লোক অতি উৎসাহী ছিল। তাঁদের যুক্তি ছিল এদেশে ভাল মানের ছবির অভাব এবং দর্শক খরা। #আয়নাবাজি ছবিটি দেখে এবার তাঁরা নিজ দায়িত্বে লজ্জিত হয়ে নিবেন। আয়নাবাজির ভাল রিভিউ আসতে থাকলে, বাঁশমারা কোর্সের বাঁশমারা এক্সাম দিয়ে বাঁশ খাওয়া ফিলিংটাকে প্রশমিত করে আয়নাবাজ হয়ে আসলাম । নাটকের চঞ্চল আর চলচিত্রের চঞ্চল, এই দুয়ের মধ্যে আকাশ-পাতাল পরিমান পার্থক্য। চলচিত্রের চঞ্চল আরও অনেক বেশি পরিনত, দুর্দান্ত সব এক্সপ্রেশন ও অসম্ভব আয়নাবাজ! চঞ্চল টাকার বিনিময়ে অন্যর বদলি হয়ে জেল খাটে। এই জন্য তাকে চরিত্র বদল করতে হয়। এই বদলটা সে কতটা নিখুঁত ভাবে করে তা না দেখলে, লিখে সেই নিখুঁতের পরিমান বোঝানো যাবে না! নাবিলার লুক, এক্সপ্রেশন ও ফিগার বলতে হবে ভালই ছিল। ছবিতে শরাফত করিম আয়নার(চঞ্চল) সাথে প্রণয়ের রোল ছিল নাবিলার। ছবি দেখে হলে আসার পর একবন্ধু জিজ্ঞাসা করল, “আয়নাবাজি কেমন”? এক কথাই বলে দিয়েছি, টাকা এবং সময়ই দুটোই উসুল হয়েছে। আয়নাবাজির জন্য এর থেকে বেশি কি কমপ্লিমেন্ট থাকতে পারে?
পরিশেষে বলতে চাই, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধি-ভিতিক অর্জনের ক্ষেত্রে এত দেউলিয়াত্বের পর্যায়ে পোঁছে নাই যে, ভারতীয় ছবি আমদানি করে এদেশের মানুষের বিনোদনের চাহিদা মেটাতে হবে
লাগ ভেল্কি, লাগ ভেল্কি, আয়নাবাজির ভেল্কি লাগ
জীবন নামের এই ছবিতে দুঃখ-সুখের নেই ফারাক
লাগ ভেল্কি, লাগ ভেল্কি, আয়নাবাজির ভেল্কি লাগ
দিনের ভিতর রাত ডুকে যায় ঘোর লাগা আচম লাগবে তার।