-আ্যই ওই দিকে কি দেখো?
-সৌন্দর্য্য দেখি
-সৌন্দর্য্য দেখো না মেয়ে দেখো?
-আরে মেয়ে ই তো সৌন্দর্য্য।মেয়েদের বলা হয় সৌন্দর্যের প্রতিক।সৌন্দর্যের আরো একটা প্রতিক আছে।বল দেখি কী?বলতে পারলে পুরস্কার না পারলে তিরস্কার।দু বার কান ধরে উঠবোস।
-আর একটা প্রতিক হচ্ছে ফুল।এই নিয়ে তুমি কতবার এই একই প্রশ্ন করেছো তোমার ধারনা আছে?
-না নেই।একটা জিনিস লক্ষ্য করেছো তিতলী,কৌশলে কিন্তু মেয়ের সাথে ফুলের তুলনা করা হয়েছে।এক একটা মেয়ে এক এক টা ফুল
কেউ গোলাপ,কেউ জবা।পতিতারা কি জানো?পতিতারা হচ্ছে রজনীগন্ধা।
-আমি কি?
-তুমিও রজনীগন্ধা।
-তার মানে কি?আমি পতিতা?
-জানি না তিতলী।সকল প্রশ্নের উত্তর জেনে আমার জন্ম হয় নি।
-ওই দিকে কি দেখো?এই দিকে তাকাও।আমার প্রশ্নের উত্তর দাও।
-সৌন্দর্য দেখছি তিতলী।বাধাঁ দিও না।সৌন্দর্য দর্শনে বাধাঁ প্রদানের অপরাধে তোমার ফাঁসি হয়ে যেতে পারে।
তিতলীর গলা ধরে এসেছে।সে ধরা গলায় বললো-ওই দিকে কি এমন সৌন্দর্য আছে যে তোমাকে দেখতে হবে?
-মেয়েটা বুকে ওড়না দেয় নি।বুক দেখছি।এটাও এক ধরনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।জানি অনেকে বলবে এটা অশ্লীল।কিন্তু তারা জানে না যে সুন্দর জিনিস কখনো অশ্লীল হয় না।
তিতলী মুখে হাত দিয়ে কাঁদছে।কাঁদুক।জিবনে কান্নার প্রয়োজন আছে।নাবিলের ভালই লাখছে।প্রিয়জনকে কাঁদিয়েও আনন্দ আছে।এ আনন্দ ভিন্ন আনন্দ।কোন কিছুর সাথে এর তুলনা নেই।আর পৃথিবীতে তো এমন মানুষের সংখ্যাই বেশি যাদের জন্য কেউ কাঁদে না।তাই যখন কেউ কারো জন্য কাঁদে অবশ্যই সেই মানুষটা ভাগ্যবানদের একজন।
আচ্ছা তিতলী কি জানে আমার পছন্দের ফুল রজনীগন্ধা।জানে না নিশ্চয়ই।জানলে এমন করে কাঁদতে পারতো না।
নাবিল এতক্ষন যা দেখছিল তাতে আবার মননিবেশ করলো।দুইটা কাক ফুটবল খেলার গোল বারের উপর পাশাপাশি বসে আছে,মাঝে মাঝে ঠোঁট ঠোকরাচ্ছে।আক্রমনাত্মক ভাবে না;ভালবাসার আদরে।মানুষ কিভাবে এই পাখিদের কুৎসিত বলে?কিভাবে?যাদের মাঝে ভালবাসা আছে তারা কখনই কুৎসিত নয়।কুৎসিত তারাই যারা ভালবাসতে জানে না,কুৎসিত তারাই যারা ভালবাসতে ভুলে গেছে।