তিতলী বধূ বেশে পুকুরপাড়ে বসে আছে।তার পাশে নাবিল বসে আছে।দুই জনের চোখ ই আকাশের দিকে।আকাশে মস্ত বড় একটা চাদ উঠছে।পূর্ণিমার চাদ।চাদের প্রতিবিম্ব পুকুরের জলে পড়েছে।
- আচ্ছা তিতলী চাদ বেশি সুন্দর না তুমি বেশি সুন্দর?
-জানি না।
- আমার মনে হয় চাদ ই বেশি সুন্দর।
-তাইলে চাদকে বাদ দিয়ে আমাকে বিয়ে করলে কেনো?চাদকেই বিয়ে কর
-না।চাদ কারো একার নয়।চাদ সবার।সবাই চাদকে উপভোগ করবে।অনেকটা পতিতার মত।
-ছি।চাদের মত এত সুন্দর সৃষ্টিকে পতিতার সাথে তুলনা করতে তোমার খারাপ লাগলো না?
-না লাগলো না।ভাল খারাপের অনুভুতি আর নেই।
-ভাল।খুব ভাল।
নাবিল পানির মধ্যে নেমে পড়ে।তার সাদা ধবধবে পাজ্ঞাবি ভিজে যায়।
-তিতলী,তোমার হাত টা আমাকে একটু ধরতে দিবে?আমি কোনদিন কোন মেয়ের হাত ধরি নি।
তিতলীর গাল বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পরে।তার কন্ঠ রোধ হয়ে যায়।অনেক কষ্টেও তিতলী বলতে পারে না-ধর।আজিবনের জন্য ধর।আর কখনো ছেড়ে না এই হাত।নিশব্দে তিতলী হাত এগিয়ে দেয়।তার খুব ভাল লাগা শুরু হয়।খুব।
নাবিল তিতলীর হাতটা ধরে।নাবিলের হাত কাপছে।অস্বাভাবিক ভাবে কাপছে।মানুষের হাত এত শীতল কেনো?এত নরম কেনো?এত প্রেমময় কেনো?একটু কম প্রেমময় হলে কি ক্ষতি হত?
নাবিল দেখে পুকুরে চাদের প্রতিবিম্বটা যেন হেসে উঠলো।হ্যা।হয়তো এটা চোখের ই ভুল।প্রকৃতি সুন্দর সময়ে বিম্ভ্রম তৈরি করতে পছন্দ করে।এটা প্রকৃতির একটা খেলা।তবে প্রকৃতি সবাইকে নিয়ে খেলে না।প্রকৃতি খেলে তার প্রিয় সন্তানদের নিয়ে।আর প্রকৃতির প্রিয় সন্তানরা হচ্ছে যারা ভালবাসাবাসি করে।ভালবাসায় বুদ হয়ে একজন আর একজনের হাত ধরে,জড়িয়ে ধরে একে অপরকে।
তিতলীর বাসর রাতে তাদের তথাকথিত দেহের মিলন হয় নি।যা হয়েছিল সেটা হচ্ছে মনের মিলন।দেহের মিলনের চেয়ে মনের মিলন ই বেশী প্রয়োজন।মনের মিলন ব্যতীত দেহের যে মিলন সেটাকে আদর করে ধর্ষন ডাকা যেতে পারে।নাবিল তার প্রিয়তমা প্রেমিকাকে ধর্ষন করতে চায় নি।ভালবাসতে চেয়েছিল।শুধুই ভালবাসতে চেয়েছিল।