- ওমা তোমার হাত কাটা কেনো?
- কেটেছি তাই কাটা।
- কিভাবে কাটছো?
- ক্ষুর দিয়ে কাটছি।ক্ষুরের ধার পরিক্ষার জন্য
- ক্ষুরের ধার পরিক্ষার জন্য হাত কাটতে হবে?
- হ্যা হবে।আর আমি কিন্তু শুধু শুধু হাত কিন্তু কাটি নাই।কেটে একটা অক্ষর ও লিখছি।
- কি অক্ষর?বোঝা যাচ্ছে না।
- ত
- ত তে কি?
- ত তে তিতলী।
তিতলীর কান্না পেয়ে গেল।সে ভাবতে পারে নি নাবিল তার জন্য এটা করতে পারে।কিন্তু বাইরে সে এটা প্রকাশ করলো না।কোন মেয়ে ই করে না।তাই তারা সেটা অস্বিকার করে এবং আরো কিছু ভালবাসার কথা শুনতে চায়।তিতলী ও চায়।কারন সে খুব সাধারন একটা মেয়ে।
- সত্যি?আমার ধারনা মিথ্যা।ত তে অন্য কিছু।
- ঠিক ধরেছো।ত তে অন্য কিছু।ত তে হচ্ছে তিথি।আমার ছোট বেলার বান্ধবি।বিশিষ্ট খচ্চর।আমার হাতে একবার খামছি দিয়েছিল।বিনিময়ে আমি ওর মুখে খাম্ছি দিয়েছিলাম।আমার সাথে ফাজলামি?বদ মেয়ে কোথাকার!
তিতলীর দুনিয়া কেপে উঠলো।কোন মেয়ে ই তার প্রিয় মানুষের মুখে অন্য মেয়ের কথা শুনতে পছন্দ করে না।তিতলীর আবার ও কান্না পাচ্ছে।তিতলীর কান্না পাওয়ার রোগ আছে।মারাত্মক রোগ।অল্পতেই তার কান্না পায়।
- তুমি তার নাম লিখবা কেন?সে তোমার কি হয়?তার সাথে তোমার কি সম্পর্ক?
- সে আমার পুরাতন প্রেমিকা।তার সাথে ছিল আমার গভীর প্রেম।তার ঠোটে একবার আমি.....
তিতলী কানে হাত দেয়।সে আর কিছু শুনতে চায় না।দৌড় দিয়ে সে বাথরুমে ঢোকে।বাথরুমের আয়নার সামনে গিয়ে দাড়ায়।এখন সে আয়নায় নিজের কান্না দেখবে।তার খুব ই কাদতে ইচ্ছা করছে।খুব।
কান্নার পরে হাসি আসে এই কথাটা ভুল।অনেকের ক্ষেত্রে কান্নার পরে আবার ও কান্না আসে।এই যেমন তিতলীর ও কান্নার পরে আবার ও কান্না আসবে যখন সে বাথরুম থেকে বের হয়ে দেখবে নাবিলের হাতে রক্তে জ্বলজ্বল করছে একটি নাম।তার নিজের না।-তিতলী।
তবে হ্যা তিতলীর এই কান্নায় যে অশ্রু ঝরবে সেই অশ্রুতে কিছু ভিন্ন কথা লেখা থাকবে।কিছু ভালবাসার কথা লেখা থাকবে।সেই লেখা আমি আপনি বুঝতে পারবো না।কারন সেই লেখা গুলো মানুষের মনের একদম গোপন কথা।প্রকৃতি মানুষের মনের গোপন কথাগুলো ফাশ করে না।একদম না।