-এইটা কি?ব্যাডমিন্টনের ব্যাট?
- না।এটা মশা মারার ব্যাট।
- বল কি?ব্যাট দিয়ে পিটায় মশা মারতে হবে?
- হুম।তোমার সমস্যা কি?ইলেক্ট্রিক শক খেয়ে মশা মরবে।
- বল কি! এই নিরীহ জীবকে এই রকম নির্মম ভাবে মারা উচিত না।মারা গেলে জাহান্নামে আমাদের ও তাইলে ব্যাট দিয়ে পিটায় রোস্ট বানাবে।
-বেশি কথা বল তুমি।নাও ব্যাট দিয়ে মশা মারো
-ব্যাট দিয়ে মশা মেরে জাহান্নামে ব্যাটের মাইর খাওয়ার কোন ইচ্ছা আমার নাই।
-উফ! আচ্ছা মশারী টা টাঙ্গায় দাও
- মশারীর ভিতরে থাকলে দম বন্ধ লাগে,নিজেকে চিড়িয়া মনে হয় যে খাচার মধ্যে ঢুকে আছে সামান্য মশার ভয়ে।
-তাইলে কি সারারাত মশার কামড় খাবা?
-হুম।মশার কামড় খাবো।মাঝে মধ্যে দুই একটা মশাও খাবো।ভিটামিন আছে।
- তোমার সাথে সংসার করার আমার পক্ষে সম্ভব না।আমি এখনি মায়ের কাছে চলে যাচ্ছি।
- আচ্ছা যাও।তোমার সুটকেসের হাতলটা তো ভাঙা।নিয়ে যাবা কিভাবে?
-সুটকেস ছাড়াই যাব।এক কাপড়ে যাব।
-আচ্ছা যাও।এই শাড়ীটা বদলায় যাও।এই শাড়ীতে তোমাকে কাজের মেয়ের মত লাগে।কাজের মেয়ে তিতলী।
তিতলী হনহন করে বাসা থেকে বের হয়ে গেল।তার খুব ই কান্না পাচ্ছে।এ কেমন মানুষকে সে বিয়ে করলো?রাগ করে না হয় সে বলেছে সে মায়ের কাছে চলে যাবে তাই বলে সে বাধা দিবে না?উল্টা বলবে আচ্ছা ঠিক আছে?একবার ও চিন্তা করলো না যে এত রাতে একটা মেয়ে কিভাবে যাবে?তিতলীর আরো বেশী কান্না পাচ্ছে।
নাবিল বিছানায় শুয়ে পড়লো।মশা মারার কোন মানেই হয় না।মশা আর কত রক্ত ই বা খাবে।খাক রক্ত।মশকী রক্ত না খেলে তার বাচ্চা হবে না।সেও মা হওয়ার স্বপ্ন দেখে।সে ও চায় তার সন্তান সন্ততি হোক।মা হতে না পারার দুখ তারাই বোঝে যারা মা হতে পারে না।সেটা মানুষ ই হোক বা মশকী ই হোক।মা সবাই হতে চায়।মা তো মা ই।
নাবিল সম্পুর্ণ নগ্ন হল।গায়ে কাপড় থাকলে মশাদের রক্ত খেতে কষ্ট হবে।