সকালে পড়লাম
দুষ্টু এক কাক যখন আমার কাধে ইয়ে করে দিল
পাশের বাড়ীর রুপসী যখন মুচকি হাসি দিল
বিশ্বাস কর,তখনো মনে মনে পড়ছিলাম
পড়তে পড়তে দুপুর
দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা
সন্ধ্যার সোনালি হলুদ সোডিয়াম লাইটের নিচে
এক ফালি চাদকে গিলে ফেলার লোভ সামলে
পড়তে থাকলাম
পড়তে থাকলাম
রাত বাড়তে থাকলো
ল্যাম্পপোস্টে পোকার ভিড় কমতে থাকলো
তবুও আমি পড়তে থাকলাম
তুবুও আমি পড়তে থাকলাম
তবুও মনে পড়লো না আর আমার
শেষ প্রিয় ডাকনাম
হঠাৎ করে সব কিছু নিথর নিস্তব্ধ
থেমে গেল সিটি বাস
থেমে গেল হাইড্রলিক হর্ণ
চমকে তাকালো নগরীর ঝাড়ুদার
নিথর নিস্তব্ধ এক প্রেমিকের নিথর মৃতদেহ মূহূর্তে হয়ে উঠলো শখের ফটোগ্রাফারের সাবজেক্ট
আমার শেষ তিন পৃষ্ঠা আর পড়া হল না প্রিয়
তোমার ডাকনামটি আমার আর জানা হল না
তুমি ঘরের ভিতরেই বসে থাকলে
তুমি বারান্দায় এসে দাড়ালে না
আমার চোখের রেটিনায় ধরা পড়লো না আর আমার প্রিয় হাসি মুখ
শুধু তোমার ডাকনাম ধরে ডাকি নি বলে
***কবিতাটা একটি মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষকে নিয়ে লেখা।তার প্রেমিকা তাকে ছেড়ে যাওয়ার পর থেকে তার মানসিক সমস্যা সৃষ্টি হয়।একটা সময় সে তার প্রেমিকার নামটি ই ভুলে যায়।অনেক কষ্টেও আর মনে করতে পারে না।পরে তার মনে একটা অন্ধ বিশ্বাস সৃষ্টি হয় যে যদি সে তার প্রেমিকাকে তার ডাকনাম ধরে ডাকতে পারে তবে তার প্রেমিকা সেই ডাক অগ্রাহ্য করতে পারবে না।এ জন্য যে একটা ডাকনামের বই কিনে পড়া শুরু করে যদি নাম দেখার পর তার কিছু মনে পড়ে।কিন্তু বইটি শেষ করার আগেই তার মৃত্যু হয়।মৃত্যুর কারন রহস্য ই থাক।হতে পারে রোড আয়াকসিডেন্ট কিংবা হতে পারে তার সেই পুরাতন প্রেমিকাই তার খুনী।পৃথিবী বড় নিষ্ঠুর জায়গা।এখানে সব ই সম্ভব।
তবে পাগলটির মৃত্যু কিন্তু সুখের মৃত্যু ছিল।এই রকম অনেক মানুষ ই আছে যারা অন্ধ বিশ্বাস নিয়ে বেচে থাকে।সুখে থাকে।