somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রসঙ্গ: বিটিভি - প্রথম কিস্তি

০৬ ই অক্টোবর, ২০০৮ দুপুর ১:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশ টেলিভিশনের অনুষ্ঠানমালা সম্পর্কে বিভিন্ন সময় পত্র-পত্রিকায় এন্তার লেখালেখি চোখে পড়ে। যদিও এর বেশির ভাগই বিটিভির প্রতি আক্রমণাত্মক। অবিশ্যি, স্বাধীন বাংলাদেশে বিটিভি নামক সরকারি প্রচার মাধ্যমটিকে বলতে গেলে সব সরকারই ঠুটো জগন্নাথ বানিয়ে রাখার মধ্যে স্ফূর্তি লাভ করেছে। তাই দেশের সামগ্রিক দুর্নীতি এবং দুর্বৃত্তায়নের প্রেক্ষাপটে বিটিভির কাছ থেকে সদাচারণ বা সুবোধ বালকের মতো আচরণ প্রত্যাশা করা যায় না নিশ্চয়ই। বিশেষত যখন সব সরকারই এটিকে কর্তার ইচ্ছায় কীর্তন করাতে বা কর্তার ঢাকের কাঠি বানাতে বদ্ধপরিকর থেকেছে তখন এর অনুষ্ঠান বিষয়ক বা অন্যান্য বিষয়ক কর্মকর্তাদের পক্ষে স্বাধীনভাবে কাজ করা সম্ভবই বা হবে কি করে।

আর যে দু’একজন কখনও সখনও একটু স্বাধীনভাবে কাজ করতে চেয়েছেন তাদের পরিণতি কি হয়েছে সে কথা বোধকরি নতুন করে বলার দরকার নেই। এ ক্ষেত্রে প্রয়াত আব্দুল্লাহ আল মামুনের কথাই সবচেয়ে জ্বলন্ত উদাহরণ নয় কি? মুস্তাফা মনোয়ার, আব্দুল্লাহ আল মামুন, আতিকুল হক চৌধুরী, মুস্তাফিজুর রহমান, মোস্তফা কামাল সৈয়দ, নওয়াজেশ আলী খান, হায়দার রিজভী প্রমুখ বিশিষ্ট টিভি অনুষ্ঠান নির্মাতাতো একসময় বিটিভিতেই ছিলেন। তখন অনুষ্ঠানের মান নিয়ে খুব কমই অভিযোগ উঠতে দেখা গেছে। এদের পরবর্তী প্রজন্ম নাসিরুদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু, আল মনসুর, ম হামিদ এরাও অনুষ্ঠান নির্মাণের ক্ষেত্রে যথেষ্ট পারদর্শীতার পরিচয় দিয়েছেন। এদের মধ্যে কেউ সরকারি চাকরির বিধান মেনে বয়সের কারণে অবসর নিয়েছেন, কেউ রাজরোষে বা সরকারের সংকীর্ণ দলবাজির খপ্পরে পড়ে নিমকো ইত্যাদিতে বাধ্যতামূলকভাবে স্থানান্তরিত হয়ে সৃজনশীল কর্মকাণ্ড করা থেকে বাদ পড়েছেন।

কেউ আবার সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় বিটিভির অভ্যন্তরে সৃষ্ট দলাদলি বা অহেতুক হস্তক্ষেপের ফলে বোঝাপড়া করতে না পেরে স্বেচ্ছায় বিটিভির সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করেছেন। এমনিভাবে বিটিভির সৃজনী গুণসম্পন্ন মানুষগুলো প্রধানত বিভিন্ন সরকারের আমলে প্রতিষ্ঠানটিকে তাদের পূর্ণ কর্তৃত্বাধীনে রাখার হীন মানসিকতার কারণে বিটিভিতে আর থাকতে পারেননি। যদিও এই বয়োবৃদ্ধদের অনেকেই এখনও কিন্তু কোন না কোন প্রাইভেট চ্যানেলে স্বচ্ছন্দে কাজ করে যাচ্ছেন। অর্থাৎ সৃজনী প্রতিভাধর ব্যক্তিদের জন্য সব সময়ই গরজ বড় বালাই, বয়স কোন বালাই নয়।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বেফাঁস মন্তব্য করায় সমালোচনার মুখে সমন্বয়ক হাসিবুল ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৩ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩২



"মেট্রোরেলে আগুন না দিলে, পুলিশ না মারলে বিপ্লব সফল হতো না "- সাম্প্রতিক সময়ে ডিবিসি নিউজে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করে সমালোচনার শিকার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিবুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমিত্ব বিসর্জন

লিখেছেন আজব লিংকন, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৪৮



আমি- আমি- আমি
আমিত্ব বিসর্জন দিতে চাই।
আমি বলতে তুমি; তুমি বলতে আমি।
তবুও, "আমরা" অথবা "আমাদের"
সমঅধিকার- ভালোবাসার জন্ম দেয়।

"সারভাইভাল অব দ্য ফিটেস্ট"
যেখানে লাখ লাখ শুক্রাণুকে পরাজিত করে
আমরা জীবনের দৌড়ে জন্ম... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ হঠাৎ মেহজাবীনের পিছে লাগছে কেন ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৪১


স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ এইবার অভিনেত্রী মেহজাবীনের পিছনে লাগছে। ৫ ই আগস্ট মেহজাবীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘স্বাধীন’। সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট যুক্ত করে অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ তার অফিসিয়াল ফেইসবুকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×