তোমাদের জন্য আলোকবর্তিকা হাতে ধরে-
অন্ধকার সভ্যতার ত্রাণকর্তা হবার কথা ছিল!
কিন্তু আটকে পড়েছি কালের অদৃশ্য জালে-
হারিয়ে গেছি মৃত নক্ষত্রের বিষাদ মাখা আঁধারে।
নিভু নিভু পিদিমে আলোর বদলে ছায়ার রেখা।
পিদিম জ্বলছিল মনের মন্দিরে, বিষণ্ণ শিখায়!
নিভে গেছে হাওয়ার ঝাপটায়, আঁধারের থাবায়।
কে জ্বালাবে আলো, কোথায় তুমি কুমারী বালিকা?
এখন এই নিরংশু পৃথিবী, এই বর্ণহীনের চিৎকার-
অন্ধকারে শাসনে তাই আমার সত্তার দরবার!
আঁধারে গ্রা্সে আমার রক্তনালী, আমার পিত্তথলী-
তমসাচ্ছন্ন দেহযন্ত্র, চির-অমাবস্যার কবলে ধরনী!
এই আঁধার আমি পেয়েছি খোঁড়া সমাজের বাঁকে,
এই তিমির রাত্রি পেয়েছি আমি প্রেমিকার ঠোঁটে,
এই আলোর তীব্র অভাব চক্ষু হীন সকল ধর্মে,
এই অন্ধকারের কেয়ামত মহাজাগতিক মানচিত্রে!
আঁধার জগতের গল্পের কোনো শেষ থাকে না।
নিমজ্জিত আমি, হাতড়ে গল্পের সমাপ্তি খুঁজে ফিরি
এখানেই নেই কোনো মৃত্যুদূত, নেই ফেরেশতা!
মৃত্যুহীন গোলকধাঁধায় কারারুদ্ধ আমি আলোকযাত্রী!