টাঙ্গাইলের পনের বছরের ধর্ষিতা কিশোরীটির জন্যে একসাথে হয়ে প্রতিবাদ করতে চাই আমরা কজন। কাল (৩১ ডিসেম্বর)সন্ধ্যা পাঁচটা, অলিয়েস ফ্রসেজ, ধানমন্ডি।(বিশেষকরে) ঢাকার ব্লগাররা, আসবেন প্লিজ।। মনুষত্তের কথা বলতে যেয়ে ফেসবুকে তুলধুনো হলাম। তাঁদের কথা (ভাদা) ওই মেয়েকে ইন্ডিয়ান না ভেবে শুধু মেয়ে ভাবতে। আমার কথা হল আরে ভাই আগে নিজেদেরকে সামলান, আমি মানি ওটাও অপরাধ কিন্তু আমাদের দেশের চিত্রটা আপনাদের চোখে পরেনা কেন? খুব সাপোর্ট দিচ্ছেন ইন্ডিয়ানদের, দিন ভাল কথা। নিজেদের সাপোর্ট কে দিবে? আমাদের দেশে এমন হাজার হাজার দামিনী মারা যাচ্ছে, তাঁদের আত্মার শান্তির জন্য অন্তত নিজেদের প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।
সকল মিডিয়ার সাহায্যে দামিনী ‘ফাইটার’ এর সংজ্ঞা হয়ে মারা গেল।
আমাদের মনেও নেই ওই গার্মেন্টসকর্মী মেয়েটার কথা। ধর্ষণ করার পর যাকে জবাই করে জঙ্গলে ফেলে দিয়েছিল কিছু আমানুষ। গায়ে পিঁপড়া উঠে যাওয়ার পরও বেঁচে ছিল মেয়েটা সারারাত, ভোর হবার পর আর পারেনি।
ওই মেয়েটা কি ফাইটার ছিল না?
কয়টা কথা বলেছি আমরা ওকে নিয়ে, কি করেছি বলার মত?!
১৯৫২ থেকে আমাদের পূর্বপুরুষ রা এই দেশের জন্য জীবন বিলিয়ে দিচ্ছে, তাঁদের জন্য অবশ্যই আমার দেশকে নিয়ে ভাবতে হবে,কাজ করতে হবে। যদি তার কারনে আমাকে জাতি বিদ্বেষী আখ্যা দেয়া হয় তাহলে আমি তাই। আমি আমার দেশ কে ভালবাসি। আমি ইন্ডিয়া এবং পাকিস্তানকে অন্তর থেকে ঘৃণা করি।
আপনারা এখন নিজের বোনের অত্যাচারিত হওয়ার প্রতিবাদ করুন।
টাঙ্গাইলের পনের বছরের ধর্ষিতা কিশোরীটির জন্যে একসাথে হয়ে প্রতিবাদ করতে চাই আমরা কজন। কাল বিকেল পাঁচটা, অলিয়েস ফ্রসেজ, ধানমন্ডি।(বিশেষকরে) ঢাকার ব্লগাররা, আসবেন প্লিজ।।
বিস্তারিত খবরঃ
টাঙ্গাইল: ভারতের নয়াদিল্লিতে গণধর্ষণের শিকার মেডিকেল ছাত্রীর মৃত্যুর পর এবার টাঙ্গাইলে এক স্কুলছাত্রী (১৫) গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। সে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।
চলতি মাসের ১০ ডিসেম্বর সোমবার সদর উপজেলার রসুলপুর এলাকায় রেল লাইনের ওপর থেকে ওই স্কুলছাত্রীকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী। পরে তাকে টাঙ্গাইল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে সে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী।
ওই স্কুলছাত্রীর মা বাংলানিউজকে বলেন, “আমার মেয়েকে তার বান্ধবি বিয়ের দাওয়াতে নিয়ে যাবার কথা বলে গত ৭ ডিসেম্বর শুক্রবার মধুপুরের পাহাড়ি এলাকার একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকেই মধুপুরের শুপ্তি কম্পিটারের কর্মচারী রুবেল ও তার বন্ধু হারুনসহ ৫/৬ জন যুবক অবস্থান করছিল। তারা আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে।”
তিনি আরও জানান, ৩দিন তাকে ওই বাড়িতে আটকে রেখে ধর্ষণ করার পর সোমবার সদর উপজেলার রসুলপুর রেল লাইনের ওপর ফেলে রেখে যায়।
“এ সংবাদ পেয়ে আমার বড় ছেলে রেললাইন থেকে তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল হাসপাতালে ভর্তি করে।”
এ বিষয়ে হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. জাকিয়া রশিদ বাংলানিউজকে জানান, মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এতে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।
মেয়েটির মা আরও জানান, এ ঘটনায় এখনও কোনো মামলা করা হয়নি।
(সুমন কুমার রায়, জেলা প্রতিনিধি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম )
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১২ ভোর ৫:০৬