ঘুম থেকে উঠে টিভিটা খুলে দেখলাম সাকিব নাকি বাদ। না, দল থেকে বাদ নয় অধিনায়কের পদ থেকে বাদ। তামিমকে ও বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। ব্যাপারটা গুজব হতে পারে তাই ভেবে ক্রিকইনফোতে খুজে দেখলাম। কিন্তু ব্যাপারটা নাকি সঠিক। সাকিব আমার খুব প্রিয় খেলোয়ার কিন্তু একজন খেলোয়ার হিসেবে মাঠে ভাল হলেও নির্বাচক কমিটির সাথে তার মন কষাকষি ছিল খুব। বেশ কিছু বাজে মন্তব্যর কারণেও তিনি অনেকের কাছে অপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। লোকে কানাঘুষা করে যে সাকিবের দলীয়করনের কারণেই নাকিমাশরাফি ঘরের মাটিতে বিশ্বকাপ খেলতে পারেন নি। হ্যা, তবে এটা ঠিক এতদিন পর্যন্ত তিনি অধিনায়ক হিসেবেও সুচারু ভাবেই খেলেছেন। কিন্তু বিশ্বকাপের ব্রিটিশ বধ (আয়ারল্যান্ড, ইংল্যান্ড, হল্যান্ড) এর পর তিনি বেশ উচ্ছাসেই গা ভাসিয়ে দিয়েছেন।
অন্যদিকে UCB সিরিজে তামিম ছিল আলোচনার তুঙ্গে। তার মন্তব্যের একটা ছিল "যদি আমরা মূর্খের মত কিছু না করি,তবে আমরা জিতব" । মন্তব্যের কেমন পরিহাস তা তো দেখাই গিয়েছে। এছাড়া ভেট্টোরিকে অর্ডিনারি বলার ব্যাপারটা ভাল মতোই বুঝেছে তামিম। ভেট্টোরি নিজেই বুঝিয়ে দিয়েছে সে অর্ডিনারি নাকি এক্সট্রা অর্ডিনারি। তামিমের নিজের পারফরমেন্স ও যাচ্ছেতাই হয়েছে সিরিজটাতে
সবশেষে বলা যেতে পারে নতুন ক্যাপ্টেন হিসেবে আসতে পারে মাশরাফি আর মুশফিক এর নাম। যদিও মাশরাফি এখনো সম্পূর্ন ফিট নয় তবে যেকোন সময়ই খেলায় ফিরে আসতে পারে এই নড়াইল এক্সপ্রেস। মুশফিককে সহকারী করে নতুন যাত্রা শুরু হতে পারে নড়াইল এক্সপ্রেস তথা বাংলাদেশী ক্রিকেটের ।