জানার আছে কতকিছু!
●গাড়িতে (car) করে মাল পাঠালে তাকে shipment আর জাহাজে (ship) করে মাল পাঠালে বলা হয় CARGO !
●পুরো মস্তিষ্কের ভাঁজগুলো খুলে বিছিয়ে দিলে তা ইস্ত্রি করার টেবিলকে ঢেকে দিতে পারে!
●কোনো কোনো কোলাব্যাঙ আছে যেগুলোকে বরফে জমিয়ে ফেলে ঘণ্টা কয়েক পর ছেড়ে দিলে দিব্যি লাফিয়ে বেড়াতে পারে !
●ম্যাসাচুসেটসে এক সময় এপ্রিল মাসে সব পোষা কুকুরের পেছনের পা বেঁধে রাখার আইন ছিল!!
●১৯৮০ সালে লাস ভেগাসের একটি হাসপাতালের কয়েকজন কর্মচারীকে বরখাস্ত করার কারণ ছিল তাঁরা রোগীদের মৃত্যু নিয়ে বাজি ধরত!!
বিখ্যাত ব্যক্তিদের মজার ঘটনা...
●পার্লামেন্ট ভর্তি হিজড়া..
বাংলার বাঘ খ্যাত শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক লন্ডন থেকে ডিগ্রি পাওয়ার পর সে গাউন পরেই চলে গিয়েছিলেন ব্রিটিশ শাসিত ভারত পার্লামেন্টে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গাউনগুলো তখন দেখতে অনেকটাই ছিল মহিলাদের বোরখার মতো। একজন শিখ তরুণ সংসদ সদস্য শেরেবাংলাকে লজ্জায় ফেলার জন্য ব্যঙ্গ করে বললেন, আমরাতো ভেবেছিলাম ভাবী (শেরে বাংলার স্ত্রী) সাহেবাই এসেছেন! এখন দেখি...। শেরেবাংলা বেশ আয়েশ করে বললেন, আপনারা হতাশ হয়েছেন বলে আমি দুঃখিত। আসলে আমার স্ত্রী কিছুতেই এতগুলো হিজড়ার সামনে আসতে চাইলেন না!
●বার্নাড শ’ এবং চার্চিলের টিকিট রঙ্গ...
প্রখ্যাত নাট্যকার জর্জ বার্নাড শ’ তার ‘সেন্ট জোন’ নাটকের প্রথম মঞ্চায়নের রাতে উপস্থিত থাকার জন্য স্যার উইন্সটন চার্চিলকে দু’টি টিকিট পাঠান। সঙ্গে একটি চিরকুটে লিখে দেন, একটি টিকিট আপনার আর অন্যটি আপনার বন্ধুর জন্য। তবে আদৌ যদি আপনার কোনো বন্ধু থেকে থাকে।
জবাবে চার্চিলও শ’ কে একটি চিঠি দিয়ে জানান, মঞ্চায়নের প্রথম রাতে উপস্থিত হতে পারছি না বলে দুঃখিত। সম্ভব হলে দ্বিতীয় রাতের জন্য একটি টিকিট পাঠাবেন। অবশ্য আদৌ যদি আপনার নাটকের দ্বিতীয় রাত বলে কোনো কিছু থেকে থাকে!
●ধনাঢ্য ব্যবসায়ী ডেভিড রকফেলার ও হোটেল ম্যানেজার..
ধনাঢ্য ব্যবসায়ী জন ডেভিড রকফেলারের ব্যক্তিগত জীবন ছিল খুবই সাদাসিধে। কঠোর পরিশ্রমে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছিলেন বলে অযথা অপব্যয়ে তার মন সায় দিত না। একবার ওয়াশিংটন ডিসিতে গিয়ে তিনি একটি হোটেলের সবচেয়ে কমদামি কক্ষটি নিজের জন্য ভাড়া নেন। হোটেলের ম্যানেজার একদিন বলে বসলেন, স্যার আপনার ছেলে যখন এই হোটেলে আসে তখন সবচেয়ে দামি কক্ষটি ভাড়া নেন। অথচ আপনি সবচেয়ে কমদামি কক্ষটি ভাড়া নিলেন কেন? জবাবে রকফেলার বলেন, কারণ আমার ছেলের বাবা পয়সাওয়ালা লোক। কিন্তু আমার বাবা ছিলেন নিতান্তই গরিব লোক।
●ঈদের বাজারে
দুই চোর পল্টু এবং বিল্টু গেল ঈদ শপিংয়ে। বিল্টু অনেকক্ষণ ধরে একটা শার্ট দর দাম করে শার্ট না নিয়েই বেরিয়ে এল। আসতেই পল্টু বলল, শার্ট চুরি করবি তো এত দামাদামি করলি কেন দোকানদারের সঙ্গে?
বিল্টুর উওর : দোকানদার যেন কম ঠকে তাই।
●শপিং সেন্টারে স্বামী কেন!
ঈদের দিন একেবারে ভোরে শপিং কমপ্লেক্সের দারোয়ানের কাছে ফোন করে এক ব্যক্তি বলল, ভাই আপনাদের শপিং কমপ্লেক্স কখন খুলবেন? দারোয়ান বলল-স্যার আজ তো ঈদের দিন। আজ থেকে তিনদিন পর খোলা হবে। ওপাশ থেকে ‘প্লিজ, আজকে কি একটু খোলা যায় না’। করুণ মিনতি শুনে দারোয়ান জানতে চাইল, ভাই কি এমন জরুরি যে ঈদের দিনই কিনতে হবে! ওপাশ থেকে উত্তর আসে- না ভাই, কিছু কিনব না। শপিং কমপ্লেক্স থেকে বের হব। কাল রাতে বউ-বাচ্চা নিয়ে শপিং করতে এসে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।
●রাষ্ট্রনায়ক মাছ
মাছের দোকানে ক্রেতা : আমাকে ওই রাষ্ট্রনায়ক মাছটি দিন।
বিক্রেতা : রাষ্ট্রনায়ক মাছ মানে?
ক্রেতা : ওই যে মোটাসোটা, চর্বিওয়ালা মাথাবিহীন মাছটা
ইন্টারনেট অবলম্বনে আবিদা সুলতানা এবং ইপ্সিতা চৌধুরীর একটি যৌথ গ্রন্থনা।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১০:১১