somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার প্রথম দৌলতদিয়া যৌনপল্লী দর্শণ (বিস্তারিত বর্ণনা) (২য় পর্ব)

১০ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গত পোষ্টে তাড়াহুড়া করেছিলাম বলে অনেকেই একটু ব্যাড মাইন্ড করছিলেন।
তাই আজকের পর্বে একটু ধীরস্থীর করার চেষ্টা করলাম।
(প্রথম পর্ব দেখতে এখানে)

টিকিট কাটলাম। হঠাৎ মাথায় এক বুদ্ধি খেলে গেল। নেটে পাওয়া তথ্য মত কাজ করতে হবে নইলে বিপদ অনিবার্য। ধারে কাছে থেকে একটা পলিথিন এর ব্যাগ কুড়িয়ে তার ভেতর ১৫০ টাকা দলাই মলাই করে নিলাম। পাশেই প্রস্্রাব করার ভান করে বসে আলতো করে একটু মাটি সরিয়ে টাকাটা পুতে রাখলাম। এরপর লঞ্চে উঠলাম। জীবনে কখনো লঞ্চে উঠিনি। জীবনের প্রথম লঞ্চ ভ্রমন আজ। তার উপরে আছে পিনাক-৬ এর ট্রাজেডি। একটু ভয় ভয় লাগলে পদ্মার খোলা খুলি হাওয়া বাতাশ মুহুর্তেই মনকে সতেজ করে দিল। সে এক অপরুপ দৃশ্য। পত্রিকায় পড়েছি পদ্মা তার ভরা যৌবন হারিয়েছে অনেক আগেই। এখন শুধু চর আর চর। কিন্তু এখানে এসে আমার সেই ধারনাটাই বদলে গেল। কারণ সম্ভবত তার যৌবন কাল না দেখা। প্রমত্মা পদ্মার এখনই যে রুপ যৌবনকালে সে কেমন ছিল? প্রায় ২৫ মিনিট পর লঞ্চ দৌলত দিয়া ঘাটে পৌছল। নেমে পড়লাম। ছোট ছোট হোটেল গুলোতে সিঙ্গাড়া, পুরি, রুটি বিক্রি হচ্ছিল ১.৩০টা এর মত বাজে। ক্ষুধা খুব বেশী না থাকায় দুটো রুটি আর একটা স্প্রীড খেয়ে নিলাম (বলা তো যায় না মশা মারা লাগতে পারে)। এরপর আরেকটু সামনের দিকে এগুলেই রিক্সা ওয়ালারা রীতিমত যুদ্ধে নেমে গেল। আমাকে নিতে যেতে। তারা জোরে জোরে বলতে লাগল রেল স্টেশন, বাস টার্মিনাল ইত্যাদি। আর আস্তে আস্তে হাত ধরে বলছে মামা পাড়ায় যাবেন ১০ টাকা লাগবে। আমি খানিকটা ভদ্রতার সহিত নাকচ করতে লাগলাম সকল প্রস্তাব যেন পাড়ায় যাওয়ার মত ছেলে আমি নই। বাট লাস্টের রিক্সাওয়ালাটা বলল মামা পাড়ায় যাবেন আমরা গরীব মানুষ যা দেবেন তাই নেব। কি আর করা হালকা লজ্জার সহিত মাথা নেড়ে হ্যা সূচক জবাব দিলাম। তাতেই সে বেশ খুশি। একটু যাবার পর আমি মুখ খুললাম মামা কোন বিপদ হবে নাতো। উনি যা বললেন তাতে আমি খুবই খুশি তার কথায় বিপদের কোন লক্ষণ পেলাম না। কিন্তু নেটে পড়েছি এসব ব্যাপারে ঘাটে ঘাটে বিপদ। পাড়ার বিবরণ দেই। চারদিকে পুকুর বেষ্টিত প্রায় অনুমান করা অসম্ভব হলেও নেট থেকে জেনেছি ৭০০০ যৌন কর্মীর বসবাস এখানে।

রিক্সাওয়ায়া নামিয়ে দিতেই তাকে ১০ টাকা হাতে ধরিয়ে দিয়ে বল্লাম, আমার পিছু পিছু আসতে পারবেন না। রিক্সাওয়ালাদের প্ল্যান তো আমাদের জানাই আছে। সো সাধু সাবধান। ভেতরে প্রবেশ করা মাত্রই এটাকে স্বর্গ বলব নাকি বলব এটা নরক কি বলব বুঝ পারছি না। যখন দেখলাম একটা ১০-১২ বছর বয়সের মেয়েকে এক মহিলা মারধর করছে আর মেয়ে যখন বলছে “আমি আজকে আর পারব না” তখনই বুকের ভেতরটা চিনচিনে ব্যাথায় ভরে গেল। আবার যখন দেখলাম হাস্যেজ্বল লাস্যময়ী নারীরা আমাকে দেখে একে অপরে চোখ টিপে হাসছে। তখন এক অজানা ভালোলাগা আমার ভেতরটাতেও একটা দোল দিল। আরও সামনে এগিয়ে যেতেই দেখি কয়েকটা মেয়ে আমার হাত ধরে (সুযোগ বুঝে হালকা কোথায় কোথায় টাচ করল তা বলব না, সবাই শুনছে) টানাটানি শুরু করল। নীতিবান যতই হই আমারও তো একটা রুচি আছে। নারা দিল গোলাপি শাড়ি পড়া একটি মেয়ের সভ্য সমাজক খোচা মেরে কথা বলা দেখে। শেষমষ তাকেই ...............................................................................................................................এই অংশ টুকু বাদ দিতে হলো আমার কিছু করার নেই..................................................................................................................। এরপর ফিরে আসার পালা।

নেক্সট...................
টাকা কাছে যাহা ছিল সকলই নিয়ে নিল তাহারা চারিজন আমি জানতাম এরকম কিছু হবে। কিন্তু তারা একেবারে হৃদয়হীন ছিল না আমাকে ঢাকা ফেরতৎ আসার জন্য ২০০ টাকা ফেরত দিল। এরপর সেখান থেকে বের হয়ে রিক্সা নিয়ে চললাম ঘাটের দিকে। একটু যেতে ৪/৫ জনের একটি দল রিক্সার পথ আগলে ধরল। হুমকি দিতে শুরু করল আমাকে আটকে রেখে বাড়ি থেকে অভিভাবক ডেকে ৫০০০০/- নিয়ে ছেড়ে দিবে। আমি তো জানি তা এরা কিছুই করবে না কারন আমি নেটে পড়েছি...............। অগত্যা কাছে থাকা ২০০শত টাকা তাদেরকে দিয়ে ২০ টাকা চাইলাম লঞ্চ ভাড়ার জন্য প্রথমজন রাজি না হলেও দ্বিতীয়জন দিয়ে দিল। কোনমতে দৌলতদিয়া পার হয়ে এলাম পাটুরিয়া ঘাটে। পাঠক আপনাদের কি মনে আছে আমার রাখা সেই ১৫০ টাকার কথা। যেটা আমি বিপদের সঙ্গি হিসাবে পলিথিনে মুড়ে মাটি চাপা দিয়েছিলাম পাটুরিয়াতে সেটা সঙ্গী হিসাবে আমাকে সাহায্য করল ঢাকা আসতে। এরপরও বেচে রইল ৭০ টাকা।
৯টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×