উৎসব শেষ,
এখনো দুচোখে লেগে আছে
আলোর সিম্ফনি--প্রজ্বলিত চিন্তা আর
কাঁপা কাঁপা স্মৃতির ঝলক।

এ মুগ্ধতা অন্ধকার থেকে ক্রমাগত আলোগামী;
নির্বাসন শেষ করে
শ্রীরামচন্দ্রের অয্যোধ্যায় ফিরে আসা।

অমঙ্গল থেকে দূরে থাকতে যে জ্ঞান
জ্বেলে রাখে দীপাবলী;
নানান রঙের আতশ বাজিতে
চকচক করে আকাশটা;
তারই আরাধনা করে গৃহস্থ সমাজ;
দেবতারা দাওয়াত খেতে
অকাতরে নেমে আসে
... বাকিটুকু পড়ুন

কারণ স্মরণ নেই কতক্ষণ তার

বুকের উপর বসে ছিলাম;

সে ছিল সম্পূর্ণ চুপ-

তার ইচ্ছা-অনিচ্ছার মাঝখানে;

কে যেন আমাকে ছাড়িয়ে নেয়-

ঘটনার আকস্মিকতা শেষ হলে। ... বাকিটুকু পড়ুন

আমি যে গুহায় বাস করতাম,

তার দেয়ালে দেয়ালে এঁকে এসেছি অনেক চিত্র।

একদিন সেগুলিও আবিষ্কৃত হবে।

কেউ কান পাতলে শুনতে পাবে,

আমার প্রতিটি কথার প্রতিধ্বনি।

কাজ আর কবিতার এমন একটা চিত্রময় গুহা

সে আমাকে উপহার দিয়েছিল ... বাকিটুকু পড়ুন

আবদুর রব



তোমাকে দেখে দাঁড়িয়ে যায় সে--

প্রশ্নবোধক;

ডাকনাম ধরে ডাকে--

তোমারই হাঁটি হাঁটি পা পা;

অর্থের দ্যোতনাহীন শব্দগুলো ... বাকিটুকু পড়ুন

আবদুর রব



কোথায় রেখেছি খুঁজে না পেয়ে ঘুরতে থাকি

ভুলে যাই কি খুঁজছিলাম।



একা একা বসে তুলি চালাই নিজেরই মুখে

লুকিয়ে ফেলি তিল জন্মদাগ। ... বাকিটুকু পড়ুন

বুকে ধরে আছি জ্বালা

কোথায় আঙুর বালা

ও লা লা...ও লা লা



মধ্যরাতে ডাকে কালা

বাঁশী বাজায় একলা

ও লা লা...ও লা লা ... বাকিটুকু পড়ুন

আবদুর রব



জল তাঁকে

পরী বানিয়ে দেয়

তাই সে জলপরী

মানবী বানিয়ে দেয়

তাই সে জলমানবী ... বাকিটুকু পড়ুন

আ ব দু র র ব



ইচ্ছেটুকু মেঘে ঢাকা

জমানো হাজারো গল্প

আনাচেকানাচে

মজুরের দল ঘোরে ... বাকিটুকু পড়ুন

সুরূপাকে দেখে বলি:

দেখাও তোমার বিল্ব-ছন্দ;

দেখি কেমন নিপূণ পদ্য ফোটে!

হেসে সরে গিয়ে বললো সে:

দাও যুক্তি তবে তো মতৈক্য;

বয়প্রাপ্ত হও, যখন তখন

এসব শরীরী বাকছাল ভালো নয়। ... বাকিটুকু পড়ুন

মূল: মহাবলেশ্বর শৈল

অনুবাদ: আবদুর রব



শংকর বাড়ির সদর দরজার চৌকাঠের উপর দাঁড়িয়ে উঁকি মেরে যতদুর চোখ যায় দেখলো মাঠের পর মাঠ পেকে ওঠা ধানক্ষেত জায়গায় জায়গায় এখনও সবুজ, তবে বেশীর ভাগ ক্ষেতে দানা শক্ত হয়ে উঠেছে। সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে মাটিতে হেলে পড়বে। কিন্তু হলে কি হবে, ঠাকুর মশাই তো বলেই... বাকিটুকু পড়ুন

অনুবাদ: আবদুর রব



[মানুষের মনের অপার রহস্য টোমাজ ট্রান্সট্রোমার-এর কবিতার উপজীব্য। অধিকাংশ সময় নিজের অভিজ্ঞতার সাথে সঙ্গীত আর প্রকৃতির রূপের সংমিশ্রণে গড়ে উঠেছে তাঁর কবিতা। ইতিহাস, অস্তিত্বের প্রশ্ন আর মৃত্যু নিয়ে লিখেছেন তিনি। একজন সুইডিশ সমালোচক বলেন: “তার কবিতা যেন ধর্মনিরপেক্ষ প্রার্থনা।” বিনয়ী, ভণিতাহীন ট্রান্সট্রোমার সব সময় রাজনৈতিকে বিতর্ক এড়িয়ে চলেছেন,... বাকিটুকু পড়ুন

আবদুর রব



সে কখনো সফল হয় না,

হয় না ব্যর্থ;

পথ খোলা তবু রুদ্ধ পথের দিকে

চেয়ে থাকে মুক্তি পেতে।

চেতনায় পুনরাবৃত্তিলব্ধ জ্ঞান, ... বাকিটুকু পড়ুন

আবদুর রব



জানালাটি বন্ধ, তবু অভ্যাসবশত

তাকাই সে দিকে!



দেখি ঠিকই দাঁড়িয়ে রয়েছো

কালো জামা পরে; ... বাকিটুকু পড়ুন

আবদুর রব



ইচ্ছা করেই আঁকলে

বজ্রবিদ্যুৎ ভরতি আকাশের নিচে গমক্ষেত,

বৃক্ষের শিকড়



সোনালি ক্ষেতের উপর দিয়ে উড়ে যাওয়া ... বাকিটুকু পড়ুন

ই শাআ (চিন ১৯৬৬)

[কবিতা লেখেন স্বল্প কথায়, ভাষার কারুকার্য না করে। তাঁর পাঠককে কষ্ট করে কোনো কিছু কল্পনা করতে হয়না । তিনি বলেন, আমার ভাষা নগ্ন, পোশাক পরালে তা হয়ে পড়বে কৃত্রিম, আলঙ্কারিক। তাঁর কবিতা যেন প্রতিদিনকার বাস্তবতা, মুক্ত প্রবহমান।]



এক নেশাসক্ত

চারদিন ড্রাগ নিতে না পেরে মারা গেল রিহ্যাবে

তার পরিবারের... বাকিটুকু পড়ুন