নিশ্চয়ই সকল প্রশংসা এক আল্লাহর যিনি আমাকে এই লেখাটা শেয়ার করার তৌফিক দান করেছেন।
অসংখ্য দুরুদ ও সালাম নবী মোহাম্মদ সা: এর উপর।
-----------------------------------------------------------------------
সম্মানিত (?) পীরগণ ও তাদের মুরিদগণ কোরআন থেকে দলিল দেন যে আদম আ: কে সিজদাহ করতে বলা হইছিল ফেরেশতাদের। কারণ কি? কারণ তিনি তাদের চেয়ে বেশী জ্ঞান সম্পন্ন ছিলেন। পাশাপাশি আদম আ: ও ফেরেশতাদের মধ্যে জ্ঞান এর প্রতিযোগীতায় তিনি জয়লাভ করেছিলেন।
তো আদম আ: এর যদি জ্ঞান বেশী থাকার কারণে ফেরেশতারা তাকে সিজদাহ করে। তাহলে পীরের জ্ঞান বেশী থাকার কারণে কেন মুরীদরা তার সিজদাহ করতে পারবে না?
শয়তান যেহেতু আদম আ: কে সিজদাহ করেনি, তাই সে জাহান্নামী। তেমনি বর্তমানে যে পীরদের সিজদাহ করবে না তারাও শয়তান, জাহান্নামী।
--------------------------------------------------------------------
এবার আমার মন্তব্য==========>
তাদের এই দলিল এক কথাতেই খন্ডন করা যায় যে,
জ্ঞান বেশী থাকার কারণে যদি কাউকে সিজদা করা যেত তাহলে বিশ্ব নবী, সর্বশেষ ও চুড়ান্ত নবী, আমাদের প্রাণপ্রিয় নবী মোহাম্মদ সা: ছিলেন সেই সিজদাহ পাওয়ার সর্বপ্রথম দাবীদার এবং সবচেয়ে যোগ্য। সকল পীরের থেকেও যোগ্য।
=> কিন্তু সাহাবাগণ কি তাকে সিজদাহ করেছিলেন?
=> মহানবী সা: কি তাদের সিজদাহ করতে বলেছিলেন তাকে। নাকি এক আল্লাহকে?
আল্লাহু আকবার। সিজদাহ একমাত্র আল্লাহর প্রাপ্য। পীর নামক শয়তানগুলো আল্লাহর এই অধিকারেও হাত দিয়েছে। তাদের মতে যারা পীরকে সিজদাহ করে না তারা শয়তানের মতো জাহান্নামী। মূলত যারা পীরকে সিজদাহ করে তারা আল্লাহর ইবাদাত কে খন্ড খন্ড করে আল্লাহর পাশাপাশি মানুষের ইবাদাত এ লিপ্ত যা শিরকে আকবর।
সত্য প্রকাশিত হওয়ার পরও এমনটি যে করে সে ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাবে।
তাই জ্ঞান লাভের বা সত্য আসার পরপরই এসব পীরপুজা, পীর সিজদাহ ছাড়ার আহবান রইল।