নিশ্চয়ই সকল প্রশংসা আল্লাহর যার হাতে আমার জীবন। অসংখ্য দুরুদ ও সালাম সর্বশেষ ও চুড়ান্ত নবী মোহাম্মদ সাঃ এর উপর।
--------------------------------------------------------------------
বিষয় সমূহ:
৯. নূরে মুহাম্মাদীই (সঃ) প্রথম সৃষ্টি (চরম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়)
১০. নূরে মুহাম্মাদীর ময়ূর রূপে থাকা
--------------------------------------------------------------------
৯. নূরে মুহাম্মাদীই (সঃ) প্রথম সৃষ্টি
উপরের হাদীসগুলি আমাদের সমাজে বহুল প্রচলিত নয়, যদিও হাদীসগুলি বিভিন্ন গ্রন্থে সনদসহ বা সনদ বিহীনভাবে সংকলিত হয়েছে এবং মুহাদ্দিসগণ এগুলির সনদ আলোচনা করে জাল ও মিথ্যা বলে উল্লেখ করেছেন। বিশেষত, ‘মুমিন আল্লাহর নূরে সৃষ্টি’ এই হাদীসটি দাইলামীর গ্রন্থে রয়েছে। এই গ্রন্থের অনেক জাল হাদীসই প্রসিদ্ধি লাভ করেছে, কিন্তু এই হাদীসটি আমাদের সমাজে প্রসিদ্ধ নয়। পক্ষান্তরে একটি ‘হাদীস’ যা কোনো হাদীসের গ্রন্থে সংকলিত হয় নি, কোথাও কথাটির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না, সেই কথাটি আমাদের সমাজে বহুল প্রচলিত। শুধু প্রচলিতই নয়, এই সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, সনদহীন কথাটি সর্ববাদীসম্মত মহাসত্যের রূপ গ্রহণ করেছে এবং তা ইসলামী বিশ্বাসের অংশ হিসাবে স্বীকৃত। এমনকি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের স্বীকৃত ‘আকীদা ও ফিকহ’ গ্রন্থেও যা ‘হাদীস’ হিসাবে উল্লিখিত।
হাদীসটি নিম্নরূপ:
أّوَّلُ مَا خَـلَـقَ اللهُ نُـوْرِيْ
“আল্লাহ সর্বপ্রথম আমার নূর সৃষ্টি করেছেন”।
একটি সুদীর্ঘ হাদীসের অংশ হিসাবে হাদীসটি প্রচলিত। হাদীসটির সার সংক্ষেপ হলো, জাবির (রা) রাসুলুল্লাহ (সঃ)-কে প্রশ্ন করেন, আল্লাহ সর্বপ্রথম কী সৃষ্টি করেন? উত্তরে তিনি বলেন:
أوَّلُ مَا خَـلَـقَ اللهُ نُـوْرَ نَبِيِّـك مِـنْ نُـوْرِهِ….
“সর্বপ্রথম আল্লাহ তোমার নবীর নূরকে তার নূর থেকে সৃষ্টি করেন।”
=> এরপর এই লম্বা হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এই নূরকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে তা থেকে আরশ, কুরসী, লাওহ, কলম, ফিরিশতা, জিন, ইনসান এবং সমগ্র বিশ্বকে সৃষ্টি করা হয়।….
কথাগুলি ভাল। যদি রাসুলুল্লাহ (সঃ)-এর নামে মিথ্যা কথা বলার বা যা শুনব তাই বলার অনুমতি থাকতো তাহলে আমরা তা নির্দ্বিধায় গ্রহণ করতাম ও বলতাম। কিন্তু যেহেতু তা নিষিদ্ধ তাই বাধ্য হয়ে আমাদেরকে প্রতিবাদ করতে হয়।
রাসুলুল্লাহ (সঃ)-এর নূরকে সর্বপ্রথম সৃষ্টি করা হয়েছে, বা তাঁর নূর থেকে বিশ্ব বা অন্যান্য সৃষ্টিকে সৃষ্টি করা হয়েছে অর্থে যা কিছু প্রচলিত সবই ভিত্তিহীন বানোয়াট ও মিথ্যা কথা।
=> কেউ কেউ দাবি করেছেন যে, হাদীসটি বাইহাকী বা আব্দুর রায্যাক সান‘আনী সংকলন করেছেন। এই দাবিটি ভিত্তিহীন। আব্দুর রায্যাক সান‘আনীর কোনো গ্রন্থে বা বাইহাকীর কোনো গ্রন্থে এই হাদীসটি নেই। কোনো হাদীসের গ্রন্থেই এই কথাটির অস্তিত্ব নেই।
=> সহীহ, যয়ীফ এমনকি মাউযূ বা মিথ্যা সনদেও এই হাদীসটি কোনো হাদীসের গ্রন্থে সংকলিত হয়নি। সাহাবীগণের যুগ থেকে আজ পর্যন্ত শত শত হাদীসের গ্রন্থ লিপিবদ্ধ ও সংকলিত হয়েছে, যে সকল গ্রন্থে সনদসহ হাদীস সংকলিত হয়েছে।
=> আমাদের সমাজে প্রচলিত যে কোনো হাদীস এ সকল গ্রন্থের অধিকাংশ গ্রন্থে পাওয়া যাবে। যে কোনো হাদীস আপনি খুঁজে দেখুন, অন্তত ১০/১৫ টি গ্রন্থে তা পাবেন। অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ বা প্রসিদ্ধ হাদীস আপনি প্রায় সকল গ্রন্থে দেখতে পাবেন। অর্থাৎ, এ ধরনের যে কোনো একটি হাদীস আপনি ৩০/৩৫ টি হাদীসের গ্রন্থে এক বা একাধিক সনদে সংকলিত দেখতে পাবেন। কিন্তু হাদীস নামের أول ما خلق الله نوري এই বাক্যটি খুঁজে দেখুন, একটি হাদীস গ্রন্থেও পাবেন না। রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর যুগ থেকে পরবর্তী শত শত বৎসর পর্যন্ত কেউ এই হাদীস জানতেন না। কোনো গ্রন্থেও লিখেননি। এমনকি সনদবিহীন সিরাতুন্নাবী, ইতিহাস, ওয়ায বা অন্য কোনো গ্রন্থেও তা পাওয়া যায় না।
=> যতটুকু জানা যায়, ৭ম হিজরী শতকের প্রসিদ্ধ আলিম মুহিউদ্দীন ইবনু আরাবী আবূ বাক্র মুহাম্মাদ ইবনু আলী তাঈ হাতিমী (৫৬০-৬৩৮হি/১১৬৫-১২৪০খৃ) সর্বপ্রথম এই কথাগুলিকে ‘হাদীস’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
এখানে প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ইবনু আরাবী তাঁর পুস্তকাদিতে অগণিত জাল হাদীস ও বাহ্যত ইসলামী বিশ্বাসের সাথে সাংঘর্ষিক অনেক কথা উল্লেখ করেছেন। পরবর্তী যুগে বুযুর্গগণ তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা বশত এ সকল কথার বিভিন্ন ওযর ও ব্যাখ্যা পেশ করেছেন। আবার অনেকে কঠিনভাবে আপত্তি করেছেন। বিশেষত মুজাদ্দিদে আলফে সানী হযরত আহমদ ইবনু আব্দুল আহাদ সারহিন্দী (১০৩৪ হি) ইবনু আরাবীর এ সকল জাল ও ভিত্তিহীন বর্ণনার প্রতিবাদ করেছেন বারংবার। কখনো কখনো নরম ভাষায়, কখনো কঠিন ভাষায়।
এক চিঠিতে তিনি লিখেছেন : “আমাদের নস্স বা কুরআন ও হাদীসের পরিষ্কার অকাট্য বাণীর সহিত কারবার, ইবনে আরাবীর কাশফ ভিত্তিক ফস্স বা ফুসূসুল হিকামের সহিত নহে। ফুতূহাতে মাদানীয়া বা মাদানী নবী (সঃ) -এর হাদীস আমাদেরকে ইবনে আরাবীর ফতূহাতে মাক্কীয়া জাতীয় গ্রন্থাদি থেকে বেপরওয়া করিয়া দিয়াছেন।” অন্যত্র প্রকৃত সূফীদের প্রশংসা করে লিখেছেন : “তাহারা নসস, কুরআন ও সুন্নাহর স্পষ্ট বাণী,পরিত্যাগ করত শেখ মহিউদ্দীন ইবনে আরাবীর ফসস বা ফুসূসুল হিকাম পুস্তকে লিপ্ত হন না এবং ফুতূহাতে মাদানীয়া, অর্থাৎ হাদীস শরীফ বর্জন করত ইবনে আরাবীর ফুতূহাতে মাক্কীয়ার প্রতি লক্ষ্য করেন না।” “… নস্স বা আল্লাহর বাণী পরিত্যাগ করত ফসস বা মহিউদ্দীন আরবীর পুস্তক আকাক্সক্ষা করেন না এবং ফতূহাতে মাদানীয়া বা পবিত্র হাদীস বর্জন করত ফুতূহাতে মাক্কিয়া পুস্তকের দিকে লক্ষ্য করেন না।”
সর্বাবস্থায়, ইবনু আরাবী এই বাক্যটির কোনো সূত্র বা উৎস উল্লেখ করেন নি। কিন্তু তিনি এর উপরে তাঁর প্রসিদ্ধ সৃষ্টিতত্ত্বের ভিত্তি স্থাপন করেন। খৃস্টান ধর্মাবলম্বীদের লোগোস তত্ত্বের আদলে তিনি ‘নূরে মুহাম্মাদী তত্ত্ব’ প্রচার করেন।
খৃস্টানগণ দাবি করেন যে, ঈশ্বর সর্বপ্রথম তার নিজের ‘জাত’ বা সত্ত্বা থেকে ‘কালেমা’ বা পুত্রকে সৃষ্টি করেন এবং তার থেকে তিনি সকল সৃষ্টিকে সৃষ্টি করেন। ইবনু আরাবী বলেন, আল্লাহ সর্বপ্রথম নূরে মুহাম্মাদী সৃষ্টি করেন এবং তার থেকে সকল সৃষ্টিকে সৃষ্টি করেন।
ক্রমান্বয়ে কথাটি ছড়াতে থাকে। বিশেষত ৯/১০ম হিজরী শতক থেকে লেখকগণের মধ্যে যাচাই ছাড়াই অন্যের কথার উদ্ধৃতির প্রবণতা বাড়তে থাকে। শ্রদ্ধাবশত বা ব্যস্ততা হেতু অথবা অন্যান্য বিভিন্ন কারণে নির্বিচারে একজন লেখক আরেকজন লেখকের নিকট থেকে গ্রহণ করতে থাকেন। যে যা শুনেন বা পড়েন তাই লিখতে থাকেন, বিচার করার প্রবণতা কমতে থাকে।
দশম হিজরী শতকের প্রসিদ্ধ আলিম আল্লামা আহমদ ইবনু মুহাম্মাদ আল-কাসতালানী (৯২৩ হি) তার রচিত প্রসিদ্ধ সীরাত-গ্রন্থ ‘আল-মাওয়াহিব আল-লাদুন্নিয়া’ গ্রন্থে এই হাদীসটি ‘মুসান্নাফে আব্দুর রায্যাকে’ সংকলিত রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। আগেই বলেছি, হাদীসটি মুসান্নাফে আব্দুর রায্যাক বা অন্য কোনো হাদীস গ্রন্থে বা কোথাও সনদ-সহ সংকলিত হয় নি। আল্লামা কাসতালানী যে কোনো কারণে ভুলটি করেছেন। কিন্তু এই ভুলটি পরবর্তীকালে সাধারণভুলে পরিণত হয়। সকলেই লিখছেন যে, হাদীসটি ‘মুসান্নাফে আব্দুর রায্যাকে’ সংকলিত। কেউই একটু কষ্ট করে গ্রন্থটি খুঁজে দেখতে চাচ্ছেন না। সারা বিশ্বে ‘মুসান্নাফ’, ‘দালাইলুন নুবুওয়াহ’ ও অন্যান্য গ্রন্থের অগণিত পাণ্ডুলিপি রয়েছে। এছাড়া গ্রন্থগুলি মুদ্রিত হয়েছে। যে কেউ একটু কষ্ট করে খুঁজে দেখলেই নিশ্চিত হতে পারেন। কিন্তু কেউই কষ্ট করতে রাজি নয়। ইমাম সুয়ূতী ও অন্যান্য যে সকল মুহাদ্দিস এই কষ্টটুকু করেছেন তাঁরা নিশ্চিত করেছেন যে, এই হাদীসটি ভিত্তিহীন ও অস্তিত্বহীন কথা।
গত কয়েক শত বৎসর যাবৎ এই ভিত্তিহীন কথাটি ব্যাপকভাবে মুসলিম সমাজে ছড়িয়ে পড়েছে। সকল সীরাত লেখক, ওয়ায়েয, আলেম এই বাক্যকে এবং এ সকল কথাকে হাদীসরূপে উল্লেখ করে চলেছেন।
এই ভিত্তিহীন ‘হাদীস’টি, ইসলামের প্রথম ৫০০ বৎসরে যার কোনোরূপ অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না, তা বর্তমানে আমাদের মুসলিম সমাজে ঈমানের অংশে পরিণত হয়েছে। শুধু তাই নয়, এ থেকে অত্যন্ত কঠিন একটি বিভ্রান্তি জন্ম নিয়েছে। উপরে আমরা দেখেছি যে, এই ভিত্তিহীন জাল ‘হাদীস’টিতে বলা হয়েছে: ‘আল্লাহ তাঁর নূর থেকে নবীর নূর সৃষ্টি করেছেন।” এ থেকে কেউ কেউ বুঝেছেন যে, তাহলে আল্লাহর সত্তা বা ‘যাত’ একটি নূর বা নূরানী বস্তু। এবং আল্লাহ স্বয়ং নিজের সেই যাতের বা সত্ত্বার অংশ থেকে তার নবীকে তৈরি করেছেন। কী জঘন্য শিরক! এভাবেই খৃস্টানগণ বিভ্রান্ত হয়ে শিরকে লিপ্ত হয়।
প্রচলিত বাইবেলেও যীশু খৃস্ট বারংবার বলছেন যে, আমি মানুষ, আমাকে ভাল বলবে না, আমি কিছুই জানি না, ঈশ্বরই ভাল, তিনিই সব জানেন, একমাত্র তাঁরই ইবাদত কর… ইত্যাদি। তবে যীশু ঈশ্বরকে পিতা ডেকেছেন। হিব্র“ ভাষায় সকল নেককার মানুষকেই ঈশ্বরের সন্তান, ঈশ্বরের পুত্র ইত্যাদি বলা হয় এবং ঈশ্বরকে পিতা ডাকা হয়। তিনি বলেছেন: ‘যে আমাকে দেখল সে ঈশ্বরকে দেখল’। এইরূপ কথা সকল নবীই বলেন।
কিন্তু ভণ্ড পৌল থেকে শুরু করে অতিভক্তির ধারা শক্তিশালী হতে থাকে। ক্রমান্বয়ে খৃস্টানগণ দাবি করতে থাকেন যীশু ঈশ্বরের ‘জাতের অংশ’। ঈশ্বর তার সত্ত্বা বা যাতের অংশ দিয়ে পুত্রকে সৃষ্টি করেন…। ৪র্থ-৫ম শতাব্দী পর্যন্ত আলেকজেন্দ্রিয়ার প্রসিদ্ধ খৃস্টান ধর্মগুরু আরিয়াস (অৎরঁং) ও তার অনুসারীগণ যীশুকে ঈশ্বরের সত্ত্বার অংশ নয়, বরং সৃষ্ট বা মাখলূক বলে প্রচার করেছেন। কিন্তু অতিভক্তির প্লাবনে তাওহীদ হেরে যায় ও শিরক বিজয়ী হয়ে যায়।
এই মুশরিক অতি ভক্তগণও সমস্যায় পড়ে গেল। বাইবেলেরই অগণিত আয়াতে যীশু স্পষ্ট বলছেন যে, আমি মানুষ। তিনি মানুষ হিসেবে তাঁর অজ্ঞতা স্বীকার করছেন। এখন সমাধান কী? তাঁরা ‘দুই প্রকৃতি তত্ত্বে’-র আবিষ্কার করলেন। তারা বললেন, খৃস্টের মধ্যে দুটি সত্তা বিদ্যমান ছিল। মানবীয় সত্তা অনুসারে তিনি এ কথা বলেছেন। তবে প্রকৃতপক্ষে তিনি ঈশ্বর ছিলেন…।
মুসলিম সমাজের অনেকে আজ এ ভাবে শিরকের মধ্যে নিপতিত হচ্ছেন। এই হাদীসটি যদি সহীহ বলে প্রমাণিত হতো তাহলেও এর দ্বারা একথা বুঝা যেত না। আল্লাহ আদমের মধ্যে ‘তাঁর রূহ’ দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন। ঈসা (আ)-কে ‘আল্লাহর রূহ’ বলা হয়েছে। এতে কখনোই তাঁর নিজের রূহের অংশ বুঝানো হয় নি। বরং তার তৈরি ও সৃষ্ট রূহ বুঝানো হয়েছে। অনুরূপভাবে ‘তাঁর নূর’ বলতেও একই কথা বুঝানো হয়। কিন্তু কে শোনে কার কথা!
আমাদের উচিত কুরআন কারীমের আয়াত ও সহীহ হাদীসগুলির উপর নির্ভর করা এবং ভিত্তিহীন কথাগুলি রাসুলুল্লাহ (সঃ)-এর নামে না বলা।
=============================================
১০. নূরে মুহাম্মাদীর ময়ূর রূপে থাকা
এ বিষয়ক প্রচলিত অন্যান্য কাহিনীর মধ্যে রয়েছে নূরে মুহাম্মাদীকে ময়ূর আকৃতিতে রাখা। এ বিষয়ক সকল কথাই ভিত্তিহীন। কোনো সহীহ, যয়ীফ বা মাউযূ হাদীসের গ্রন্থে এর কোনো প্রকার সনদ, ভিত্তি বা উল্লেখ পাওয়া যায় না। বিভিন্ন ভাবে গল্পগুলি লেখা হয়েছে। যেমন, আল্লাহ তায়ালা শাজারাতুল ইয়াকীন নামক একটি বৃক্ষ সৃষ্টি করেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর নূর মোবরককে একটি ময়ূর আকৃতি দান করত স্বচ্ছ ও শুভ্র মতির পর্দার ভিতরে রেখে তাকে সেই বৃক্ষে স্থাপন করলেন… ক্রমান্বয়ে সেই নূর থেকে সব কিছু সৃষ্টি করলেন… রূহগণকে তাঁর দিকে দৃষ্টিপাত করতে নির্দেশ দিলেন…. ইত্যাদি
=============================================
সত্য কথা হলো নবীজি সা: সত্য কথা বলে হইছেন মিথ্যুক। আর আমরা সত্য কথা কইলে হই মৌলবাদী, ওহাবী।
সর্বশেষ যেই আয়াত দিয়ে শেষ করতে চাই সেটা হলো
সূরা বনি ইস্রাইল-৮১> সত্য এসেছে, মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে। মিথ্যা তার প্রকৃতিগত কারণেই বিলুপ্ত হয়।
আল্লাহ আমাদের সত্য বুঝার ও আমল করার তৌফিক দান করুন। আমীন।
১ম পর্ব
২য় পর্ব
(৩য় পর্ব)