আসসালামু আলাইকুম,
সকলের উপর আল্লাহর শান্তি রহমত বরকত বর্ষিত হোক। শান্তি বর্ষিত হোক সেই ব্যক্তির উপর যে হেদায়েতের অনুসরণ করে কাফেরদের মধ্য থেকে, মুশরিকদের মধ্যথেকে, মুনাফিকদের মধ্যথেকে এবং নাস্তিকদের মধ্যথেকে।
আল্লাহ বলেছেন,
সূরা আল ইমরান-৬৪এসো সেই কথায় যা তোমাদের ও আমাদের মধ্যে এক
১। আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করি না।
অর্থ্যাৎ আল্লাহর আইনকানুন মানাও যেমন আল্লাহর ইবাদত তেমনি আল্লাহর কোরআনের আইনের উপস্থিতিতেও মানুষের রচিত আইন মানা মানুষের ইবাদত। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।
২। তার সাথে কোন কিছু শরীক করি না।
অর্থ্যাৎ তার আদেশ সবার উপরে। তার আদেশের বা কোন আইন কানুন বিধিবিধান এর সাথে মানবরচিত আইন কানুন বা বিধি বিধানকে শরীক করিনা।
৩। আমাদের মধ্যে কাউকে আল্লাহ ছাড়া রব (আদেশদাতা বিধানদাতা ইলাহ হিসাবে) মানি না।
যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে বলে দাও, তোমরা স্বাক্ষী থাক আমরা মুসলিম (আত্মসমর্পণকারী আল্লাহর কাছে হোক সেটা নিজের ইচ্ছার পক্ষে হোক বা বিপক্ষে)।
============================================
অনেকে মনে করেন আদম আঃ গন্দম ফল খাওয়ার জন্যই আল্লাহ তাকে দুনিয়াতে নামিয়ে দিয়েছেন। তা না হলে আমরা জান্নাতেই থাকতাম। আসুন দেখি হাদিস কি বলে।
--------------------------------------------------------------------------
আবু হুরাইরাহ রাঃ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন আমি রাসুল সাঃ এর মুখে এই বর্ণনা শুনেছি যে, একদা আদম আঃ ও মুসা আঃ বিতর্কে লিপ্ত হলেন। মুসা (আঃ) আদম (আঃ) কে বলিলেন, হে আদম আঃ, আপনি আমাদের আদি পিতা, (আপনাকে আল্লাহ নিজ বিশেষ কুদরতে পিতা মাতার মাধ্যম ছাড়াই সরাসরি সৃষ্টি করেছেন এবং জান্নাতে রেখে দিয়েছিলেন। আপনি নিজ ত্রুটির দরুন সেখান থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন। এই ভাবে) আপনি আমাদেরকেও বঞ্চিত করেছেন এবং জান্নাত থেকে আমাদের বের করেছেন।
আদম আঃ বললেন, হে মুসা আঃ , আল্লাহ আপনাকে বিশেষ ভাবে মর্যাদাবান করেছেন, তিনি আপনার সাথে সরাসরি কথা বলেছেন এবং তাওরাত গ্রন্থ দান করেছেন। সেই গ্রন্থ আমার সৃষ্টির চল্লিশ বৎসর পূর্বেই লেখা হয়ে ছিল। আপনি কি সেই তাওরাত গ্রন্থে পান নি, "আদম তাহার রবের আদেশের বরখেলাপ করে ফেলল এবং সে দোষ করার জন্য দোষী সাব্যস্ত হল।
আদম আঃ বললেন, আপনি আমার উপর এমন একটি কাজের জন্য দোষারোপ করছেন যা আল্লাহ আমার জন্য লিখে রেখেছেন আমার সৃষ্টির চল্লিশ বৎসর পূর্বে। এই তর্কে আদম আঃ মুসা আঃ এর উপর জয়ী হলেন।
(বর্ণনায়-বুখারী, ৭ম খন্ড, হাদিস নং-২৫১৫, লেখক- আল্লামা আজিজুল হক। )
(হাদিসে ব্রেকেটের ভিতরের লেখা লাইনগুলো মুসলিম শরীফ থেকে নেওয়া)
--------------------------------------------------------------------------
আলহামদুলিল্লাহ। প্রথমত মুসা (তার উপর শান্তি বর্ষিত হোক) অভিযোগ আরোপ করলেন যে আদম (তার উপর শান্তি বর্ষিত হোক) যদি গন্দম ফল না খেতেন তাহলে আমরা জান্নাতেই থাকতাম। কিন্তু আদম (তার উপর শান্তি বর্ষিত হোক) সেটার ব্যাখ্যা দিলেন যে, তোমাদের পৃথিবীতে আসার জন্য আমার বিরুদ্ধে তোমার যে অভিযোগ সেটা ভূল। কারণ গন্দম ফল খাওয়ার জন্য বা আমার ভূলের জন্য তোমরা পৃথিবীতে আস নাই। তোমরা যে পৃথিবীতে আসবা সেটা চল্লিশ বছর আগেই স্থির করা হইছে।
মুসা (তার উপর শান্তি বর্ষিত হোক) বললেন, আপনি নিজ ত্রুটির দরুন সেখান থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন।
আদম (তার উপর শান্তি বর্ষিত হোক) সেটা স্বীকার করলেন এবং বললেন আমাকে ক্ষমা করা হয়েছে এবং সেটা তোমাকে প্রদত্ত তাওরাতেও উল্লেখ আছে।
মুসলিমরা তাদের দোষ স্বীকার করে। দোষ করে দোষ স্বীকার না করা হলো শয়তানের কাজ।
আল্লাহ নো দ্যা বেস্ট।