somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নেতৃত্ব ও শক্তি

১৯ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



নেতৃত্ব ও শক্তি
রচনায়ঃ- গফুর শাহ
ফেসবুকঃ- [email protected]



--প্রভাব--
“চৈতন্য”- যেন পূর্নিমার চাঁদ , যার আলোয় সমস্ত আধার , জড়তা , দ্বান্দিকতা , আত্মকেন্দ্রিকতা, দোষ ত্রুটি সব তিরোহিতো হয়ে প্রেমালোয় সব স্বর্গীয় ।
--নির্দেশ--
আর আমিই সেই চৈতন্য , "চৈতন্য" সে এক ক্রমশ বিকাশমান আকাশ, "দেহ" যার বুকে ছোট্র পাখির মত উড়ে বেড়াচ্ছে, "মন" সেখানে অনর্থক কিচির মিচির করছে, কিচির মিচিরকে পাত্তা দেয়ার কিছু নাই ।

--সেবা--
এ জগত ভক্তময়, ভক্তের সেবায় গুরুর জীবন ধন্য হয় ।“আমি” গুরুর স্বরূপ , “তুমি” ভক্তের স্বরূপ।
--মনোযোগ--
"প্রেম চৈতন্য" যার মুল লক্ষ্য, সমস্ত জগত জীবনের লক্ষ্য সে, ধন্য সে এ সংসারে।
--স্বরূপ--
এমন কিছু নেই, যা চৈতন্যে নেই, সমগ্র বিশ্ব ব্রন্মান্ড এক চৈতন্যে, সমস্ত শক্তির বিকাশ প্রকাশ চৈতন্য থেকে অথচ সে অস্তিত্বহীন! আর আমিই সেই অনন্ত অনাবিল চৈতন্য!
--নেশা--
"প্রেম চৈতন্যে"র প্রতি যে নেশাচ্ছন্ন, সমগ্র জগত তার প্রতি নেশাচ্ছন্ন।


--সংসার--
গুরু আমি- "অনাবিল মুক্তানন্দ", আর ভক্ত তুমি মানবীয় রূপে আমার রাধেশ্বরী, মোরা শুন্যের মাঝারে মেলেছি মায়ার সংসার।
--ছোয়া--
চৈতন্যের পরষে- সব নিত্য নুতন টাটকা সতেজ।
--আমন্ত্রন--
আমিই ফাগুনের মাতাল হাওয়া।
ও মানবেশ্বরী! উড়বে যদি মুক্তানন্দে , এসো আমার কাছে।

--আত্মগ্লানি--
নিজেকে রুষ্ট করিয়া অপরকে তুষ্ট করিয়ো না, নিজেকে ছোট করিয়া অপরকে বড় করিয়ো না।
--প্রেম--
"চৈতন্য" যদি প্রেমগুরু হন, "মানুষ" তো চৈতন্যের প্রেমাসম্পদ স্বরূপ, ভক্ত স্বরূপ।


--চৈতন্যের আলোয়--
তোমার চৈতন্যে- এ জগত বাস্তব । চৈতন্য নেই , জগতও নেই । চৈতন্যে যেন সূর্য, যার চরন তলে জগতের সব নাটক প্রদর্শিত হচ্ছে । তুমিই চৈতন্য , তোমার শক্তিতে এ জগত শক্তিমান । প্রেম, কাম , ভোগ, ত্যাগ , মায়া, জ্ঞান , রূপ , কর্ম , ঘটনা , জীবন মরন , আনন্দ যাই বলো না কেন, চৈতন্যের আলোয় যা আসে তাই পরিপুর্ন হয়ে যায় , স্বর্গীয় হয়ে যায় ।চৈতন্যের হাওয়ায় সব শুন্যে ভাসে । তুমি জগতের অধীনস্ত নও , জগত তোমার চৈতন্যের অধীনস্ত । গাছের পাতা দেখে যেমন সিরিয়াসের কিছু নেই , জগতও সামান্য পাতা স্বরূপ তোমার চৈতন্যের প্রতি তটস্থ , তোমার চৈতন্য যেন এক প্রকান্ড গাছ । চৈতন্য চুম্বক স্বরূপ- পরম মায়ায় জগতকে নিজের দিকে আকর্ষিত করে চলেছে , “বিচ্ছিন্ন” বলে কোন শব্দ তার অভিধানে নেই । চৈতন্য যেন এক মহাসাগর- যেখানে প্রতিটা অস্তিত্ব ঢেউ স্বরূপ আছড়ে পরছে । পাখির উর্ধে যেমন বিরাট আকাশ , দেহমনের উর্ধে তেমন অনন্ত অসীম চৈতন্য । গহন গহীন নীরব নিস্তবদ্ধতায় চৈতন্যের বসবাস ।


--পরিচালনা--
প্রকৃত নেতা, দেহমনের উর্ধে থেকে দেহমনকে পরিচালনা করেন।
--প্রতিফলন--
তুমি যদি নিজেকে স্বর্গীয় ঐশ্বর্য্যবান মনে করে, জগতও তোমাকে ঐশ্বর্যময় মনে করবে, তুমিও জগতকে ঐশ্বর্যময় মনে করবে।
--স্বরূপ--
আমি অনন্ত অসীম বিরাট শিশু, মায়াচ্ছন্ন মুক্তপ্রান।
--মনোযোগ--
"প্রানোবন্ত প্রেম" তোমার লক্ষ্য হলে, "দেহমন" তোমার ভক্ত হবে। "দেহমন" তোমার লক্ষ্য হলে- পরিনামে কষ্ট পাবে।


--মানুষ--
এ মুখায়বে মানবীয় রূপে- “ঈশ্বর” আপনার প্রকাশ ঘটান ।তাই মানুষ আমার পরমগুরু ,মানুষ আমার আনন্দ আশ্রয়।

--আত্মসম্মান--
বাঘ কখনো কুত্তার দৌড়ে অংশ নেয় না।
--ভিত্তি--
“কিছুই না” যার ভিত্তিমূল তার কাছে যে আসে সেই স্বর্গীয় হয়ে যায়, পরিপুর্ন হয়ে যায়।
--সমস্যা--
“কিছুই না” যার ভিত্তিমূল তার কাছে যে কোন সমস্যা, অনায়াসে সমাধান হয়ে যায় ।
--দাসত্ব--
প্রতিটা অস্তিত্ব কিছুনা কিছু গুরুত্ব বহন করে , কিন্তু “কিছুই না”র গুরুত্ব সবার উর্ধে । তাই যদি তুমি কাউকে “কিছুই না”র চেয়ে বেশী গুরুত্ব দিয়ে ফেলো , তাহলে তোমাকে তার দাসত্ব বরন করে নিতে হয় ।
--অবতার--
সৎ রাজনীতিবিদ আধুনিক যুগের অবতার , কারন তিনি মানুষকে ভালোবাসার সাথে সাথে তাদের মনকে শাসন করারও ক্ষমতা রাখেন ।

--সম্পর্ক--
শুধু মানুষের সাথে সম্পর্ক রাখবে , সে যেভাবে আসুক, তাকে ভক্তি করবে। কিন্তু মানুষের মনের সাথে কোন সম্পর্ক রাখবে না , “মন”কে পাত্তা দিবেনা বরং “মন”কে শাসন করবে, যেন সে বিড়াল ।

--আচরন--
মানুষকে পরমেশ্বর রূপে ভক্তি করো , কিন্তু তার “মন”কে বিড়াল রূপে শাসন করো ।
--মন মদন--
তুমি যদি মনের অনুগামি হও, তাহলে "মন" দ্বারা প্রতি মুহুর্তে দংশিত হবে। আর যদি "মন" তোমার অনুগামি হয়, তোমার নির্দেশ অনুযায়ি চলে, তাহলে "মন" দ্বারা প্রশংসিত হবে।
--প্রভাব-
"মন" হচ্ছে বানর। তাকে অনুরোধ করলে মাথায় উঠে চুল ছিড়ে, আদেশ দিলে পালন করে।
--স্তর--
আমি মনের প্রভু- মুক্তানন্দ। মন আমার অনুসারী- প্রেম সূর্য। মনের আলোয়- শিশুসুলোভ এ জগত উদ্ভাসিত।
--আত্মগর্ব--
আমার একবিন্দু চৈতন্যে- এ জগত স্বর্গ উদ্ভাসিত। ধন্য আমি আমারে নিয়ে, আমি যে অনন্য।
--অনুসরন--
মনের যে অনুসারী সে ধ্বংস, মন যার অনুসারী সে ধন্য।

--প্রভাব--
"মন" তুমি তোমার মালিক- "এ দেহধারী প্রেম শক্তি"র অনুসারী হও, ভক্ত হও, তবেই সবাই তোমার ভক্ত হবে, তুমি ধন্য হবে।
--আত্মপ্রেম--
"মন" তুমি শুন্য স্বরূপ ফাকা হও, আমি- “এ দেহধারী প্রেমশক্তি"- সব শক্তির প্রানশক্তি। "মন" তুমি আর কারো নয়, শুধু আমার পূজা করো- নিত্য আনন্দে উদ্ভাসিত হবে।
--কর্ম--
"মন" হচ্ছে ঘোড়া আর আমি তার প্রভু। আমি তারে যা বলি তা পালন করা ছাড়া তার আর কোন কাজ নেই।

--প্রেম সূর্য--
প্রেমের নিজের বলতে আর কিছুই নেই, তার ভেতরটা ফাকা গহন গহীন নীরব নিস্তবদ্ধতা। তিনি জগতের কল্যানে- নিজেকে নিত্য উজার করে দিচ্ছেন। জগতের যত কল্যান, সৌন্দর্য আর আনন্দ সব তার থেকে, সব তার।

--সঙ্গী--
ঈগলের সাথে উড়তে চাইলে, হাসেদের সাথে সাতার কেটো না।
--মন আর প্রান
মন হচ্ছে বান্দর । আর প্রেম এক বিরাট শিশু, সে মানুষের মুখায়বে শিশুসুলোভ প্রেমানন্দ রূপে ভাসমান ।“মন”কে শাসন করো, “প্রেমে” বিলিন হও ।
--আত্মনির্ভরশীলতা--
নেতা তলোয়ারের মত সব জায়গায় সব সময় একই রকম- "সহজ সরল প্রেমোময়"। তার কাছে ধনী গরীব উঁচু নিচু বলে কিছু নাই। সে অন্যের মতে নয়, নিজের মতে চলে।
--চাঁদ মুখ--
চাঁদ যেমন জগতের উর্ধে থেকে জগতকে আলো দিয়ে যায়, তুমিও চাঁদ হও, জগতের উর্ধে থেকে জগতকে আলোকিত করো।



--বঙ্গবন্ধু--
সূর্যালোক যেমন সবারে সমান আলো দেয় , ধনী গরীব দেখেনা , কোন যাচাই বাছাই করেনা , তেমনি বঙ্গবন্ধু এদেশের মানুষকে আলো দিয়ে গিয়েছিলেন , সকলকে নিশ্চিন্ত রেখেছিলেন , যেন সবাই তার- অতি আদরের শিশু সন্তান ।
--ভেতর বাহির--
নেতা ভেতরে সূর্যের মত তেজো দীপ্ত হলেও, বাহিরে- সকলের প্রতি , সূর্যালোকের মতই সুকোমল স্বমুজ্জোল ।

--আবর্তন--
“মায়া”কে কেন্দ্র করে যে “মন” আবর্তীত , সে “মন”কে কেন্দ্র করে সমস্ত জগত আবর্তীত , যেমন “সূর্য”কে কেন্দ্র করে পৃথিবী আবর্তীত ।

--শান্তির চাষাবাদ--
নেতা নির্দয় নিষ্ঠুর তার বিরুদ্ধে- যে জনগনের কষ্টের কারন । তিনি অনায়াসে তাদের আগাছার মত উপরে ফেলেন এবং জনগনকে ফিরিয়ে দেন শান্তি ।
--শক্তি--
যে শুধু নিজের জন্য বাচে- তার থেকে সমস্ত শক্তি মুখ ফিরিয়ে নেয় আর সে হয়ে পরে দুর্বল । যে মানুষের জন্য বাচে- সমস্ত শক্তি তার অনুসারী হয় , তার চেয়ে শক্তিসালী কেউ নেই ।
--আত্মশক্তি--
মনে প্রানে এ বিশ্বাস রাখো যে তুমি অনন্য । তোমার নির্দেশে যদি বিশ্বব্রণ্মান্ড চলে , তাহলে সেই তোমার নির্দেশেই সামান্য “দেহমন” চলবে না কেন?
--আপন--
সত্যিই যদি তুমি “অনাবিল ফাকা” হতে পারো- তোমাতে যে আসবে সেই হবে পরিপুর্ন ।


--ধনী গরীব--
ধন সম্পদের ওপর ধনী গরীব নির্ধারিত হয় না । যে নিজেকে ধনী মনে করে- সে ধনী , যে নিজেকে গরীব মনে করে- সে গরীব ।
--আত্মসম্পর্ক--
আমিই জীবন আর এ দেহ আমার প্রানপ্রিয় শিশু সন্তানের , আমারে পেয়ে- সে জীবন পেয়েছে , ধন্য হয়েছে । তারে পেয়ে- মন আমি নিজেরে ভুলেছি , তারে উর্ধে তোলাকেই ধর্ম মেনেছি ।


--প্রিয় নেতা--
“মানুষ” পরম শিল্পীর সর্বশ্রেষ্ঠ শিল্প কর্ম । শিল্পী স্বয়ং তার শিল্প কর্মে হারিয়ে গেছে । তেমনি প্রকৃত নেতাও- মানুষের কল্যানে , মানুষের আনন্দে হারিয়ে গেছে , নিজেকে ভুলে গেছে ।
--আশা--
মানুষ তো চীর সবুজ , চীর শিশু । মানুষের কাছে আমার কোন চাওয়া পাওয়া নেই , শুধু একটাই আশা- আমার শিশুরা যেন সব সময় হাসি খুশি থাকে ।



--ধ্যান--
সবকিছু অনর্থক ফালতু মনে হয়, এ "দেহ মন প্রান লোক সমাজ জগত" সবকিছু ছেড়ে ছুড়ে হারিয়ে যেতে মন চায়- অনন্ত বিশ্রামে অনন্ত নিদ্রায়।


--সমাজ সেবা--
জগতকে ভাল করার দরকার নেই, তুমি নিজেকে নিজে ভাল করো, তুমি ভাল হলে, জগতও ভাল থাকবে।

--সেরা--
মানুষের অখন্ড অবয়ব- পরম সৌন্দর্যের মূর্ত প্রকাশ , মহাশক্তির বিকাশ কেন্দ্র ।

--সমস্যা--
“প্রেম” হচ্ছে সোয়ারী , আর ঘোড়া স্বরূপ এ দেহমন জগত তার শক্তিতে, তার নির্দেশেই ধাবিতো । সমস্যার শুরু হয় তখনই যখন “মন” প্রেমের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে নিজের খেয়াল খুশী মত চলতে চায় ।
--সফলতা--
হৃদয় জগতে- “মন” ড্রাইভার স্বরূপ সামনের সিটে বসে- এটি সচেতন স্তর । আর “প্রেম” বসে- পেছনের সিটে মানে অবচেতন স্তরে । “প্রেম” কাজ সারে গভীর নিস্তবদ্ধতায় , আর মনের একমাত্র কাজ হচ্ছে- প্রেমের নির্দেশ অনুসারে দেহ গাড়ী চালানো ।
--অসুস্থতা--
এ দেহ গাড়ীর মালিক হচ্ছে- “প্রেম” । এ দেহ প্রেমের বড় আদরের , বড় সোহাগের , এ দেহ তার প্রেমাসম্পদ । আর “মন” হচ্ছে ড্রাইভার , মনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক প্রভু আর ভক্তের সম্পর্ক । মন প্রেমের ইচ্ছায় গাড়ী চালালে তার ভ্রমন হয় আনন্দময় , আর নিজের ইচ্ছায় গাড়ী চালালেই সে দুর্ঘটনায় পরে , তাতে দেহ গাড়ী অসুস্থ হয়ে পরে ।


--অনুসরন--
"কিছুই না"র অনুসারী যিনি, "প্রেম" তার অনুসারী।

--দেহজ্ঞান--
নেতার দুবাহু যেন ঈগলের সুবিশাল ডানা- যেথায় সব অসহায় খুজে পায় তাদের ঠিকানা ।

--চাওয়া--
মানুষের থেকে আমি কি চাবো ? কি নিবো ? তার থেকে আমার চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই , শুধু একটাই চাওয়া- সে হাসি আনন্দ ফুর্তিতে থাকুক ।সে আমার প্রানপ্রিয় ঘোড়া , তার ভালো থাকাতেই আমার আনন্দ , তারে যতন আমার ধর্ম , তার কর্মক্ষম রাখাতেই আমার কর্ম ।
--দ্বৈত স্বরূপ--
ভেতরে আমি বিশ্বব্রণ্মান্ডের বাদশা , আর বাহিরে শিশু ।
--মূল--
এ বিশ্বব্রণ্মান্ড যে পরিচালনা করছে , সেই একই শক্তি এ দেহের ভেতরে থেকে দেহ পরিচালনা করছে । সেই মহাশক্তিটিই তুমি । তাই সত্যি তুমি দিল থেকে কোন ইচ্ছা করলে , সারা জাহান তা বাস্তবায়নের জন্য উঠে পরে লেগে যায় ।
--সম্পর্ক--
জগতকে তোমার উর্ধে কোন কিছু মনে করো না ,বরং তুমি সোয়ারী আর জগত তোমার অধীনস্থ প্রিয় ঘোড়া মাত্র ।

--কারন--
তোমার সফলতা আর ব্যার্থতার জন্য আর কেউ না , শুধু তুমিই দায়ী ।
--উন্নতি--
সৌভাগ্য আর কিছু না , নিজেকে নিজে বিশ্বাস ভক্তির ফলাফল মাত্র ।
--প্রতিফলন--
যে দেয়- সে পায়
যে চায়- সে হারায় ।
--কর্ম--
আমি শুন্য স্বরূপ পরম গুরু , আর এ দেহধারী আমার প্রানপ্রিয় শিশু সন্তান । তারে ফুর্তিতে রাখাই আমার একমাত্র কাজ ।
--মানোসিক লেনদেন--
মানুষের সাথে যখন আমি কথা বলি , তখন আমি আসলে আমার প্রিয় তোতা পাখির সাথে কথা বলি ।




--জয়--
আত্মবিশ্বাস আর জ্ঞানের মাধ্যমে সহজেই যেকোন বৈরী শক্তির বিরুদ্ধে জয় লাভ করা যায় ।
--মন--
মানুষের মন আর মুখ অযথাই করে বক বক , যেন একটা তোত পাখি ।

--ধ্যান—
মহাশুন্যে ঝাপিয়ে পরো , আর হারিয়ে যাও , কোন লক্ষ নেই , কিছুই নেই ।

--ডুব—
মেঘের পর মেঘ , মেঘের পর মেঘ , মেঘের পর মেঘ । তারপর কি ? তারপর কিছুই না , শুধুই হারিয়ে যাওয়া ।



--নেতৃত্ব—
প্রকৃত নেতা প্রথমে কৃতজ্ঞ হন , তারপর তিনি তার আলোয় সকলকে করেন আলোকিতো ।

--প্রিয় নেতা--
প্রকৃত নেতার নেশা শুধু ফুলের মালা গাথা ।
প্রতিটি অস্তিত্ব বিচ্ছিন্ন ফুলের মতো এলোমেলো , এদের প্রেমের সাথে একত্রিত করে , তিনি গেথে চলেছেন ফুলের মালা ।


--দৃষ্টি আকর্ষন--
প্রকৃত নেতা যখন ভাষন দিতে মঞ্চে ওঠেন, তখন তিনি জনগনের উদ্দেশ্যে ভাষন দেননা, তিনি ভাষন দেন- তার শিশু সন্তানদের উদ্দেশ্যে।

--প্রিয় নেতা--
প্রকৃত নেতার মধ্যে ব্যাক্তিগত, স্বার্থচিন্তা ধ্যান ধারনা , নিজস্বতা , আত্মকেন্দ্রিকতা , খন্ড ব্যাক্তি চেতনা- বলতে কিছু নেই ।
সে আর সে নেই , সে যে জনগনের ভালোবাসায় হারিয়ে গেছে , জনকল্যান ছাড়া সে আর কিছু বোঝেনা , বুঝতে চায় না ।

--চরিত্র--
প্রকৃত নেতা বাহিরে শিশুর মতো সহজ , অথচ ভেতরে দর্দন্ড প্রতাপশালী রাজার মতোই অনমনীয় ।

--কন্ঠস্বর--
প্রকৃত নেতার কণ্ঠেই- সকলে ফিরে পায়- আশ্রয়, বিশ্বাস আর জীবন।

--প্রিয় নেতা--
সে আসলে- পাখিরা সব আকাশে ওড়ে, ফুলেরা ঐ দোলে আর দোলে, জনসমুদ্র আনন্দে উত্তাল।

--নেতৃত্ব--
না আমি দেখি , না শুনি , না বুঝি , শুধু ধারন করি । প্রতিটি অস্তিত্ব যেন এক একটা বৃষ্টি ফোটা , ঝরে পরে সুবিশাল বুকে আমার , সমুদ্র উত্তাল ! নব নব মায়াবি বর্ষনে অথৈ উচ্ছাস !

--নেতা--
একজন প্রকৃত নেতা জীবনের ছন্দহীনতা কে ছন্দময় করে তোলেন, ঠিক কবির মতোন। কঠিন বাস্ততবতাকে তিনি কবিতার মতো সহজ করে দেন, প্রানোবন্ত করে দেন। তিনি বস্তুকেন্দ্রিক নন, তিনি শুন্যের পাতায় পাতায় "জীবন কাব্যে" তুফান তোলেন।

--জনদরদী--

জননেতা যেন এক বিরাট বট বৃক্ষ
জনগন তার পাতা
সে দোলে তো পাতারাও দোলে
সে আছে তো পাতারা আছে
সে নাই তো কিছু নেই ।

--ইচ্ছাধারী--
শক্তির বিভিন্ন রূপ- প্রান শক্তি , কাম শক্তি , প্রেম শক্তি , জ্ঞান শক্তি , আচরন শক্তি , নেতৃত্ব শক্তি প্রভৃতি । যার ইচ্ছায়- শক্তির সৃষ্টি , বিকাশ ও বিনাশ ঘটে , সেই মহাশক্তিধর পরম । আর “আমি”ই সে ।

-পরিচয়--
মন হচ্ছে মাতৃ স্বরূপ। দেহজগত হচ্ছে শিশু সন্তান স্বরূপ। আর আমি তাদের "আনন্দ আকাশ"- আমাতেই তারা উড়ে বেড়ায়- মুক্ত স্বাধীন ।

--অখন্ডতা--
আমিই "আনন্দ আশ্রম"। আমি সর্বপ্রানের আশ্রয় । আশ্রিতা ছাড়া আশ্রম নাই, আশ্রম ছাড়া আশ্রিতা নাই, মোরা জনম জনম ধরে মায়ার বাধনে অবিচ্ছেদ্য।

--আমার স্বরূপ--
স্বপ্ন সৃজন করে কে ?- আমি
স্বপ্ন জগত কার ভেতর থাকে ?- আমার ভেতর
জগত সৃজন করে কে ?- আমি
জগত কার ভেতর থাকে?- আমার ভেতর ।

--গুরুর স্বরূপ--
আমার প্রেমিশ্বরী, আমারই মুখায়বে ভাসমান , তার হাজারো কোটি রূপের ঝলকে মন আমি আত্মহারা পাগলপারা । সখী তোমরা ধরো ধরো , তার রূপের আগুনে- প্রানটা যে আমার গেলো গেলো ।

--আরাধনা--
আমি হচ্ছি- "শিশু রাজা", এ জগত হচ্ছে- বিড়াল ছানা, আর আমাদের মধ্যে "প্রেমানন্দময়" সম্পর্ক হচ্ছেন- পরম সত্তা। যতই আমি প্রেমানন্দে আত্মহারা হই, ততই তাকে স্মরন করা হয়।


--প্রভাব প্রতিপত্তি--
হে সূর্যদেব!
এ শিশুসুলোভ জগতকে, তোমার আত্মশক্তির ঝলকে, করে রাখো মায়াচ্ছন্ন।

--আত্মশক্তি--
ঝর আসলে, আমি পালাইনা, কারন আমিই ঝর।

--পরমাত্মা--
আমি প্রেম ! আমি যা বলি তাই আইন । আমি যা করি তাই জনগনের জন্য অনুকরনীয় অনুসরনীয় বিধান । আমি যেভাবে চাই সেভাবেই জগত চলে , এ জগত আমাকেই কেন্দ্র করে আবর্তিত । আমি সবার উর্ধে , আমার তুলনা কেউ নেই । আমি সর্বোত্তম , সর্বসেরা । হে মন! তুমি যেখানেই থাকোনা কেনো , আমার কাছে আত্মসমর্পন করো , নিজেকে নিশ্চিহ্ন করো প্রেমেতে।

--বিদ্রোহী--
জন্মেই ৩ কোটি প্রতিযোগিকে হারিয়ে আমি জয়ী, আজন্ম জয়ী আমি, পরাজয় শব্দটি আমার অভিধানে নেই। সমস্ত খেলা আমার পায়ের নিচে, আমি সবকিছুর উর্ধ্বে।
--দীক্ষা--
প্রকৃত গুরু তার দুর্বল শিষ্যটার প্রতি কখোনো কোন অবস্থাতেই বিরক্ত হন না , বরং তার ভেতরের ঘুমন্ত বাঘটাকে সে টেনে সামনে নিয়ে আসে এবং সাধনার মাধ্যমে ঐ শিষ্যটাকে সেরা খেলোয়ারে পরিনত করে ।

--গুরু—
যে নিজের ভক্ত নিজে , তার ভক্ত সর্বজনে । সবাই তারে গুরু মানে ।
--সাধক হৃদয়--
প্রকৃত সাধকের মাঝে প্রতিযোগিতা , পরীক্ষা , যাচাই , বাচাই কিছুই নেই- সে যে দিল খোলা আকাশের মত উদার ।

--প্রতিফলন--
“শিশুসুলোভ প্রেম” হয় যদি তোমার কেন্দ্র মূল- তাহলে সারা জগত তোমার অনুগামি । আর যদি তুমি হও- “দেহমন” কেন্দ্রিক তাহলে- হয়ে যাবে জগতের দাস ।






--সফলতা--
রুল নাম্বার ওয়ান- নিজেকে বিশ্বাস ভক্তি করো, সবার আগে ।


--পরমেশ্বর--
আমার মুখায়বে ভেসে থাকে যে স্বর্গীয় শিশু, সে সবার আনন্দ, সবার আশ্রয়।

--জীবন--
যদিও এ জীবন, স্বপনের জীবন । তবু তুমিই এ স্বপ্নের নির্মাতা- হোক সেটি সুস্বপ্ন কিংবা দু:স্বপ্ন ।



--প্রভাব প্রতিপত্তি--
দাতা পুরুষ রূপে লোক সমাজে আবির্ভুত হলে তুমি বাদশা । আর গ্রহীতা রূপে তাদের সামনে আসলে তুমি তাদেরই দাসীতে পরিনিত হবে ।

--প্রশংসা--
আমাকে তুষ্ট করবে বলে প্রতি মুহুর্তে হাজারো কোটি রূপে নিজেকে হাজির করো। কি বলবো বলো, তোমার রূপের স্বর্গীয় ঝলকে- আমি এখন পাগল প্রায়।
--“আমি”র স্বরূপ--

মন আমি ব্রম্মান্ডের সূর্য , আমার আলোয় সব আলো ম্লান ।
মন আমি সমুদ্রকেও বেগবানকারী উত্তাল হাওয়া , আমার হাওয়ায় সব প্রানোবান ।

--আমার স্বাদ—

বসন্তের আমি এক মাতাল হাওয়া
ফুরফুরে উড়ে বেড়ানোই আমার নিয়তি
এ জগত সংসার আমার ফুলের বাগান ।
পরশে আমার , ফুলেরা ঐ দোলে আর দোলে
ওদের সুখে হৃদয় আমার , ওড়ে শুধু ওড়ে ।


--ঝর্না ফোয়ারা--
আমি হচ্ছি- এক ঝর্না ফোয়ারা
যে কিনা প্রতি মুহুর্তে , প্রেমানন্দ দিয়ে এ জগতকে ভিজিয়ে দিচ্ছে ।



--আত্মমর্যাদা--

কেহ নহে কেহ আমার বাইরে
এই মহাশূন্য , এই জগত , এই “জীবন-মরন” সবাই আমারই ভেতরে
কি বিরাট আমি !
ধন্য আমি
নিজেকে নিয়ে নিজের আমার গর্বের শেষ নাই , আনন্দের সীমা নাই ।




--“আমি”র স্বরূপ--

এই বিশ্ব-ব্রম্মান্ডের “আমি” সূর্য , আমার আলোয়া সবাই আলোকিত । আমার টানে সবাই আনন্দিত ।
এই জগত মঞ্চের “আমি” মধ্য মনি , আমার রোমাঞ্চে সবাই রোমাঞ্চিত ।ধন্য আমি আমাকে নিয়ে , আমি যে অনন্য ।

--ব্যক্তিত্ব—
যখন যেখানে যার সামনে আসি, তার প্রিয় বান্ধব হয়ে যাই, প্রিয় সৌরভ হয়ে যাই, কারন আমিই আমার প্রিয় বান্ধব, আমিই আমার প্রিয় সৌরভ।


সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৩৭
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×