গণ্ডির মাঝে বন্দি আছি
যতই চাই নিজেকে গণ্ডি থেকে বেরিয়ে আগে পা বাড়াতে পিছু থেকে আঁকড়ে ধরে । জানি আমার জন্য কত নিয়ম কত কানুন , কত রীতি নীতি সমাজের ।
জানি এখন হয়তো অনেকেই বলবে , সব খানে তো তোমাদের অধিকার বেশি , সব খানে তোমাদের অগ্রাধিকার , তোমরা তো চলছ কত এগিয়ে ।
হুম জানি সব ঠিক তবুও কথা থেকেই যায় ।আমরা অনেক এগিয়ে যাচ্ছি , কিন্তু তবুও কেন সেই আমার বা আমাদের জন্য মা বাবার চোখে ভয় দেখি , একা পথ চলতে চাইলে এখনো বাঁধা পাই , রাস্তায় একা নামলে এখনো নিরাপত্তার ভয়ে থাকি , আর রাত তো আমাদের জন্য একটা ভয়ঙ্কর জিনিস যতক্ষণ চার দেয়ালের মাঝে থাকি ততক্ষণ ভালো যদি বাইরে থাকি কোন কারনে চার দেয়ালের মাঝে না আসা পর্যন্ত কত জনের কত কথা হয়তবা সেই বিষয়ের কিছুই ঘটে না কিন্তু মানুষের কথার শেষ থাকে না , একটা মেয়ে ঘরের বাইরে মানে অনেক বড় কোন জানি ব্যাপার ।
হয়ত শহরের চিত্র একটু ভিন্ন তবে আজো মফস্বলে বা গ্রামে মেয়েদের জীবনে বিয়ে বিষয়টাকে অনেক বড় মনে করা হয় পড়াশুনার চেয়ে । অনেকে আবার মেয়েকে পরাশুনা করায় ভালো পাত্র পাবার আশায় ।
আজো একটা মেয়ে নিরবে নির্যাতন সহ্য করে শুধু নিয়তির দোহায় দিয়ে ।তাদের উপর নির্যাতনকে নিয়তির একটি লেখা বলে চুপটি করে হয়ে যায় । হুম জানি অনেকেই বলবে কেন তারা সহ্য করে , আসলে মেয়েরা এভাবেই বড় হয় তাদের ছোট থেকে মানসিকতা এভাবেই গড়ে তোলা হয় ।
আজো সমাজে কোন সংসার ভাঙ্গলে বিনা দ্বিধায় মেয়েটাকেই আগে দোষারোপ করা হয় , হয়তো তার কোন অপূর্ণতার জন্য এটা হয়েছে । কিংবা কোন নতুন সংসারে মেয়েটা নিজেকে মানিয়ে নিতে না পারলে তাকেই দোষারোপ করা হয় কিন্তু এটা দেখা হয়না পরিবার টা তাকে মানিয়ে নিতে সাহায্য করছে কিনা । কিংবা বিয়ের পর যখন মেয়েটার বাচ্চা হয় না দেরি হয় সেখানে মেয়েটার দোষ আছে বলে ধরা হয় ছেলেটারও দোষ থাকতে পারে সেটা অনেক পরে ভাবা হয় ।
অনেকেই বলে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে গেছে কিন্তু যখন একজন কালো বা মোটা মেয়েকে অসুন্দর বা কুৎসিত বলা হয় ,ছেলেটা যেমনই হোক বিয়ের সময় মেয়েটাকে পুঙ্খানুপুঙ্খ রুপে দেখা হয় কোন ক্ষুধ আছে কিনা । সমাজে একটা কথা আছে , সোনার আংটি বাঁকা হলেও ভালো সেটা ছেলেদের বোঝানো হয় , ছেলেরা হয় সোনার আংটি । আর মেয়েটা কি সেটা নাই বা বললাম ।
যাই হোক এখন সময় বদলে যাচ্ছে জানি তবে এ বিষয়গুলো বদলাতে আরও হয়ত সময় লাগবে ।আর বিষয় গুলো বদলাতে নিজেদেরই সাথে সাথে সমাজের সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে আর সচেনতা বাড়াতে হবে যেটা নিজের ঘর থেকেই শুরু করতে হবে।।