বিলাসিতা কি জানা নেই আমার , তবে জানি না পাওয়াটা কি । বড় হয়েছি ছা পোষা এক মধ্যবিত্ত পরিবারে । অনেক সময় অনেক কিছুই পেতে চেত মন কিন্তু কখনোবা প্রকাশ করতাম না সেটা আবার চাইলেও পেতাম না , সেটা ছিল সীমার বাইরের কোন চাওয়া । শুধু কি চাওয়া আর পাওয়া আরও ছিল কত বাধ্য বাধকতা । সমাজের মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম বলে অনেক ইচ্ছাকে দাফন করতে হয় মনের ভিতর তার মধ্যে যদিও আবার মেয়ে । এ ধরনের পরিবারে আবার ধর্মীয় অনুভুতি আবার প্রবল , অনেক কাজ ই করতে পারি না এই গণ্ডি পেরিয়ে । একটা সময় ছিল যখন বুঝটা কম ছিল এসব ভালো লাগত না ভাবতাম আমার পাশের বাড়ির মেয়েটা চাইলেই সব পায় আমি কেন পাই না , আমার ইচ্ছা গুলো কেন এমন হেলায় ফেলায় পড়ে থাকে । কিন্তু এ অনুভুতি গুলো প্রকাস হতনা মনে মনে ভেবে যেতাম , কারন এ ভাবেই গড়ে উঠেছিলাম এক অদৃশ্য বেড়াজালের মধ্য বেরে ওঠা। যখন ধীরে ধীরে বড় হলাম একটু একটু বুঝলাম এ ছা পোষা পরিবারে বাবা মায়ের কোন ঘাটতি থাকে না তার সন্তানদের ইচ্ছা পূরণে কিন্তু তাদেরও একটা সীমা আছে তার বাইরে তারা যেতে পারেন না । কখন বা কোন ত্যাগ করতে দ্বিধা করেন না তারা । কিন্তু এত পাওয়া আর না পাওয়ার মাঝেও আমাদের পরিবারে অন্য রকম একাটা সুখ অনুভব করি , আমারা পারি একে অপরের সুখ দুঃখ গুলোকে ভাগ করে নিতে ।
এখন চারপাশের বিলাসিতায় গা ভাসানো মানুষ গুলোকে দেখি তখন তাদের উপরের খোলস দেখে ভাবি তারা কত সুখী , না পাওয়ার কোন ব্যাথা নেই জীবনের কত সুখী তারা । কিন্তু তাদের ভিতরটা দেখলে বোঝা যায় আসলে কত কান্না গুমরে মরছে তাদের ভিতরে ,সব পেয়ে আর কোন ইচ্ছে
থাকে না , জীবন নিয়ে কত উদাসীন ।জীবনের আসল অর্থ থেকে কত দূরে । তখন ভাবি এইতো ভালো আসি ছা পোষা হয়ে নাই বা জীবনে পেলাম সব বিলাসিতা , সব ইচ্ছার পূর্ণতা থাক না কিছু বাধ্য বাধকাতা , এটাতেই তো অনেক সুখে আসি ।