সে যাই হোক । পাশের গ্রামের একটি মেয়ে সম্প্রতি তার জান কেড়ে নিয়েছে । নাম তার খাস্তাবতী । এই সোনামুখী লালগাই যখন ''ছামা াাাাাাাাা.....'' বলে ডাকে তখন সাড়া পড়ে যায় ছামাছুপগলের দিলে ইহকাল পরকাল লুপ্ত করে । কিন্তু ওই ডাকা পর্যন্তই । কিছুতেই তাকে কায়দা করতে পারছে না । কোন একটা বিপদ থেকে উদ্ধার -টুদ্ধার করতে পারলেও হিরো হয়ে যেতে পাত্তো , কিন্তু সেরকম কিছুই বাগে পাচ্ছে না ।
একদিন সুযোগ মিল্ল । খাস্তাবতীর পোষা ছাগল , দেড়েল রামুর কোষ্ঠ-কাঠিণ্য । পরিস্থিতি খুবই খারাপ । গত 7 দিন যাবৎ তার চারণ-ভুমি পুরীষ-বুন্দিয়া মুক্ত । ভুষি গুলে খাওয়ানো হয়েছে বার দশেক কিন্তু লবডঙ্কা । পাবা মাত্র সুড়ুৎ করে খেয়ে ফেলে । তার পর ছ্যাম্যাাাাাাাাাাাাাা বলে ডেকে ওঠে । ছামাছুপগল অনেক ভাবলো । কি করা যায়, কি করা যায়......শেষে হঠাৎ মাথায় আইডিয়া এলো...ইউরেকা! সঙ্গীত ! সুরই হতে পারে কোষ্ঠ-নমনীয়তার সহজতম পথ ! তবে তার আগে আর এক দফা ভুষি খেয়ে নিতে হবে ভরপেট । সেই মতো রেডি করা হলো রামুকে । প্রায় কেজি খানেক ছামাছুপগলের ভুষি , গপগপ করে গিলে ফেল্ল খাস্তাবতীর ছাগ ল রামু ।
মুয়াজ্জিন যূগে শেখা মিলাদ ধরলো কাওয়ালী সুরে । চতুর্থবার আল্লাহু বলতেই ম্যাজিক! দিগন্ত ছাপিয়ে ছুটলো তিনকোনা মার্বেল!!!!
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মে, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৮