‘মুক্ত প্রকাশ,মুক্ত বিকাশ’ স্লোগানকে ধারন করে ২০০৮ সাল থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশ দেয়াল পত্রিকা পরিষদ এ উৎসব পালন করে আসছে।সারাদেশ থেকে প্রায় দুই শতাধিক দেয়াল পত্রিকা প্রদর্শিত হয় এ উৎসবে। ২০-২২ মার্চ’১৪ বাংলা একাডেমি চত্বর, ঢাকায় ৭ম বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতীয় দেয়াল পত্রিকা উৎসব ও প্রতিযোগিতা। বাংলাদেশের জেলা-উপজেলা, গ্রাম-শহরের শতাধিক বিদ্যালয় ও সংগঠনগুলো এ উৎসবে নিজেদের একত্রিত সমন্বয়ে চমৎকার চমৎকার সুন্দর দেয়াল পত্রিকা নিয়ে অংশগ্রহন করে থাকেন।৭ম দেয়াল পত্রিকা উৎসবের শুভ উদ্বোধন করেন মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল। বিশেষ অখিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দেয়াল পত্রিকা পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী এবং জাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নাসিম আখতার হুসাইন। ২২ মার্চ’১৪ সমাপনী পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে উপস্তিত থাকবেন ভাষা সংগ্রামী আহমদ রফিক।
দেয়াল পত্রিকার ইতিহাস বেশ পুরনো। ভাবের আদান-প্রদান, শিল্প ভাবনা বিনিময়, বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা ও মনোবিকাশের মাধ্যম ছিল দেয়াল পত্রিকা। বিখ্যাত কবি, সাহিত্যিক, ছড়াকার, কার্টুনিষ্ট ও লেখকের হাতে খড়ি দেয়াল পত্রিকার মধ্য দিয়ে।দেয়াল পত্রিকার রেওয়াজ ছিল সর্বব্যাপি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিশু-কিশোর সংগঠন, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন থেকে শুরু করে এমনকি আমাদের পরিবারের মাঝেও দেয়ার পত্রিকার প্রচলন ছিল।কিন্তু আধুনিক এই প্রযুক্তিযুগে ও নানারকমের ব্যবসা-বাণিজ্যের ফলে আজ দেয়াল পত্রিকা চর্চা বন্ধ হযে যাচ্ছে।দেয়াল পত্রিকার মূল উদ্দেশ্যই হলো আমাদের সমাজের শিশু-কিশোর ও তরুণ প্রজন্ম তাদের মনের মুক্ত চিন্তা-ভাবনা চর্চায় উদ্বুদ্ধ করে তাদের সুপ্ত লেখক সত্ত্বার বিকাশ ঘটানো।
আসুন আমরা প্রত্যেকে আমার-আপনার ও আমাদের সন্তানের মুক্ত প্রকাশ, মুক্ত বিকাশগুলো দেয়াল পত্রিকায় ফুটিয়ে তুলি এবং মুক্ত বুদ্ধির চর্চা করি।