সাভার ট্রাজেডির পর দেশে কয়েকধরণের পাবলিক দেখছি। যেমনঃ-
১. কিছু লোক আপ্রাণ চেষ্টা করছে আটকে পরা মানুষ-গুলারে উদ্ধার করায় আর আহতদের সাহায্য করায়। নিজের সবটুকু দিয়ে তারা চেষ্টা করছে।
২. কেউ সাহায্য করছে রক্ত, অর্থ কিংবা মেধা দিয়ে।
৩. কেউ ব্যস্ত মখার আর আওয়ামীলীগের চৌদ্দ গুষ্টি উদ্ধারে কিন্তু কাজের কিংবা সাহায্যের কোন খবর নাই। রুহি কিংবা এবিসিডি চৌধুরী কি কইসে ওইটা নিয়া তাদের কথা নাই।
৪. গণজাগরণ মঞ্চ রক্ত সরবরাহ করছে, মেডিক্যাল টীম পাঠাচ্ছে, সাহায্যের জন্য কাজ করছে। এমনকি আগামীকাল সারাদেশের সকল মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রার্থনার অনুরোধ করেছে।
৫. হেফাজতিরা এটা আল্লাহর গজব বইল্লা মুখে আঙ্গুল দিয়া বইসা রইছে। কোন কিচ্ছু করাতাছে না। ১৩ দফা ব্যাখ্যায় ব্যস্ত। (ও! দুঃখিত। আমি ভুলেই গেছিলাম, উনারা তো আবার নেস্টিক ব্লোগারদের ফাঁসি চাওয়া আর মিথ্যা বলা ছাড়া আর কিছুই পারেন না।)
৬. শেখ হাসিনা রানারে দলের না প্রমাণ করায় ব্যস্ত। পারলে কছম কাটে।
৭. খালেদা জিয়া তার আন্তর্জাতিক মানের স্বচ্ছ জর্জেট শাড়ি সবাইরে দেখাইয়া আসছে, সাহায্যর কোন নাম নাই।
৮. কিছু পাবলিক টিভি চ্যানেলে টক-ঝাল-মিষ্টি শোতে বইসা দেশ ও জাতি উদ্ধার কইরা ফেলতাছে কামের কোন খোঁজ নাই।
৯. কিছু পাবলিক গুজব ছড়ানোয় ব্যাস্ত। ওইখানে একটা সংঘর্ষ তৈরি করতে পারলে ওরা খুশি।
১০. সংবাদিকরা ব্যস্ত কে কার আগে কতটুক হৃদয়বিদারক দৃশ্য দেখাবে। যত বেশি লাশ আর আহতের সাক্ষাৎকার তত বেশি TRP। পারলে লাশেরও সাক্ষাৎকার নেয়।
১১. কিছু পাবলিক ছুটির দিন পাইয়া পিকনিক করতে গেছে। মোবাইল আর ক্যামেরা দিয়া ছবি তুলতে ব্যস্ত। উনারার সব জায়গায় আছেন।
১২. কিছু পাবলিক যারা হুদাই ভিড় করতাছে আর পাকনামি করতাছে। কামের কাম কিছুই করতাছে না উল্টা কাজের বাধা সৃষ্টি করতাছে।
১৩. পুত্তুম আলু ব্যস্ত নাচানাচি আর পুরস্কার বিতরণী লইয়া। দেশের এমন অবস্থায় এরা নাচানাচি করে কেমনে এইডা জানবার ইচ্ছা হইতাছে......
১৪. আমার মত কিছু পাবলিক যারা বাসায় বইসা বইসা মশা মারছি, টিভি দেখছি, আবালদের আবলামি মার্কা কথা শুনছি, ফেসবুক ও ব্লগে লাইক শেয়ার মারছি আর দূর থেকে যতটুক পারি আর্থিক সাহায্যের চেষ্টা করছি।
এছাড়াও আরও কিছু পাবলিক আছে যাদের কোন দলেই ফালানো যায় না। তারা নিরামিষভোজী, সর্বদা আতলামিতে ব্যস্ত। স্রোত যেদিকে তারাও সেদিকে।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩৭