আমি হাঁটছি বাহাদুর শাহ পার্কের ওই রাস্তা দিয়ে, যেখানে ছিঁড়ে যাওয়া কম্বল নিয়ে শুয়ে আছে অসহায় কোন এক মানুষ;
আমি হাঁটছি ওই আজাদ ম্যানসনের সামনে দিয়ে, যার সামনে দাড়িয়ে আছে সভ্যতার অন্ধকার সেই সব বিলাসের উপাদান;
আমার দৃষ্টি যায় সেই পঙ্গু মেয়েটির দিকে, যে সারাদিন ভিক্ষে করে আর পাশের বৃদ্ধ চাচা তাকে খাইয়ে দেন নিজ হাতে;
আমি তাকিয়ে থাকি থাল হাতের সেই অন্ধ মহিলাটির দিকে, যার কাছে দিন আর রাত্রির কোন পার্থক্য নাই...
আমি আরও হাঁটতে চাই, শাহাবাগের সেই উত্তাল জনস্রোতের সাথে। আমি আলো জ্বলাতে চাই রাতের আধারে। আমি হাজার বার ভাঙ্গতে চাই আমার গলা। আমি গরজে উঠতে চাই ওই পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধার সাথে। আমি খেতে চাই সেই চকলেট, যার মধ্যে আছে ভালবাসার আর বিশ্বাসের ছোঁয়া।
আমি রাজাকার মুক্ত একটি বাংলা চাই
ওই অসহায় মানুষটির জন্য,
ওই সব নিরুপায় মেয়ের জন্য,
ওই পঙ্গু মেয়েটির জন্য,
ওই অন্ধ মহিলাটির জন্য।
আমি একটি বাংলা তৈরি করব আমার ভবিষ্যতের জন্য, যেখানে থাকবেনা জামায়েত আর শিবিরের রগ কাঁটার হুমকি। যেখানে থাকবে না, ধর্মের নামে মানুষ হত্যা আর মানুষের সাথে বেইমানী। আমি বেঈমান মুক্ত একটি বাংলা চাই। যেখানে থাকবেনা রাজাকারদের নির্লজ্জ হাসি। আমি গর্বের সাথে বলতে পাড়বো দিএছি তাদের ফাঁসি।
আমি আবার হাঁটবো। আমার পাশে কেউ থাকুক আর নাই থাকুক। করুক না কতিপয় বুদ্ধি প্রতিবন্ধি আর জারজ আমার বিরুদ্ধাচরণ। করুক না আমার পাশের লোকজন আমার সাথে নির্বোধ তর্ক। আমি হাঁটবোই।
আমি আবার হাঁটতে চাই।।।